সফল হোক তাবলিগ জামাতের চুয়াডাঙ্গায় প্রথম ইজতেমা

 

সম্পাদকীয়

 

চুয়াডাঙ্গায় প্রথম বারের জেলা ভিত্তিক বিশ্ব ইজতেমার আজ শনিবার আখেরি মুনাজাত। গতবছর মেহেরপুরে এ আয়োজন করা হলেও তাবলীগ জামাতের সিদ্ধান্ত মোতাবেক মেহেরপুর জেলার মসুল্লিরা এবার ঢাকার তুরাগতীরে আয়োজনে অংশ নেবেন। আগামীবছর চুয়াডাঙ্গা জেলার মসুল্লিরা তুরাগতীরের আয়োজনে অংশ নেয়ার সুযোগ পেলেও মেহেরপুর জেলায় অনুষ্ঠিত হবে জেলা ভিত্তিক বিশ্ব ইজতেমা।

বাংলাদেশে তাবলিগ জামায়াতের ইজতেমা শুরু হয় মূলত ১৯৪৪ সালে। প্রথমে ঢাকার কাকরাইলের মসজিদে আয়োজন করা হলেও পারবর্তিতে তুরাগতীরে আয়োজন করা হয়। সুদীর্ঘ সাড়ে তিন যুগেরও বেশি সময় ধরে ঢাকার অদুরবর্তী টঙ্গীর তুরাগ নদীর তীরে নিয়মিত অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে বিশ্ব ইজতেমা। ২০১১ সাল থেকে এক সাথে এতো ধর্মপ্রাণ মানুষের সঙ্কুলান না হওয়ায় দু’ পর্বে ইজতেমা চলার সিদ্ধান্ত হয়। সেই ধারাবাহিকতাও ধরে রাখা সম্ভব হয়নি। একদিকে তুরাগতীর অবৈধ দখল, আরদিকে যোগাযোগ ব্যবস্থায় অপ্রতুলতা। এসব কারণেই দেশের ৬৪টি জেলাকে দু ভাগে বিভক্ত করে ৩২ জেলা নিয়ে তুরাগতীরের আয়োজন করা হয়, বাকি জেলাগুলোতে অনুষ্ঠিত হয় জেলা ভিত্তিক বিশ্ব ইজতেমা। তারই অংশ হিসেবে গত বৃহস্পতিবার থেকে চুয়াডাঙ্গা জেলা শহরের মহিলা কলেজ সংলগ্ন জমিতে শুরু হয় তিনদিনের বিশ্ব ইজতেমা। পূর্ণাঙ্গতা দিতে দেড় দুমাস আগে থেকেই যেমন চলে প্রস্তুতি, তেমনই স্বেচ্ছাশ্রমে অংশ নেন বহু ধর্মপ্রাণ মানুষ। আয়োজন শান্তিপূর্ণ করতে জেলা পুলিশ প্রশাসন কয়েক স্তরের নিরাপত্তা বেষ্টনি গড়ে তোলে যেমন, তেমনই স্থাপন রকা হয় নিরাপত্তা ক্যামেরা। আজ আখেরি মুনাজাতের মধ্যদিয়ে সম্পন্ন হবে এবারের আয়োজন। গতকাল পবিত্র জুম্মার নামাজে লাখো মসুল্লি অংশ নেন। জোহর নামাজের পর পরই আখেরি মুনাজতে ঠিক কতোজন শরীক হবেন তা অনুমান করাও কঠিন।

তাবলিগ আরবি শব্দ, বালাগ শব্দ থেকে আগত। যার শাব্দিক অর্থ পৌঁছানো, প্রচার করা, প্রসার করা, বয়ান করা, চেষ্টা করা, দান করা ইত্যাদি। পরিভাষায় একজনের অর্জিত জ্ঞান বা শিক্ষা নিজ ইচ্ছা ও চেষ্টার মাধ্যমে অন্যের কাছে পৌঁছানোকে তাবলিগ বলে। তাবলিগ আদর্শ যিনি পৌঁছেন, তাকে মুবাল্লিগ বলে। বিশ্বনবী (স) এ প্রেক্ষিতে বলেছেন, ‘আমার পক্ষ হতে একটিমাত্র বাণী হলেও তা অন্যের কাছে পৌঁছে দাও।’ তাবলিগ জামাতের প্রচেষ্টা সফল হোক।