আলমডাঙ্গার পাঁচলিয়া মধুপুর সড়কে বেপরোয়াগতির মোটরসাইকেল গাছের সাথে ধাক্কা
কেএ মান্নান: আলমডাঙ্গার পাঁচলিয়া মধুপুর সড়কে বেপরোয়াগতির মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সাথে ধাক্কা মেরে হতাহত হয়েছে দুজন। নিহত আরোহীর মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আর গুরুতর জখম চালককে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গতকাল সোমবার সকালে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
দুর্ঘটনায় নিহত যুবক রইচ উদ্দিন (২৩) জামজামি ইউনিয়নের বিল পাঁচলিয়া গ্রামের দরিদ্র ইন্তাজ মণ্ডলের ছেলে। সে ঢাকা গাজিপুরে টাইলস মিস্ত্রির কাজ করতো। গুরুতর আহত চালক সোহেল একই গ্রামের নোয়াজ আলীর ছেলে। সে তার মামার জংশন ৫০ মোটরসাইকেল নিয়ে বেপরোয়াগতিতে ছুটতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের ধারের গাছের সাথে ধাক্কা মারে।
জানা গেছে, পাঁচরিয়া গ্রামের সোহেল ও রইচ বাল্যবন্ধু। দু বন্ধু মামার মোটরসাইকেল নিয়ে ঘুরতে বের হয়। পাঁচলিয়া বাজার ও মধুপুর বাজারের মধ্যবর্তী ভেঁদাখালী কার্লভাট সংলগ্ন সড়কে দুর্ঘটনার শিকার হয় তারা। দুর্ঘটনায় হতাহতের খবর ছড়িয়ে পড়লে উৎসুক জনতা ভিড় জমায়। ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে দেখা যায়, সড়কের বাম পাশের মেহগিনি গাছের কাছেই পড়ে রয়েছেম মোটরসাইকেল। মোটরসাইকেলের পেছনে বসা যুবকের নিথর দেহ ছিলো পাশেই।
নিহতের হতদরিদ্র বাবা ইন্তাজুল মণ্ডল ও মা নাজেরা খাতুন ছেলে হারানো শোঁকে বারবার জ্ঞান হারাতে থাকেন। দৃশ্য দখে অনেকে ধরে রাখতে পারেননি চোখের পানি। দুর্ঘটনায় প্রাণহানির বিষয়টি প্রত্যক্ষদর্শী দু ছাত্রের বক্তব্যে স্পষ্ট হলেও পুলিশের দৃটিতে সন্দেহের গন্ধ মেলে। ফলে লাশ উদ্ধার করে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়। কেউ কেউ বলতে থাকেন, সড়কের মেহগিনি গাছের ডাল কাঁটছিলেন পাশের গ্রাম মধুপুরের খোঁদাবক্স মণ্ডলের ছেলে আনোয়ার মণ্ডল ও ছেলে বিএনপি নেতা হাইস্কুল শিক্ষক আলমগীর হোসেন। মোটরসাইকেল যোগে এ স্থান অতিক্রমকালে মেহগিনি গাছের কর্তনকৃত ডাল পড়েছে মোটরসাইকেলের ওপর। অলিখিত এ অভিযোগের প্রেক্ষিতে পুলিশ লাশ ময়নাতদন্তের উদ্যোগ নিয়েছে। আজ মঙ্গলবার চুয়াডাঙ্গার হাসপাতাল মর্গে ময়নাতদন্ত করা হতে পারে।