ইবিতে কোটার আহ্বায়কের কক্ষে ছাত্রলীগের ভাঙচুর

 

ইবি প্রতিনিধি: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) কোটায় ভর্তিতে জালিয়াতির অভিযোগ এনে বিশেষ কোটায় ভর্তি উপ-কমিটির আহ্বায়ক এবং হিসাব বিজ্ঞান ও তথ্যপদ্ধতি বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. শেলীনা নাসরীনের কক্ষে ভাঙচুর করেছে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। গতকাল মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে ২৫-৩০ জন কর্মী তার কক্ষে গিয়ে এ ভাঙচুর চালায়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, গতকাল মঙ্গলবার দলীয় টেন্ট থেকে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক অমিত কুমার দাসের নেতৃত্বে দলের নেতাকর্মী ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদে বিশেষ কোটা ভর্তি উপ-কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. শেলীনা নাসরিনের সাথে দেখা করতে যায়। এ সময় তারা অফিসে আহ্বায়ককে না পেয়ে তার কক্ষে ভাঙচুর চালায়। ভাঙচুরের পর ছাত্রলীগ কর্মীরা বিজ্ঞান  অনুষদে গিয়ে হট্টগোল করে এবং পরে ওখান থেকে চলে এসে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের নিচে বিভিন্ন বিভাগের আসবাবপত্র তৈরির কাজ বন্ধ করে দেয়।

ঘটনার পরে দুপুর ১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেস কর্ণারে এসে সংবাদ সম্মেলন করেন সভাপতি সাইফুল ইসলাম এবং সাধারণ সম্পাদক অমিত কুমার দাস। এ সময় তারা বলেন, ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষে প্রতিবন্ধী কোটায় ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে সনিয়া আফরিন নামের এক ছাত্রী ভর্তি হয়েছে। ওই ছাত্রী প্রতিবন্ধী নয়, সে একজন মৃগী রোগী। একজন মৃগীরোগী কীভাবে প্রতিবন্ধী কোটায় ভর্তি হলো এ বিষয়টি জানার জন্য আমরা আহ্বায়কের সাথে দেখা করতে গিয়েছিলাম। ভাঙচুরের বিষয়ে ছাত্রলীগ সভাপতি সাইফুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, আমরা সংখ্যায় অনেক ছিলাম। হয়তো ভিড়ে কারও ধাক্কা লেগে ম্যাডামের অফিসের কিছু জিনিসপত্র ভেঙে যেতে পারে।

বিশেষ কোটা ভর্তি উপ-কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. শেলীনা নাসরীন বলেন, ‘তারা (ছাত্রলীগ) সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করেছে। আমি এ বিষয়টি প্রশাসনকে জানিয়েছি। আর তাদের দেয়া অভিযোগটি মিথ্যা। ওই শিক্ষার্থীর মুখ বাকা ও শারীরিকভাবে সে অসুস্থ।’ প্রক্টর অধ্যাপক ড. মাহবুবর রহমান বলেন, ‘বিষয়টি অত্যান্ত দুঃখজনক। এ বিষয়ে আমি অভিযোগ পেয়েছি। যে বা যারা এ কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত তাদের কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।’