কুষ্টিয়ায় ফাঁকা চেক জমা নেয়ার প্রতিবাদে মানববন্ধন

 

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি: কুষ্টিয়ায় ফাঁকা চেক জমা নেয়ার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে সেতু সংস্থার কয়েকশত কর্মচারী কর্মকর্তাবৃন্দ। গতকাল বুধবার বিকেলে মিরপুর উপজেলার হাজরাহাটি গ্রামস্থ সংস্থার সভাপতি ওমর আলীর বাসভবন ঘেরাও করে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেন। বেসরকারি মাইক্রো ক্রেডিট সংস্থা সেতুর নির্বাহী পরিচালকের নির্বাহী আদেশে কর্মীদের নিকট থেকে ফাঁকা চেক জমা নেয়ার প্রতিবাদ এবং গৃহীত সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবিতে এ কর্মসূচি পালন করেছে তারা। এ সময় বিক্ষোভকারীরা জানান, তাদের দাবি না মানলে কোনোভাবেই তারা অবস্থান থেকে সড়ে দাঁড়াবেন না। এ সময় বক্তব্য রাখেন সংস্থার আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক গাজী রহমান, শাখা ব্যবস্থাপক মাসুদ পারভেজ, জহুরুল ইসলাম, নাসিমা খাতুন, সেলিনা আকতার প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, গত ২৯ জানুয়ারি সংস্থার নির্বাহী পরিচালক এমএ কাদের স্বাক্ষরিত একটি নির্বাহী আদেশে সকল কর্মচারী/কর্মকর্তাদের যথাযথ স্বাক্ষরিত দুইটি করে তারিখবিহীন ফাঁকা চেক জমা দিতে হবে। তিনি কোন আইন বলে এ স্বেচ্ছাচারী সিদ্ধান্ত আমাদের ওপর চাপিয়ে দিয়ে তা বাস্তবায়নে নানাভাবে চাপ প্রয়োগ করে যাচ্ছেন। তারা বলেন, আমাদের অধিকাংশ কর্মকর্তা/কর্মচারীদের কর্মকালীন প্রভিডেন্ট ফান্ডে জমাকৃত টাকার পরিমাণ ৫ থেকে ১২ লাখ টাকা পর্যন্ত সংস্থার অ্যাকাউন্টে গচ্ছিত আছে। এই দুর্নীতিপরায়ণ নির্বাহী পরিচালক আমাদের প্রভিডেন্ট ফান্ডের গচ্ছিত সকল কর্মীদের টাকা আত্মসাৎ করার পরিল্পনা বাস্তবায়ন করতেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারা। এ জাতীয় বেআইনি স্বেচ্ছাচারী সিদ্ধান্ত অবিলম্বে স্থগিত ও বাতিল করতে হবে। অন্যথায় এই সংগঠনকে ধ্বংস করার যে পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন নির্বাহী পরিষদ তার বিরুদ্ধে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলার পাশাপাশি ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে আইনগত প্রতিকার চেয়ে আদালতের দ্বারস্থও হবেন।

এ বিষয়ে সেতু সংস্থার সভাপতি ওমর আলী জানান, এর আগে পিকেএসএফ থেকে আমরা ঋণ পেতাম, এখন সেটা বন্ধ হয়ে গেছে, বর্তমানে ব্যাংক ঋণ নেয়ার ক্ষেত্রে আমাদের পরিচালনা পরিষদের সদস্য যারা তাদের জায়গা-জমি মর্টগেজ রেখে ঋণ নিতে হচ্ছে। সে কারণে আর্থিক অনিয়ম রোধ ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেই সকল কর্মচারী/কর্মকর্তাদের নিকট থেকে ফাঁকা চেক জমা নেয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। বিক্ষোভকারীদের দাবির বিষয়ে সংস্থার নির্বাহী পরিচালক এমএ কাদেরের সাথে মোবাইলফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, আপনি একটু পরে কথা বলেন, আগামীকাল আসেন, আমি এখন ব্যস্ত আছি। এখন কিছু বলতে পারবো না।