হাসপাতালে মাতালের যাচ্ছে তাই কাণ্ড : ছড়িয়েছে আতঙ্ক

 

স্টাফ রিপোর্টার: ধারালো অস্ত্রধারী এক মাতাল গতরাত সোয়া ১০টার দিকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে যাচ্ছে তাই করেছে। আনুমানিক ৩০-৩২ বছর বয়সী যুবক মদ্যপাবস্থায় হাসপাতালের ফিমেল সার্জারি ওয়ার্ডে সেবিকার কক্ষে মাতলামি শুরু করে। কৌশলে হুমকি দেয়। সেখান থেকে ফিরে জরুরি বিভাগে কতর্ব্যরত চিকিৎসকের কক্ষে প্রবেশ করে। তাকে সরে যেতে বলা হলে জ্যাকেটের ভেতরে লুকোনো ধারালো অস্ত্র ডাসা বের করে রুখে যায়। এতে চরম আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। শেষ পর্যন্ত তাকে লাঠি হাতে নিয়ে জরুরি বিভাগের স্বেচ্ছাসেবক রুখে দাঁড়ালে মাতাল সরে পড়ে। খবর পেয়ে ঘটনার প্রায় ১৫ মিনিটের মাথায় পৌঁছায় পুলিশ। না, মাতালের টিকি ছুঁতে পারেনি পুলিশ দল।

ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেছেন, রাত সোয়া ১০টার দিকে জিন্সের প্যান্ট ও কালো জ্যাকেট পরা শ্যামবর্ণের এক ব্যক্তি ফিমেল সার্জারি ওয়ার্ডের নার্সের রুমে ঢুকে চেয়ারে বসে। এখানে সাংবাদিকরা আসে? প্রশ্ন তুলে অসৌজন্যমূলক আচরণ করছে দেখে কতর্ব্যরত সেবিকা জানতে চান, কোনো রোগী আছে কি-না। রোগী নেই শুনে ও মুখে মদের গন্ধ পেয়ে সেবিকা দ্রুত তাকে বিদায় করার উদ্যোগ নেন। মাতাল বলে, ওই চেয়ারটা যদি ওপরে তুলে ফেলে দেয়া যায় তাহলে কি হবে? ভেঙে যাবে বলতেই মাতাল শাসানির স্বরে বলে, কথাটা মনে রেখেন। এ কথা বলে মাতাল সেখান থেকে বের হয়ে হাসপাতালের ইমার্জেন্সিতে কর্তব্যরত চিকিৎসকের রুমে ঢুকে পড়ে। চিকিৎস রুম থেকে বের হয়ে স্বেচ্ছাসেবকদের বিষয়টি দেখতে বলেন। স্বেচ্ছাসেবকরা তাকে চলে যেতে বলে। এ সময় মাতাল যুবক জ্যাকেট লুকোনো একটি ধারালো অস্ত্র ডাসা বের করে। আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েন সকলে। স্বেচ্ছাসেবকেরা চিৎকার দেয়ার পাশাপাশি লাঠি বের করে। লাঠি দেখে মাতাল সরে গেলেও আরও একটি অস্ত্র বের করে দুটি অস্ত্র ঘষে হুমকি দিতে শুরু করে। দ্রুত খবর দেয়া হয় পুলিশে।

কতর্ব্যরত চিকিৎসক ডা. এহসানুল হক মাসুম বলেছেন, আমরা যারা হাসপাতালে কতর্ব্যপালন করি তাদের কোনো সময়ই নূন্যতম নিরাপত্তা বোধ করি না। কখনো মাতাল, কখনো মাস্তান হাজির হয়ে হুমকিধামকি দেয়। অস্ত্রধারী মাতাল যেভাবে ঘরের মধ্যে ঢুকেছে তা দেখলে যে কারোরই আত্মারাম খাচা ছাড়া অবস্থা হবে। এতোটা আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে কি দায়িত্ব পালন করা যায়? পুলিশকে ফোন করলেই কি পুলিশ পাওয়া যায়? এই মাতালের কর্মকাণ্ড দেখে পুলিশ ডাকতে দু দুবার ফোন করতে হয়েছে। পুলিশ আসতে যতোক্ষণ লেগেছে অতোক্ষণে তো অনেক কিছুই ঘটে যেতে পারতো। ভাগ্যিস জরুরি বিভগে লাঠি ছিলো, ছিলো স্বেচ্ছাসেবকসহ কয়েকজন। ফলে হাসপাতাল কম্পাউন্ডে জরুরি ভিত্তিতে পুলিশ বক্স স্থাপন করা দরকার।