নাফ নদীর তীরে ভাসছে রোহিঙ্গা শিশুর লাশ

 

মাথাভাঙ্গা মনিটর: কাদায় মুখ থুবড়ে পড়ে আছে ১০ মাসের ছোট্ট শিশু। এ যেনো মুখ থুবড়ে পড়ে আছে মানবতা। যেন প্রাণে বাঁচতে সীমান্ত পার হওয়ার আকুতি জানিয়েছিলো রোহিঙ্গা শিশুটি। কিন্তু নাফ নদীতে নৌকাডুবিতে তার মৃত্যু হয়। মিয়ানমার সীমান্তে নাফ নদীর তীরে মুখ থুবড়ে পড়ে থাকা ওই রোহিঙ্গা শিশুর নাম তোহাইত। মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নৃশংসতা থেকে বাঁচতে রোহিঙ্গাদের ১৫ জনের একটি দল রোববার বাংলাদেশের দিকে আসার চেষ্টা করছিলো। মংডুর এ রোহিঙ্গারা একটি নৌকায় নদীর মধ্যখানে এলে নৌকাটি ডুবে যায়। পরে জোয়ারের পানিতে ভেসে শিশুটির লাশ তীরে চলে আসে। সোমবার মিয়ানমার সময় সকাল ৭টার দিকে নাফ নদীর তীরে দুটি অবুঝ শিশু ও একজন নারীর লাশ পড়েছিলো। এর মধ্যে তোহাইত মাটিতে এমনভাবে পড়েছিলো, যার সঙ্গে গত বছরের ২ সেপ্টেম্বরে সিরিয়ার শরণার্থী শিশু আয়লান কুর্দির মরদেহের মিল পাওয়া গেছে। মালয়েশিয়াভিত্তিক রোহিঙ্গা ভিশন টিভি ও আরাকান টাইমসের মাধ্যমে এ ছবিটি প্রচার হলে তা সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়। ছবিতে দেখা গেছে, তোহাইতের কর্দমাক্ত নিথর দেহ উপুড় হয়ে পড়ে রয়েছে মাটিতে। গায়ে হলুদ রঙের একটি শার্ট। এ শিশুর সঙ্গে একই নৌকায় যাত্রী হয়েছিলেন টেকনাফে সোমবার সকালে উদ্ধার হওয়া রেহানা বেগম (২৩)। ছবি দেখানোর পর তিনি জানিয়েছেন, নিহত শিশুটির নাম তোহাইত। তার বয়স ১০ মাস। তোহাইত মংডুর বড় গওজবিল এলাকার জাফর আলম ও ছেনুয়ারার সন্তান। সে সম্পর্কে রেহানার খালাতো ভাই। যে স্থানটি দেখা যাচ্ছে তা নাফ নদীর মিয়ানমারের ওপারের চিত্র। সোমবার রাতে টেকনাফের এক বাড়িতে আশ্রয় নেয়া রেহানা সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।

গত বছরের শেষ দিকে যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়া থেকে বাঁচার আশায় বাবা-মার সঙ্গে ছোট্ট নৌকায় চেপে বসেছিলো ৩ বছর বয়সী শিশু আয়লান কুর্দি। ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে আশ্রয়ের আশায় যেতে চেয়েছিলো গ্রিসে। কিন্তু সাগরের উত্তাল ঢেউ কেড়ে নিয়েছে আয়লান কুর্দিকে। সাগর তীরে মুখ থুবড়ে পড়েছিল আয়লান কুর্দির নিথর দেহ। সাগর তীরে শিশু আয়লানের পড়ে থাকা মরদেহ হয়ে ওঠে বিপন্ন মানবতার প্রতীক। এনিয়ে সে সময় বিশ্বজুড়ে তুমুল সমালোচনার ঝড় ওঠে। এবার একই চিত্র আবারও ভেসে ওঠলো মিয়ানমারের নাফ নদীর তীরে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ‘জাতিগত নিধনের’ শিকার রোহিঙ্গাদের প্রতীক তোহাইতকে বলা হচ্ছে ‘আয়লান রোহিঙ্গা’। এদিকে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের বিভিন্ন গ্রামে নিরাপত্তা বাহিনীর গণহত্যা ও ধর্ষণ থেকে রেহাই পেতে যেসব নির্যাতিত রোহিঙ্গা দেশ ছেড়ে নাফ নদী হয়ে পালাচ্ছেন, তাদের ওপর সে দেশের সীমান্ত বাহিনী বিজিপি গুলি চালাচ্ছে। নাফ নদীতে নৌকা আরোহী