প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী প্লেনে নাশকতার চেষ্টা!

 

স্টাফ রিপোর্টার: প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের প্লেনে ইঞ্জিন ট্যাংকির নাটবল্টু ঢিলা পাওয়ায় ঘটনার পেছনে নাশকতার চেষ্টা থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এই বিষয়কে সামনে রেখেই এখন তদন্ত চলছে। বোয়িং ৭৭৭-ইআর উড়োজাহাজের ইঞ্জিনের মধ্যেই রয়েছে অয়েল ট্যাংক। অয়েল সরবরাহ স্বাভাবিক না থাকলে ইঞ্জিন উত্তপ্ত হয়। এর ফলে যে কোনো মুহূর্তে এই ভিভিআইপি বিমানে আগুন ধরে যাওয়ার আশঙ্কা ছিলো। এছাড়া মনিটরে লো অয়েল প্রেসার সঙ্কেত দেয়ার পর ইঞ্জিনটি বন্ধ করে দেয়ার বাধ্যবাধকতা থাকলেও বোয়িং কোম্পানির সেই নির্দেশনা অনুসরণ করা হয়নি। এসব কারণে প্রাথমিক তদন্তে এটি নাশকতার চেষ্টা বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সে দীর্ঘদিন যাবত অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতা চলছে। বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে বাংলাদেশ বিমান করপোরেশনকে কোম্পানিতে রূপান্তরিত করা হয়। কিন্তু এটা এখন পর্যন্ত ঘোষণার মধ্যেই সীমাবদ্ধ রয়েছে। কোম্পানি আইন অনুযায়ী এর কার্যক্রম চলছে না। প্রায় এক দশক অতিবাহিত হলেও বাজারে এর শেয়ার ছাড়া হয়নি। প্রতিবছর পরিচালনা পর্ষদ গঠন করে দিয়ে থাকে সরকার। কোম্পানি ঘোষণার পর থেকেই জাতীয় পতাকাবাহী এ সংস্থায় নিয়ম অনিয়মে পরিণত হয়েছে।

বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন গতকাল বলেন, বিমানের ওপর মন্ত্রণালয়ের কার্যতঃ কোনো কর্তৃত্ব নেই। মন্ত্রণালয়ের সচিব শুধু বিমান পরিচালনা পর্ষদের একজন সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। গত ২৭ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বহনকারী বুদাপেস্টগামী বিমানের ভিভিআইপি ফ্লাইটে মধ্য আকাশে যান্ত্রিক গোলযোগের কারণ হিসেবে সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের অদক্ষতাকে ইতোমধ্যে চিহ্নিত করা হয়েছে। এ ব্যাপারে তিনটি কমিটি পৃথকভাবে তদন্ত অব্যাহত রেখেছে। এরমধ্যে একটি কমিটির প্রাথমিক রিপোর্টের ভিত্তিতে বিমানের ৬ জনকে বুধবার সাসপেন্ড করা হয়। চাকরির বয়স শেষ হওয়ার পরও তিন দফা চুক্তিভিত্তিক নিয়োগপ্রাপ্ত বিমানের ইঞ্জিনিয়ারিং শাখার পদস্থ এক কর্মকর্তার অদক্ষতা ও গাফিলতির প্রমাণ পেয়েছে তদন্ত কমিটি। শিগগিরই তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হতে পারে বলে নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে।