দামুড়হুদার বিষ্ণুপুর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জের বিরুদ্ধে আবারও অর্থবাণিজ্যের অভিযোগ : অতিষ্ঠ এলাকাবাসী

 

দামুড়হুদা প্রতিনিধি: দামুড়হুদার বিষ্ণুপুর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ লুৎফর রহমানের বিরুদ্ধে আবারও অর্থবাণিজ্যের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এবার তিনি ওই এলাকার ১১ জন গাঁজাসেবনকারীকে ধরে ২২ হাজার টাকা নিয়ে ছেড়ে দিয়েছে।

এলাকাসূত্রে জানা গেছে, গত সোমবার রাত ৮টার দিকে বিষ্ণুপুর মাঠপাড়ার একটি বাগানের মধ্যে কয়েকজন গাঁজাসেবন করছেন। গোপন সংবাদের মাধ্যমে বিষয়টি জানতে পেরে বিষ্ণুপুর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ লুৎফর রহমান সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে অভিযান চালিয়ে গাঁজা সেবন করা অবস্থায় বিষ্ণুপুর গ্রামের পুটির ছেলে আসানুর (২১), আকরামের ছেলে আবদুল্লাহ (২০), আলাউদ্দিনের ছেলে সুজাল (১৯), মণ্ডলের ছেলে সাহাবুল (২২), নাজিমের ছেলে সেলিম (২০), খাজার ছেলে মামুন (২১), জলিলের ছেলে হাবুল (২৩), শের বকসের ছেলে সাইফুল (২৪), মতলেবের ছেলে ইনামুল (১৯), জহিরের ছেলে আমিরসহ (২২) মোট ১১ জনকে আটক করে বিষ্ণুপুর পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে আসেন। শুরু হয় দেনদরবার। ২৭ হাজার টাকা দাবি করা হলেও দেনদরবারে একপর্যায়ে রাত সাড়ে ১০টার দিকে ২৩ হাজার টাকা উৎকোচ নিয়ে আসামিদের ছেড়ে দেন তিনি। এ বিষয়ে বিষ্ণুপুর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ লুৎফর রহমানের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি ঘটনাটি প্রথমে অস্বীকার করেন। পরে বলেন এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সুপারিশের কারণে ওসি সাহেবকে জানিয়ে কান ধরে উঠবস করিয়ে মুচলেকা নিয়ে তাদেরকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। দামুড়হুদা মডেল থানার ওসি আবু জিহাদ বলেন, ১১ জনকে আটক করা হয়েছিল এটা আমাকে জানানো হয়নি। আমাকে বলা হয়েছে উঠতি বয়সী ৩ জনকে আটক করা হয়েছে। আমি মানবিকদিক বিবেচনা করে ছেড়ে দিতে বলেছি।

এদিকে বিষ্ণুপুর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ লুৎফর রহমানের অত্যাচারে এলাকার নিরীহ লোকজন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে বলে অভিযোগ করেছে এলাকাবাসী। এলাকাবাসী আরও বলেছে, তিনি মোটরসাইকেল চেকিঙের নামে দীর্ঘদিন ধরে এলাকার জনগণকে হয়রানি করে আসছে। বিষয়টি পুলিশ সুপারের সুদৃষ্টি কামনা করার পরও কোন প্রতিকার না পেয়ে পুলিশ প্রশাসনের উপর বিরুপ মন্তব্য করেছেন এলাকার ভূক্তভোগি জনসাধারণ। বিষ্ণুপুর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ  লুৎফর রহমান এলাকার লোকজনের সাথে বলেছেন, তার বিরুদ্ধে যত অভিযোগই উঠুক না কেন তার কিছুই হবে না। তার বিরুদ্ধে কয়েকবার সত্য অভিযোগের পরও উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ নীরব। এলাকাবাসি জানতে চেয়েছে তার খুটির জোর কোথায়।