রোহিঙ্গাদের ওপর গুলিতে নারী শিশুসহ অসংখ্য লোক মারা যাচ্ছেন। রোববার রাতে রাখাইনের মংডুর উত্তরাঞ্চলে বিজিপির গুলিতে তিনটি নৌকাডুবির ঘটনায় চার শিশুসহ অন্তত ১৫ জন নিহত হয়েছেন। ওই নৌকার আরোহীদের মধ্যে দু’জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়। অপর নৌকার আরোহীদের মধ্যে নিখোঁজ রয়েছেন ৩১ জন। এদিকে রোহিঙ্গা ভিশন ও আরাকান টাইমসে বলা হয়েছে, ২টি নৌকায় রোহিঙ্গারা নদীপথে বাংলাদেশে ঢোকার পথে গুলি করে বিজিপি। এতে ৩৫ যাত্রীর মধ্যে ১৫ জন মারা গেছেন। ২ জনকে জীবিত উদ্ধার করা গেছে।
এদিকে মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশে সেনাবাহিনী ও পুলিশের নিষ্ঠুর নির্যাতন থেকে রক্ষা পেতে পালিয়ে বাংলাদেশে আসতে গিয়ে সীমান্তের নাফ নদীতে রোহিঙ্গা বোঝাই নৌকাডুবির ঘটনা ঘটেছে। নৌকার ৩৫ আরোহীর মধ্যে এক নারীকে জেলেরা উদ্ধার করলেও বাকিদের জীবনে কি ঘটেছে, তা কেউ বলতে পারছেন না। নাফ নদী থেকে সোমবার সকাল ৭টার দিকে সুমন দাশ নামে এক জেলে নৌকা আরোহী রেহানাকে উদ্ধার  করলে নৌকাডুবির ঘটনা জানাজানি হয়।
মিয়ানমারের মংডু থানার বড় গওজবিল  গ্রামের মৌলভী মো. আলমের স্ত্রী রেহানা। নাফ নদী থেকে উদ্ধার হওয়ার পর তিনি জেলেদের সহায়তায় টেকনাফের নীলাচল ইউনিয়নের জাজিমোড়া গ্রামে এক মামাতো বোনের বাড়িতে আশ্রয় নেন। সকালে তার বিষয়টি জানতে পেরে সাংবাদিকরা নৌকাডুবির ঘটনা জানতে চান। তখন তিনি জানান, ৩৫ জনের মতো রোহিঙ্গা নারী, পুরুষ ও শিশু রোববার রাতে রইঙ্গাডং এলাকা থেকে নৌকায় নাফ নদী হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করছিলেন।  ৯টার দিকে মিয়ানমার সীমান্তে নৌকাটি ডুবে যায়। তিনি সাঁতার কেটে একটি চরে এসে ওঠেন। ওখানে একটা গাছের ওপর সারারাত ছিলেন। সকালে এক জেলে তাকে উদ্ধার করে এক বোনের বাড়িতে পৌঁছে দেন। রেহানা আরও জানান, নৌকায় তার মা, বোন ও ভাতিজাসহ ৫ জন নিকটাত্মীয় ছিলেন। তার বোনকে জীবিত উদ্ধার করা হলেও বাকি চারজন মারা গেছেন বলে জানতে পেরেছেন। এদিকে সোমবার সকালে রেহানাকে যে জেলে উদ্ধার করে টেকনাফের জাজিমোড়া এলাকায় নিয়ে আসেন, সেই জেলে সুমন দাশের সঙ্গে কথা হয় প্রতিনিধির। সুমন দাশ সোমবার সন্ধ্যায় বলেন, রেহানাকে ভাসমান অবস্থায় আমি নাফ নদী থেকে উদ্ধার করি। পরে আমার কাছে থাকা একটি লুঙ্গি তাকে পরতে দেই। নৌকায় করে তাকে নিয়ে আসার সময় তিনি বলেছেন, তাদের আরোহী নৌকাডুবিতে অনেক লোক নিখোঁজ হয়েছেন। কেউ কেউ মারাও গেছেন। তাদের মধ্যে তার মা-বোনও আছেন। তিনি আরও জানান, নদীর মাঝপথ থেকে হঠাৎ নারী-শিশুর কান্নার আওয়াজ পেয়ে সেদিকে যাই আমরা। রাতের আবছা আঁধারে তেমন কিছুই দেখতে পাইনি। সামনে একজনকে পেয়ে নৌকায় তুলে নিয়েছিলাম। বাকিদের অনেক চেষ্টা করেও উদ্ধার করতে পারিনি। বিজিপির ভয় থাকায় বেশি খোঁজ করাও সম্ভব হয়নি। সকালে তারা নাফ নদীতে তিনটি মরদেহ ভাসতে দেখেছেন বলে জানিয়েছেন। তাদের ধারণা, ছোট নৌকাতে অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই