Untitled

আলমডাঙ্গার সর্বত্র ছড়িয়ে পড়েছে জাল টাকার ছড়ছড়ি

বেলগাছি প্রতিনিধি: আলমডাঙ্গায় জাল টাকার কারবারিরা আবারও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। পূর্বে শুধুমাত্র ব্যাংক ও পশুহাটে জালটাকার কারবারিদের আধিপত্য থাকলেও ইদানিং তাদের দৌরাত্ব প্রায় সব ক্ষেত্রেই ছড়িয়ে পড়েছে।

জানা গেছে, আলমডাঙ্গা পশুহাটে জাল টাকার ব্যবসায়ীদের দৌরাত্ব কমবেশি সব সময়ই ছিলো। কিছুদিন সোনালী ব্যাংক আলমডাঙ্গা শাখায়ও জালটাকা ব্যবসায়ীচক্রের দৌরাত্ব বেশ ভাবিয়ে তুলেছিলো গ্রাহক সাধারণকে। জালটাকার কারবারিদের খপ্পরে পড়ে ব্যাংকের এই শাখায় ইতঃপূর্বে পৃথক কয়েকটা ঘটনায় বেশ কয়েকজন গ্রাহক প্রতারিত হয়েছেন।

কিন্তু বর্তমানে শুধু ব্যাংক ও পশুহাটে মধ্যেই এই জালটাকার কারবারিদের দৌরাত্ব সীমাবদ্ধ নেই। এদের দৌরাত্ব এখন আলমডাঙ্গা শহরের সর্বত্র ছড়িয়েছে। গত ১৪ জানুয়ারি শনিবার আলমডাঙ্গা উপজেলার পোয়ামারী গ্রামের হাশেম আলীর ছেলে কাশেম আলী আলমডাঙ্গা শহরের স্থানীয় একটি এনজিও থেকে ২৬ হাজার টাকা ঋণ গ্রহণ করেন। উত্তোলিত এ টাকার মধ্যে ১ হাজার টাকার একটি জাল নোট ছিলো বলে অভিযোগ উঠেছে। একই  গ্রামের আব্দুল গণির ছেলে মিজানুর রহমান গত ৪ দিন পূর্বে একটি গাছ বিক্রয় করেন একই গ্রামের গাছব্যবসায়ী মনোয়ার হোসেন মনুর নিকট। মনোয়ার তাকে গাছ বিক্রি বাবদ ৬ হাজার টাকা দেন। যার মধ্যে ৫টি এক হাজার টাকার নোটই জাল ছিলো বলে অভিযোগ রয়েছে। বেলগাছি গ্রামের পূর্বপাড়ার মৃত মহি উদ্দীনের ছেলে ভূষিমাল ব্যবসায়ী আনিস মণ্ডল গত ১৫ জানুয়ারি লেনদেনের মধ্যে একটি এক হাজার টাকার নোটে জাল অস্তিত্ব খুঁজে পেয়েছেন। বেলগাছি গ্রামের পশু খামারী কালামও জাল টাকার প্রতারকচক্রের প্রতারণার শিকার হয়েছেন বলে জানা গেছে। এভাবে প্রতিদিন আলমডাঙ্গার সর্বত্র কেউ না কেউ জাল টাকার কারবারীদের খপ্পরে পড়ে সর্বশান্ত হচ্ছেন। সম্প্রতি আলমডাঙ্গা উপজেলার কাবিলনগর গ্রামের হায়দার নামের এক কৃষককে মোষ বিক্রির টাকার মধ্যে ৫০টি এক হাজার টাকার জাল নোট ঢুকিয়ে দেয়া হয়েছিলো। গ্রামে সালিস করেও এ জাল টাকার সমস্যার সমাধান হয়নি।

জালটাকার কারবারিদের দৌরাত্ব রুখতে এই মুহূর্তে আলমডাঙ্গার সর্বত্র প্রশাসনিক বিশেষ অভিযানের প্রয়োজন বলে সচেতন অনেকে মন্তব্য করেছেন।