শীতের তীব্রতা হ্রাস পেলেও শীতজনিত শিশুরোগের প্রাদুর্ভাব বৃদ্ধি

 

স্টাফ রিপোর্টার: তীব্র শীতে বেড়েছে লোটা ভাইরাসের প্রকোপ। একই সাথে বড়দের পরিচ্ছন্নতা বিষয়ে অসচেতনতার কারণেও শিশুদের মধ্যে ডায়ির প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। গতকাল সকাল থেকে রাত সাড়ে ১১টা পর্যন্ত চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ৩৯ জন শিশু ভর্তি করা হয়েছে। এর মধ্যে ২৪ জন শিশুই ডাইরিয়া আক্রান্ত। যাদের অধিকাংশেরই বয়স ১ থেকে ৫ বছর।

শীতের তীব্রতা ধীরে ধীরে হ্রাস পেলেও শীতজনিত রোগাক্রান্তর সংখ্যা তেমন কমছে না। বরঞ্চ বেড়েই চলেছে। চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল সূত্র এরকমই  তথ্য দিয়ে বলেছে, গতকাল বুধবার একদিনেই যখন ডাইরিয়া আক্রান্ত ২৪ শিশুকে ভর্তি করতে হয়েছে তখন ডাইরিয়া প্রদুর্ভাবের বিষয়টি অস্বীকার করা যায় না। শুধু ডাইরিয়া নয়, নিউমনিয়া আক্রান্ত শিশুর সংখ্যাও দিন দিন বাড়ছে। গতকাল ভর্তিকৃত শিশুর মধ্যে ১৫ জন নিউমনিয়া আক্রান্ত। কর্তব্যরত চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেছেন রোটা ভাইরাসের কারণে যেমন ডাইরিয়া, তেমনই শিশুদের পরিচর্যায় অপরিষ্কার হাতে খাওয়ানো ও বাসি নষ্ট খাবার দেয়ার কারণেও ডাইরিয়া আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে। ফলে শিশুদের পরিচর্যায় নিয়োজিতদের বাড়তি সতর্কতা প্রয়োজন।

এদিকে আবওয়া অফিসূত্র জানিয়েছে, গতকাল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা টেকনাফে ২৯ দশমিক ৩ ও সর্বনিম্ন শ্রীমঙ্গলে ৭ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে রকর্ড করা হয়। তেতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিলো ৭ দশমিক ৬। চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ ২৬ দশমিক ২ ও সর্বনিম্ন ৯ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। অবহাওয়া অধিদফতর আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলেছে, উপ-মহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ বিহার ও তৎসংলগ্ন এলাকা পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মরসুমি লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। এর একটি বর্ধিতাংশ উত্তর পূর্ব বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারী ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। রাঙ্গামাটি, শ্রীমঙ্গল, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, পাবনা, যশোর, কুষ্টিয়া ও বরিশাল অঞ্চলসহ রংপুর বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্য প্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে। সারাদেশে রাত ও দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।