প্রতিপক্ষের সাথে বাগবিত-া ধস্তাধস্তি : ঝরলো বৃদ্ধের প্রাণ

চুয়াডাঙ্গা আলমডাঙ্গার নগরবোয়ারিয়ায় রাস্তার জমি নিয়ে প্রতিবেশীদের বিরোধ

স্টাফ রিপোর্টার: রাস্তার জমি ঠেলাঠেলি নিয়ে সৃষ্ট বিরোধের জের ধরে ধাক্কাধাক্কির এক পর্যায়ে মারা গেছেন ৬৩ বছর বয়সী নজরুল ইসলাম। তিনি আলমডাঙ্গার পল্লি নগরবোয়ালিয়ার মৃত মোকার উদ্দীন বিশ্বাসের ছেলে। তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে বলে নিকটজনেরা অভিযোগ করলেও পুলিশ সুরতহাল রিপোর্টের সময় তেমন আলামত পাননি বলে মন্তব্য করেছেন।
নজরুল ইসলামের মৃতদেহ চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালমর্গে গতকাল বুধবার দুপুরে ময়নাতদন্ত করা হয়। বিকেলে নেয়া হয় নিজ গ্রামে। রাত ৮টার দিকে নিজ গ্রামের কবরস্থানে দাফন কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনার পর পরই ঘটনাস্থল নগরবোয়ারিয়া পরিদর্শন করেন চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ছুফি উল্লাহ। তিনি স্থানীয়দের নিকট ঘটনার বর্ণনা শোনেন।
স্থানীয়রা বলেছেন, মৃত মোকার উদ্দিন বিশ্বাসের ছেলে নজরুল ইসলামের সাথে প্রতিবেশী মৃত নূর ইসলাম ওরফে ফড়িং বিশ্বাসের দু ছেলে শরীফ উদ্দীন ও শিলুসহ কয়েকজনের সাথে বাড়ির পাশের রাস্তার জমি নিয়ে বিরোধ রয়েছে। রাস্তার জমি ঠেলাঠেলি নিয়ে বিরোধের সূত্র ধরে গতকাল সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ঝগড়া শুরু হয়। এক পর্যায়ে শরিফসহ তাদের লোকজন ছুটে যায়। ধাক্কা ধাক্কির মাঝে আছড়ে পড়েন নজরুল ইসলাম। তাকে দ্রুত উদ্ধার করে নেয়া হয় হারদী স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে। কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নজরুল ইসলামের ছেলে রায়হান আলী বলেন, শারীফ উদ্দীন, শিলু ও প্রতিবেশী জাহাঙ্গীর, হান্নানসহ ওদের লোকজন ছুটে গিয়ে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। শ্বাসরোধ করে হত্যা করে।
জরুল ইনসলামের মৃতদেহ উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালমর্গে নেয়া হয়। দুপুরে ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করা হয়। সেখানে উপস্থিত তার নিকটজনদের নিকট ঘটনার বর্ণনা শোনেন চুয়াডাঙ্গার ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার বেলায়েত হোসেন। তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, যেহেতু রাস্তার জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে ধাক্কা ধাক্কির মাঝে পড়ে তিনি মারা গেছেন, সেহেতু ময়নাতদন্ত করে আমরা নিশ্চিত হতে চাইছি তার মৃত্যুর প্রকৃত কারণ। তাছাড়া অভিযোগের বিষয়টিও ক্ষতিয়ে দেখা হচ্ছে।
নজরুল ইসলাম ৩ ভাইয়ের মধ্যে বড়। তার রয়েছে ১ ছেলে ৩ মেয়ে। সকলেই বিবাহিত। কৃষিকাজ করতেন নজরুল ইসলাম। বাড়ির পাশের রাসতার জমি প্রতিবেশীরা তার দিকে ঠেলে দিচ্ছে বলে তিনি যেমন অভিযোগ তুলে আসছিলেন, তেমনই প্রতিবেশী শিলু ও শরিফও পাল্টা অভিযোগ করে আসছিলেন। জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে শেষ পর্যন্ত ঘটলো প্রাণহানীর ঘটনা। স্থানীয়রা বলেছে, গ্রেফতার এড়াতে শরিফ, শিলুসহ তাদের লোকজন আত্মগোপন করেছে। যদিও গতরাতে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত হত্যা মামলা রুজু হয়নি। পুলিশও এ ঘটনার সাথে জড়িত তেমন কাউকে ধরতে পারেনি।