করায় এ নৌকাডুবির ঘটনা ঘটে। এদিকে বিজিবি-২ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল আবুজার আর জাহিদ সোমবার জানান, নাফ নদীতে নৌকাডুবির ঘটনা যাচাই-বাছাই করে গণমাধ্যমে প্রকাশ করা উচিত। কেননা উদ্ধার হওয়া নারী সকালে এক ধরনের কথা বলেছেন, বিকালে আবার অন্য কথা বলেন। এ ধরনের কথা কতটুকু বিশ্বাসযোগ্য সেটাও যাচাই করা দরকার। তিনি জানান, অনিবন্ধিত কোনো জেলে এখন থেকে আর নাফ নদীতে মাছ শিকার করতে পারবেন না। জেলে সেজে দালালরা রোহিঙ্গা পার করছে এবং তাদের বাংলাদেশে অনুপ্রবেশে সহায়তা করছে বলে জানা যাচ্ছে। এ কারণে এ ধরনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
বিলাপে রাতের নীরবতা ভাঙছে: মিয়ানমার সেনা ও পুলিশের বর্বরতার শিকার আরও ১৫ পরিবারের শতাধিক নারী-শিশু রোববার ভোররাতে অনুপ্রবেশ করে কুতুপালং ক্যাম্পে আশ্রয় নিয়েছেন। এখানে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের অধিকাংশই মা-বাবা, ভাই-বোন ও স্বামী-সন্তানহারা। তাই দিনে যেমন-তেমন কাটলেও রাতে স্বজনহারাদের কান্নায় ক্যাম্পের পরিবেশ ভারি হয়ে ওঠে। ক্যাম্পে রাতের নীরবতা ভাঙছে নির্যাতিতদের বিলাপে। কুতুপালং ক্যাম্পের এ ব্লকের বাসিন্দা মোহাম্মদ আলমের ঝুপড়িতে এসে আশ্রয় নিয়েছেন মিয়ানমারের মংডু সিকদারপাড়া থেকে পালিয়ে আসা স্বামী-সন্তানহারা বৃদ্ধা জুহুরা খাতুন (৬০)। তিনি জানান, মগ সেনারা তার ছেলে আবু তৈয়বকে (২২) নির্মম নির্যাতন ও গুলি করে হত্যা করেছে। চোখের সামনে তার মেয়ে রওশন বানু (৩০) ও বেগম বাহারকে (২৬) পালাক্রমে ধর্ষণ শেষে নির্মমভাবে হত্যা করে। যাওয়ার সময় তারা বসতবাড়িটি আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেয়। এ নির্মম পৈশাচিকতার বর্ণনা দিয়ে জুহুরা খাতুন বারবার কেঁদে উঠছিল। তিনি জানান, দিনের বেলায় কোনোরকম সময় কাটালেও রাতে সে ভয়াবহ দৃশ্য চোখে ভেসে ওঠে। তাই ঘুমের পরিবর্তে রাত কাটে কান্নায়। মংডু পোয়াখালী ছালিপাড়া থেকে আসা ইলিয়াছ (৩৫) জানায়, সেখানকার সেনাবাহিনী ও পুলিশ তার পিতা আবদুস শুক্কুরকে জবাই করে হত্যা করেছে। এ সময় তার স্ত্রী রহিমাকে (২৫) লক্ষ্য করে গুলি করলে ভাগ্যক্রমে সে বেঁচে যায়। গুলিবিদ্ধ স্ত্রীকে নিয়ে অনেক কষ্টে এপারে চলে আসেন তিনি।
তিনি আরও জানান, তার পাশের বাড়িতে থাকা বোন, তার স্বামী ও ছেলেমেয়েসহ ৫ জনকে সেনাবাহিনী ও পুলিশ ধরে নিয়ে গেছে। তারা বেঁচে আছে কিনা জানি না। শফিউল আলম (৩৫), স্ত্রী নুর বেগম (২৮) ও ৪ ছেলেমেয়েকে নিয়ে এসেছেন মংডুর পোয়াখালী গ্রাম থেকে। তিনি জানান, সেনা সদস্যরা আসতে দেখে সে পার্শ্ববর্তী জঙ্গলে লুকিয়ে পড়ে। তারা চলে যাওয়ার পর বাড়ি এসে দেখি বড় ভাই নুর মোহাম্মদের লাশ মাটিতে পড়ে আছে। পাশের বাড়ির আলী হোছন (৬০), আবুল বশর (২৮), লালুকে (৪০) সেনাবাহিনী ধরে নিয়ে গেছে। পরে শুনেছি তাদের নির্মম নির্যাতন করে জবাই করে হত্যা করা হয়েছে। কুতুপালং ক্যাম্প