ঝিনাইদহে ক্রসফায়ারে দু যুবক নিহতের ঘটনায় নিকটজনদের ক্ষোভ

 

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি: ঝিনাইদহ শহরের বাইপাস সড়কে পুলিশের সাথে কথিত বন্দুকযুদ্ধে জহুরুল ইসলাম টিটোন (৩৫) ও তারিক হাসান সজিব (৩০) নামের দুই যুবক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় পুলিশের ৩ কনস্টেবল নাসিম, আলমগীর ও বুলবুল আহত হয়েছেন বলে দাবি করা হয়। নিহত তারিক হাসান আরাপপুরের মৃত আব্দুল লতিফের ছেলে। অন্যদিকে কালীগঞ্জের আগমুন্দিয়া কলেজের প্রভাষক ঝিনাইদহ শহর জামায়াতের আমির জহুরুল ইসলাম টিটোন ঝিনাইদহ পানি উন্নয়ন বোর্ড কলোনির বাসিন্দা সমসের আলী মোল্লার ছেলে। তার বাবা পানি উন্নয়ন বোর্ডের অবসরপ্রাপ্ত শাখা কর্মকর্তা। এদিকে নিহতের স্বজনদের দাবি জহুরুল ইসলামকে গত ৭ সেপ্টেম্বর ও তারিক হাসানকে গত ১৩ সেপ্টেম্বর পুলিশ পরিচয় দিয়ে তুলে নিয়ে যাও হয়। সেই থেকে তারা নিখোঁজ ছিলেন।

ঝিনাইদহের অতিরিক্ত পুলশ সুপার আজবাহার অলী শেখ জানান শহরের বাইপাস সড়ক দিয়ে কালীগঞ্জ থেকে ৩টি মোটরসাইকেলে কয়েকজন সন্ত্রাসী বাসটার্মিনালের দিকে যাচ্ছিলো। পবহাটি শহীদ নজির উদ্দীন সড়কে মোটরসাইকেল ৩টি পুলিশের টহল দল থামানোর সংকেত দিলে তারা পুলিশকে লক্ষ্য করে হাতবোমা নিক্ষেপ ও গুলিবর্ষণ করে। আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। দুই পক্ষের মধ্যে গোলাগুলির এক পর্যায়ে ২টি মোটরসাইকেলে তাদের কয়েকজন পালিয়ে যায়। পুলিশ সেখান থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় দুজনকে উদ্ধার করে গতকাল মঙ্গলবার ভোরে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাদের মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ একটি মোটরসাইকেল, ২টি ওয়ান শুটারগান, ২ রাউন্ড গুলি, ৫টি হাতবোমা ও ২টি চাপাতি উদ্ধার করেছে।

ঝিনাইদহ হাসপাতালমর্গে সজিবের শ্যালক মুসা দাবি করেন, তার ভগ্নিপতি কোনো দলের সাথে জড়িত ছিলেন না। তিনি হারবাল চিকিৎসার ওপর লেখাপড়া শেষ করে কিছুদিন ঝিনাইদহ ইসলামী ব্যাংক কমিউিনিটি হাসপাতালে রোগী দেখতেন। এরপর তিনি সিরাজগঞ্জে নিজস্ব ব্যবসা শুরু করেন। মুসা অভিযোগ করেন- গত ঈদুল আজহার দিন সন্ধ্যায় পুলিশ পরিচয়ে তাকে উঠিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। এ ঘটনায় ঝিনাইদহ সদর থানায় একটি জিডিও করেছেন তারা সজিবের বিরুদ্ধে কোনো মামলা বা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অভিযোগ নেই বলেও দাবি করে তিনি। এদিকে জহুরুল ইসলামের বাবা সমসের আলী মোল্লা জানান, তার ছেলে গত ৭ সেপ্টেম্বর ইসলামী ব্যাংক থেকে টাকা উঠিয়ে ফেরার পথে পুলিশ পরিচয়ে উঠিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। সেই থেকেই জহুরুল ইসলাম নিখোঁজ ছিলো। জহুরুল ইসলাম ছাত্র জীবনে শিবিরের ঝিনাইদহ জেলা সভাপতি পরবর্তীতে ঝিনাইদহ শহর শাখার আমিরের দায়িত্ব পালন করছিলেন। তিনি কোনো সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত ছিলেন না বলে তার পরিবারের দাবি।