মাছ ধরতে মাথাভাঙ্গায় নেমে তলিয়ে গেলো কিশোর রহিম

 

ডুবে যাওয়ার দৃশ্য দেখে একপাড়ের দুজনের চিৎকার অপরপাড়ের কয়েক কৃষকের উদ্ধার তৎপরতা

স্টাফ রিপোর্টার: মাদরাসা থেকে ছুটি নিয়ে মাঝে মাঝে বাড়ি ফিরলে মাতৃস্নেহ হারা আব্দুর রহিম পিতার সাথে মাথাভাঙ্গা নদীতে যেতো মাছ ধরতে। কয়েকদিন আগে অসুস্থতার কারণে ছুটি নিয়ে বাড়ি ফিরে নিজেই তৈরি করেছিলো ঠেলা জাল। ওই ঠেলাজাল নিয়ে শখের বসে গতকাল বৃহস্পতিবার একাই গিয়েছিলো মাথাভাঙ্গায় মাছ ধরতে। কে জানতো, মাছ ধরতে নদীতে নেমে সে নিজেই তলিয়ে যাবে অথৈ জলে?

চুয়াডাঙ্গা জেলা শহরের কেদারগঞ্জ সিএ্যান্ডবি উত্তরপাড়ার মাথাভাঙ্গা নদীতে গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে পানিতে তলিয়ে যাওয়ার দৃশ্য ওপারের দৌলাতদিয়াড় দক্ষিণপাড়া মাঠের কয়েকজন কৃষক দেখলেও তারা বাঁচাতে নামেনি পানিতে। তবে তাদের চিৎকারে সিএ্যান্ডবি উত্তরপাড়ার মাঠের কৃষকদের বেশ কয়েকজন দ্রুত নদীতে নামেন। উদ্ধার করেন। ততোক্ষণে সব শেষ। ১১ বছরের কিশোর আব্দুর রহিমকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেয়া হলে কতর্ব্যরত চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন। মৃতদেহ বাড়িতে নেয়া হলে নিকটজনদের আহাজারীতে বাতাসভারী হয়ে ওঠে। খবর দেয়া হয় পর হয়ে যাওয়া গর্ভধারিনী মাকে। সন্ধ্যায় দাফন কাজ সম্পন্ন করা হয়।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, চুয়াডাঙ্গা সিএ্যান্ডবি উত্তরপাড়ার রাজমিস্ত্রি ফরজুল শেখের প্রথম স্ত্রীর দু ছেলের মধ্যে রহিম ছিলো বড়। তাকে পাঁচকমলাপুর মাদরাসায় ভর্তি করা হয়। সেখানেই পড়তো সে। দিন কয়েক আগে অসুস্থতার কারণে বাড়ি ফেরে। রহিমের মাকে রেখে রহিমের পিতা দ্বিতীয় স্ত্রী ঘরে আনে। এরপর মা ফেরে বাপের বাড়ি দামুড়হুদায়। পরবর্তীতে নতুন সংসার পাতে। এদিকে পিতার বাড়িতেই থাকতো রহিম ও তার ছোটভাই। অবশেষে পানিতে ডুবে মারা গেলো সে।