হঠাৎ নতুন সিদ্ধান্ত বোধগম্য নয়

 

মাত্র চার মাস বাকি আছে এসএসসি ও সমমান-২০১৭ পরীক্ষার। সিলেবাস অনুযায়ী শিক্ষার্থীদের প্রস্তুতি শেষ। এখন শিক্ষার্থীরা প্রস্তুতি নিচ্ছে নির্বাচনী পরীক্ষার। শেষ সময়ে সিলেবাস অনুযায়ী কোর্সগুলো ঝালিয়ে নেয়ার সময় এখন। অথচ এই অন্তিম মুহূর্তে তাদের সামনে বিরাট প্রশ্ন এবং শঙ্কা নিয়ে এনেছে আন্তঃশিক্ষাবোর্ড। হঠাৎ করেই বোর্ড এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় প্রশ্নের নম্বর ও সময় বিভাজনে পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বোর্ড তাদের সিদ্ধান্ত জানিয়ে ইতোমধ্যে চিঠিও ইস্যু করেছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বরাবর। হঠাৎ করে বোর্ডের এই সিদ্ধান্ত তাও পরীক্ষার অন্তিম মুহূর্তে শিক্ষার্থীদের বিপাকে ফেলে দিয়েছে। শিক্ষার্থীরা দিশেহারা হয়ে উঠেছে বোর্ডের সিদ্ধান্তে এমন কথাও বলা হচ্ছে। এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরুর আগে যখন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো নির্বাচনী পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করেছে তখন হঠাৎ করেই এসএসসির প্রশ্নের নম্বর ও সময় বিভাজনে পরিবর্তন এনেছে আন্তঃশিক্ষাবোর্ড। ১৮ সেপ্টেম্বর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে ২০১৭ সালের পরীক্ষায় প্রশ্নের নম্বর ও সময় বিভাজন সংক্রান্ত চিঠি পাঠিয়েছে সংশ্লিষ্ট শিক্ষাবোর্ডগুলো। আন্তঃশিক্ষাবোর্ড তাদের চিঠিতে আগামী এসএসসি পরীক্ষায় বহুনির্বাচনী (এমসিকিউ) পরীক্ষায় ১০ নম্বর কমিয়ে সৃজনশীল অংশে ১০ নম্বর বাড়ানোর সিদ্ধান্ত জানিয়েছে। এছাড়া আগে যেখানে দুই ঘণ্টা ১০ মিনিটে ছয়টি সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর দিতে হতো। এবার একটি প্রশ্ন বাড়িয়ে সাতটি সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর লিখতে হবে শিক্ষার্থীদের। সৃজনশীলে ছয়টি প্রশ্নের উত্তর দেয়া নিয়েই শিক্ষা সংশ্লিষ্টরা আপত্তি জানিয়ে আসছিলেন। পরীক্ষার্থীরা বহুনির্বাচনী পরীক্ষার ক্ষেত্রে ৩০ মিনিট এবং সৃজনশীল অংশের জন্য আড়াই ঘণ্টা সময় পাবে। নতুন নিয়মে এই দুই অংশের পরীক্ষায় কোনো বিরতি থাকবে না। বিরতিহীনভাবে তত্ত্বীয় পরীক্ষা নেয়া হবে। শিক্ষার্থীরা ইতোমধ্যে পুরোনো নিয়মে প্রাক-নির্বাচনী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে। পূর্বের নিয়মেই তারা নির্বাচনী পরীক্ষা দেয়ারও প্রস্তুতি নিচ্ছে। সেই প্রস্তুতির ধারাবাহিকতাতেই অংশ নেবে এসএসসি পরীক্ষায় এরকম প্রত্যাশা থেকেই শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা প্রস্তুতির মাঝে হঠাৎ করে কেন শেষ সময়ে নতুন সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেয়া হলো তা বোধগম্য না। আগামী ১ ফেব্রুয়ারি থেকে ৮টি সাধারণ শিক্ষাবোর্ড, একটি মাদরাসা ও একটি কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের অধীনে ১৫ লাখ শিক্ষার্থী মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমান পরীক্ষায় অংশ নেবে। পরীক্ষার মাত্র চার মাস আগে হঠাৎ করে চাপিয়ে দেয়া কোনো সিদ্ধান্ত থেকে যেন শিক্ষার্থীদের বড় ক্ষতির সম্মুখিন হতে না হয়, তাদের পরীক্ষার প্রস্তুতিতে যেন কোনো ব্যাঘাত না ঘটে সেদিকটিতে শিক্ষাবোর্ডগুলো নজর দেবে। শিক্ষার্থীদের শঙ্কামুক্ত করবে।