চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চারজন

 

সংরক্ষিত সদস্য ২৩ সাধারণ সদস্য পদে ৬১ জন প্রার্থিতা পেশ করে নামলেন নির্বাচনী মাঠে

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমাদানের শেষ দিন ছিলো গতকাল বৃহস্পতিবার। প্রথমবার অনুষ্ঠিত এই নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মাহফুজুর রহমান মনজুসহ মোট চারজন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। আগামী ৩ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র বাছাই করা হবে।

অপর তিনজন হলেন- জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি সোহরাব হোসেন, কেন্দ্রীয় যুবলীগের সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য শেখ শামসুল আবেদীন খোকন ও সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মামুন অর রশিদ। মনোনয়নপত্র জমাদানের সময় প্রার্থীদের অনুসারী জনপ্রতিনিধিসহ দলীয় নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন দাখিলের সময় প্রার্থীরাও উপস্থিত ছিলেন। গতকাল বুধবার দুপুরে জেলা রির্টার্নিং অফিসার জেলা প্রশাসক সায়মা ইউনুসের হাতে মনোনয়নপত্র জমা দেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী দামুড়হুদা উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক জেলা পরিষদের বিদায়ী প্রশাসক মাহফুজুর রহমান মনজু। সাথে ছিলেন- জেলা আ.লীগের সহসভাপতি খুস্তার জামিল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাবেক পৌর মেয়র রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার টোটন, সাংগঠনিক সম্পাদক মুন্সি আলমগীর হান্নান, পিপি অ্যাড. শামশুজ্জোহা, আলমডাঙ্গা পৌর মেয়র হাসান কাদির গনু, উপজেলা চেয়ারম্যান হেলাল উদ্দীন, ভাইস চেয়ারম্যান কাজী খালেদুর রহমান অরুন, জেলা মহিলা আ.লীগের সভাপতি কহিনুর বেগম প্রমুখ। এরপর চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান চুয়াডাঙ্গার বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মামুন অর রশীদ আঙ্গুর স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দেন। বিকেলে মনোনয়নপত্র জমা দিতে যান বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শামসুল আবেদীন খোকন। মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার সময় তার সাথে ছিলেন জেলা যুবলীগের সাবেক আহ্বায়ক চুয়াডাঙ্গা পৌর মেয়র ওবায়দুর রহমান চৌধুরী জিপু, জীবননগর পৌর মেয়র জাহাঙ্গীর আলম, জীবননগর উপজেলা চেয়ারম্যান আবু মো. আব্দুল লতিফ অমল, জেলা আ.লীগের সাবেক সিনিয়র সহসভাপতি আলী আহমেদ, চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার প্যানেল মেয়র একরামুল হক মুক্তা, প্যানেল মেয়র-২ রেজাউল করিম মুন্সি, রায়পুর ইউপি চেয়ারম্যান তাহাজ্জত মির্জা, আন্দুলবাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান শেখ শফিকুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় যুবলীগের সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শরীফ হোসেন দুদু প্রমুখ। অপরদিকে গতপরশু মনোনয়নপত্র জমা দেন জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি অ্যাড. সোহরাব হোসেন। এ সময় চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার সাবেক চেয়ারম্যান আশরাফ আলী বিশ্বাস, জেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক এসএম রফিউর রহমান, জাতীয় পার্টির জেলা সহসভাপতি  শাহাবুদ্দিন বাবু, শাহাবুদ্দিন বিশ্বাস খোকন, শহীদুল ইসলাম প্রমুখ তার সাথে ছিলেন। এছাড়া সংরক্ষিত সদস্যের পাঁচটি পদে ২৩ এবং ১৫ সাধারণ সদস্য পদে ৬১ প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। সংরক্ষিত সদস্য পদে ১ নং ওয়ার্ডে নুরুন্নাহার কাকলি ও ফরিদা ইয়াসমিন, ২ নং ওয়ার্ডে রাবেয়া খাতুন, আফরোজা আক্তার, শিপ্রা বিশ্বাস, রাশেদা খাতুন, হাসিনা খাতুন ও শাহনাজ পারভীন, ৩ নং ওয়ার্ডে ছাহেরা খাতুন, কাজল রেখা, রাশিদা বেগম, পিনজিরা খাতুন, মনিরা খাতুন ও জান্নাতুল ফেরদৌস, ৪ নং ওয়ার্ডে চম্পা খাতুন, তানিয়া বেগম, রাবেয়া খাতুন ও রাশিদা মমতাজ এবং ৫ নং ওয়ার্ডে নিলুফার ইয়াসমিন, ফারহানা আফরোজ, মিতা খাতুন, রাবেয়া খাতুন ও আনোয়ারা খাতুন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

সাধারণ সদস্য পদে ১ নং ওয়ার্ডে শহিদুল ইসলাম সাহান, আশরাফুল হক, আব্দুল মতিন, মহসিন রেজা ও আসাদুজ্জামান কবির, ২ নং ওয়ার্ডে আতিয়ার রহমান, বাবুল আখতার ও মাফলুকাতুর রহমান, ৩ নং ওয়ার্ডে নির্বাচন স্থগিত, ৪ নং ওয়ার্ডে আশরাফুল আলম, মাহবুবুর রহমান মোল্লা ও আব্দুল লতিফ সরদার, ৫ নং ওয়ার্ডে আবু মুছা, শাহীন রেজা, সমীর কুমার দে, জালাল উদ্দিন ও খন্দকার রেজউয়ান উজ জামান, ৬ নং ওয়ার্ডে তপন কুমার বিশ্বাস, ওয়াজেদ আলী, এএইচএম মোয়াজ্জেম, জয়নাল আবেদীন ও মনোয়ার হোসেন, ৭ নং ওয়ার্ডে খলিলুর রহমান, আলমগীর হোসেন, আলতাফ হোসেন, আব্দুল হান্নান, শায়েকুর রহমান লিটন ও হাশেম মাহমুদ, ৮ নং ওয়ার্ডে মহাবুল ইসলাম, সাজ্জাদুল ইসলাম, ফারুক হোসেন, আসাবুল হক ও আব্দুর রাজ্জাক ফারাজী, ৯ নং ওয়ার্ডে কামাল হোসেন, আব্দুল মান্নান, ইমান আলী, মামুনুর রশীদ, ফারুক হোসেন ও রাকিবুল হাসান, ১০ নং ওয়ার্ডে সিরাজুল ইসলাম, শহিদুল ইসলাম ও সিরাজুল ইসলাম, ১১ নং ওয়ার্ডে শফিউল কবীর, রাশেদুল ইসলাম, বাবুল হোসেন তরফদার নিশান, রতন আলী, শহিদুল ইসলাম, আব্দুর রশিদ, রবিউল হোসেন ও রফিকুল আলম, ১২ নং ওয়ার্ডে হযরত আলী, জাফর আলী, জাহাঙ্গীর আলম ও নজির আহমেদ, ১৩ নং ওয়ার্ডে মামুন মোল্লা, রুস্তম আলী, আব্দুল হক ও মোসাবুল ইসলাম, ১৪ নং ওয়ার্ডে শফিকুল আলম ও আশরাফুজ্জামান টিপু এবং ১৫ নং ওয়ার্ডে মাহবুবুর রহমান প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটানিং কর্মকর্তা আনিছুর রহমান জানান, ৩ ও ১৫ নং ওয়ার্ডে নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে। পরবর্তীতে নির্বাচনের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে। ভোটার সংখ্যা ৫২৮। আগামী ৩ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র বাছাই করা হবে।