ম্যানেজমেন্ট কমিটির সভাপতি আবু ছিদ্দিক জানান, রাত নামলে ক্যাম্পে আশ্রয় নেয়া স্বজনহারা রোহিঙ্গাদের কান্নায় অন্যরা ঘুমাতে পারে না। তিনি বলেন, ক্যাম্পে যেসব রোহিঙ্গা আশ্রয় নিয়েছেন তারা কেউ না কেউ আত্মীয়-পরিজনকে হারিয়েছেন। সহায়-সম্বলহীন এসব রোহিঙ্গা একদিকে যেমন স্বজন হারানোর ব্যথা ভুলতে পারছেন না, অন্যদিকে আশ্রয়হীন অবস্থায় অনাহারে-অর্ধাহারে দিন কাটাচ্ছেন। যে কারণে রাত নামলেই নারী-শিশুর কান্নায় বস্তি এলাকায় এক হৃদয়বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়। কুতুপালং বস্তি ঘুরে জানা যায়, রোববার আরও ১৫ পরিবারের শতাধিক রোহিঙ্গা নারী-শিশু অনুপ্রবেশ করে ক্যাম্পে আশ্রয় নিয়েছেন। এদের মধ্যে একজন মংডুর খেয়ারীপ্রাং থেকে আসা ৯ সদস্যের পরিবারের নুরুল আমিন (৪৫) জানায়, তারা কুমিরখালী থেকে লম্বাবিল হয়ে দেড় লাখ (কিয়াত) দালালকে দিয়ে ক্যাম্পে এসেছে। তাদের সঙ্গে ছিলো খেয়ারীপ্রাং গ্রামের আরও ১৫ পরিবারের শতাধিক নারী-পুরুষ-শিশু।
উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আবুল খায়ের অনুপ্রবেশের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, দালালের মাধ্যমে এসব রোহিঙ্গারা অনুপ্রবেশ করতে সক্ষম হচ্ছে। কক্সবাজার ৩৪ বিজিবি’র অধিনায়ক লে. কর্নেল ইমরান উল্লাহ সরকার জানান, অনুপ্রবেশ আগের তুলনায় অনেকটা কমেছে। কারণ সীমান্তের যেসব পয়েন্ট দিয়ে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ করতে সক্ষম হয়েছে সেসব পয়েন্ট চিহ্নিত করে সেখানে বিজিবি’র নজরদারি আরও বাড়ানো হয়েছে।

কুতুপালং ক্যাম্পে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ: স্থানীয় প্রশাসনের বিধিনিষেধ উপেক্ষা করে কুতুপালং বস্তি এলাকায় আশ্রিত রোহিঙ্গাদের ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এনজিও সংস্থা আইএমও আশ্রিত ৩শ’ পরিবারের মধ্যে খাবার তৈরি সরঞ্জামাদি সরবরাহের কথা স্বীকার করলেও বিভিন্ন এনজিও সংস্থা ক্যাম্প সংলগ্ন পাহাড়-জঙ্গলে ত্রাণ বিতরণ করছে। সচেতন মহল মনে করছেন, ঢালাওভাবে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করা হলে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ আরও বৃদ্ধি পেতে পারে। তাই ত্রাণসামগ্রী বিতরণ নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়। রোববার বেলা ১১টার দিকে ক্যাম্প সংলগ্ন জঙ্গলাকীর্ণ পাহাড়ে কে বা কারা ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করছে। জানতে চাইলে ইনানী রয়েল রিসোর্ট লিমিটেডের লোকজন ব্যক্তি উদ্যোগে আশ্রিতা রোহিঙ্গাদের ত্রাণসামগ্রী বিতরণের সত্যতা স্বীকার করেন। এর আগের রাতে বস্তির পাহাড়ে বিপুল পরিমাণ শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে বলে নিবন্ধিত নেতা ফয়সাল আনোয়ার জানিয়েছেন। এনজিও সংস্থা আইএমও’র প্রোগ্রাম ম্যানেজার সৈকত বিশ্বাস জানান, তারা সদ্য আশ্রিত ৩শ’ পরিবারকে খাবার তৈরির সরঞ্জামাদি সরবরাহ করেছেন।