মতবিনিময়সভায় চুয়াডাঙ্গার ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপারের হুঁশিয়ারি: তিনদিনের মধ্যে মাদকব্যবসায়ীদের আত্মসমর্পণ করতে হবে

 

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গার ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন বলেছেন, বাঁচতে চাইলে তিনদিনের মধ্যে মাদক ব্যবসায়ীদের আত্মসমর্পণ করতে হবে। মাদক ব্যবসা ছাড়তে। তা না হলে তাদেরকে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জন্য সবকিছু করা হবে। গতকাল সোমবার দুপুরে জেলা পুলিশ সুপারের সম্মেলনকক্ষে আয়োজিত মতবিনিময়সভায় বক্তব্য প্রদানকালে তিনি একথা বলেন। এ সময় অপরাধ দমনে সাহসিকতার পরিচয় দেয়ায় পাঁচজন নাগরিককে পুরস্কৃত করা হয়। মতবিনিময় সভায় অন্যান্যের মধ্যে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) তরিকুল ইসলাম, দামুড়হুদা সার্কেলের সিনিয়র এএসপি মো. কলিমুল্লাহ, সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তোজাম্মেল হক, আলমডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আকরাম হোসেন, দামুড়হুদা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু জিহাদ মো. ফকরুল আলম খান, জীবননগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এনামুল হক, জেলা গোয়েন্দা শাখার অফিসার ইনচার্জ এএইচএম কামরুজ্জামান এবং চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সভাপতি আজাদ মালিতাসহ প্রেসক্লাবের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন বলেন, দেশ স্বাধীন হয়েছে, মানুষকে স্বাধীন করতে হবে। এজন্য মানুষকেই জেগে উঠতে হবে। মোটরসাইকেল চুরির ঘটনায় ২০১৬ সালে জীবননগর এলাকায় একটি সিন্ডিকেটকে ধরার পর সেখানে বন্ধ হয়ে গেছে। কিন্তু সদর থানা এলাকায় এখন চুরি হচ্ছে। আন্তঃজেলা চুরি সিন্ডিকেট এসব চুরি করছে। সেজন্য অপরাধ দমনে চুয়াডাঙ্গা শহরকে সিসি ক্যামেরার আওতায় আনা হচ্ছে। ইতোমধ্যে এ বাবদ আট-নয় লাখ টাকা খরচও হয়েছে।

পুলিশের কর্মকর্তারা জানান, চুয়াডাঙ্গা জেলায় পুলিশের তালিকাভুক্ত মাদকব্যবসায়ীর সংখ্য ২৩৮। এর বাইরেও অনেকেই মাদকব্যবসার সাথে জড়িত রয়েছে। গত ছয়মাসে ৭০ জনকে ধরে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতদের এখন আর জামিন হচ্ছে না। আদালতকে ভুল বুঝিয়ে যাতে কেউ জামিন পেতে না পোরে সেজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। জনগণের সহযোগিতায় পুলিশ ইটভাটাসহ বিভিন্ন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানে যারা চাঁদাবাজি করে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সন্ত্রাসীদের রুখতে পুলিশের পাশাপাশি জনগণ ভূমিকা রাখায় তাদের মধ্যে থেকে পাঁচজনকে পুরস্কৃত করা হলো। ওই পাঁচজন হলেন- সদর উপজেলার কালুপোলের বরকত আলী, চুয়াডাঙ্গা শহরের মুক্তিপাড়ার টুটুল, নীলার মোড় এলাকার মাহমুদুন নবী এবং কার্পাসডাঙ্গার আব্দুল মালেক ও শহীদুল ইসলাম। মতবিনিময়সভায় জানানো হয় মেহেরপুর জেলার গাংনী উপজেলার কসবা গ্রামের বুদো ওরফে বিজয় ভারতে বসে ইটভাটায় চাঁদাদাবি করে অতিষ্ঠ করে তুলেছে। পুলিশের পাশাপাশি ভাটা মালিকরা সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তোলায় সন্ত্রাসী তৎপরতা কিছুটা কমেছে।