দুর্ঘটনায় জখম পাকিভ্যান চালকের মৃত্যু : স্বামীর লাশ ফেলে স্ত্রী নিরুদ্দেশ?

চুয়াডাঙ্গা-জীবননগর সড়কের দর্শনা ফিলিংস্টেশনের সামনে মোটরসাইকেলের সাথে ধাক্কা

বেগমপুর প্রতিনিধি: দর্শনা-জীবননগর সড়কের দর্শনা ফিলিং স্টেশনের সামনে মোটরসাইকেল পাখিভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষে পাকিভ্যান চালক আরজ আলীর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। স্বামীর লাশ ফেলে স্ত্রী ভ্যান আনতে গিয়ে লাপাত্তা হয়েছেন। কোনো অভিযোগ না থাকায় আরজ আলীর লাশ তার পরিবারের লোকজনের নিকট তুলে দিয়েছে পুলিশ।
জানা যায়, মেহেরপুর জেলার গাংনী উপজেলার ষোলটাকা গ্রামের নুর ইসলামের ছেলে আরজ আলী গত দু মাস আগে ঘরে স্ত্রী রেখে অন্য এক মহিলাকে নিজের স্ত্রী পরিচয় দিয়ে ৩শ টাকার চুক্তিতে ভাড়ায় ওঠেন চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বেগমপুর ইউনিয়নের আকন্দবাড়িয়া গ্রামের আনোয়ার হোসেনের বাড়িতে। স্বামী-স্ত্রীর সংসার চালাতে একটি পাখিভ্যান কিনে আয়রোজগার করতে থাকেন আরজ আলী। গত সোমবার দুপুর ১২টার দিকে দর্শনা-জীবননগর সড়কের দর্শনা ফিলিং স্টেশনের সামনে মোটরসাইকেল পাখিভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষে গুরুত্বর আহত হন আরজ আলী (৫০)। আহত আরজ আলীকে উর্দ্ধার করে নেয়া হয় চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে। কর্তব্যরত ডাক্তার তার উন্নত চিকিৎসার অন্যত্রে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। অর্থাভাবে আরজ আলীকে তার স্ত্রী চিকিৎসার জন্য কোথাও না নিয়ে যেতে পেরে সন্ধ্যার দিকে ভাড়া বাড়ি আকন্দবাড়ি ফিরে আসে। সিদ্ধান্ত নেয় সকালে পাকিভ্যান বিক্রি করে স্বামীকে চিকিৎসার জন্য রাজশাহী নিয়ে যাবেন। কিন্তু পরের দিন অর্থাত গতকাল মঙ্গলবার ভোর ৬টার দিকে আরজ আলীর মৃত্যু হয়। স্বামী আরজ আলীর লাশ নিয়ে যাওয়ার জন্য ভ্যান দেখার নাম করে ভাড়াটিয়া বাড়ি থেকে স্ত্রী বেরিয়ে লাপাত্তা হয়ে যান। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে বেগমপুর ক্যাম্প পুলিশ। আরজ আলীর গ্রামের বাড়িতে খবর পাঠায় পুলিশ। খবর পেয়ে সকাল ১০টার দিকে নিহত আরজ আীলর ভাইসহ ষোলটাকা গ্রামের কয়েকজন আকন্দবাড়িয়া গ্রামে হাজির হয়।
পুলিশ জানায়, বেলা ২টার দিকে আরজ আলীর লাশ তার পরিবারের নিকট তুলে দেয়া হয়। এদিকে আরজ আলীর ভাই এবং ভাড়া বাড়ির লোকজন তার স্ত্রীর কী নাম বা কোথাকার মহিলা কিছুই বলতে পারেনি। তবে আরজ আলী যাকে স্ত্রী পরিচয় দিয়ে ভাড়াবাড়িতে উঠেছিলেন সে মহিলার বয়স চল্লিশ উর্দ্ধো হবে।
অপরদিকে যে মোটরসাইকেলের সাথে সংঘর্ষ হয়ে ছিলো তারও কোনো সন্ধান করতে পারেনি পুলিশ। এ বিষয়ে বেগমপুর ক্যাম্প পুলিশের ইনচার্জ এসআই মাসনুন আলম বলেন, নিহত আরজ আলী দুর্ঘটনায় পড়ে মাথার পেছনে গুরুত্বর আঘাত পেয়েছে। রাতে বোমিও করেছে সে। পরিবারের লোকজনের কোনো অভিযোগ না থাকায় আরজ আলীর লাশ তার পরিবারের লোকজনের নিকট তুলে দেয়া হয়।