চুয়াডাঙ্গার বেগমপুর ও তিতুদহ ইউনিয়নে এখনও প্রস্তুত হয়নি ১০ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রির তালিকা

 

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বেগমপুর ও তিতুদহ ইউনিয়নের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় ১০ টাকা কেজি দরে চাল গ্রাপ্তি সুবিধাভোগীদের তালিকা প্রস্তুত হয়নি এখনও। সেপ্টেম্বর মাসের আর মাত্র একদিন বাকি থাকলেও শেষ দিন শুক্রবার সাপ্তাহিক সরকারি ছুটি। রাজনৈতিক নেতাদের মধ্যে সমঝোতা না হওয়ায় করা যায়নি তালিকা। এর জন্য ২ হাজার ৪৬৯ জন হতদরিদ্র পরিবার ১০ টাকা কেজি দরের চাল প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হবে।

গত ৭ সেপ্টেম্বর খাদ্য-বান্ধব কর্মসূচির আওতায় ১০ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রি শুরু করে সরকার। সেপ্টেম্বর, অক্টোবর, নভেম্বর এবং মার্চ ও এপ্রিল মাসে হতদরিদ্র মানুষের মাঝে এ চাল বিক্রির সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। চলতি মাসের আর মাত্র একদিন বাকি থাকলেও এখনও প্রস্তুত হয়নি চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বেগমপুর ও তিতুদহ ইউনিয়নের সুবিধাভোগীদের তালিকা। দায়িত্বপ্রাপ্তরা কয়েক দিন ধরে তালিকা তৈরি করতে না পারায় গতকাল সকাল ১১টার দিকে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার কেএম মামুন উজ্জামান চূড়ান্ত তালিকার খোঁজখবর নিতে ইউনিয়ন দুটিতে যান। এ সময় তিনি কমিটির সকল সদস্যদের উপস্থিত থাকার আহ্বান করেন। বেগমপুর ইউপিতে গণ্যমান্য ব্যক্তি হিসেবে মো. হামিদুল্লাহ, মিজানুর রহমান, আব্বাস উদ্দিন ও হাবিবুর রহমান কাজল অন্তর্ভুক্ত এবং তিতুদহ ইউপিতে মিজানুর রহমান টিপু, মোকাদ্দেস হোসেন, গিয়াস উদ্দিন ও শাহ আলম অন্তর্ভুক্ত হন। তালিকা নিয়ে শুরু হয় যুক্তিতর্ক কর্তৃত্ব আর নেতৃত্ব। এ সময় ইউপি চেয়ারম্যান এবং সদস্যরা নিরব দর্শকের ভূমিকা পালন করেন।

সূত্র বলেছে, রাজনৈতিক প্রতিনিধিদের মধ্যে সমঝোতা না হওয়ায় শেষমেশ তিতুদহ ইউনিয়নের ইউপি সদস্যদের দিয়ে তালিকা প্রস্তুতের বিষয়ে একমত হয়। কিন্তু বেগমপুর ইউপিতে কোনো সমঝোতায় হয়নি কোনো পক্ষই। দীর্ঘ সময়ে যে তালিকা করা সম্ভব হয়নি তা একদিনে হবে কীভাবে? যদি তালিকা না করা যায় তাহলে চলতি মাসে এ দুটি ইউনিয়নের ২ হাজার ৪৬৯ জন হতদরিদ্র পরিবার ১০ টাকা কেজি দরের চাল প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হবে।