ঝিনাইদহ-চুয়াডাঙ্গা মহাসড়কের ফেলে রাখা রাস্তার নির্মাণ কাজ সমাপ্তির দাবিতে নারীদের মানববন্ধন

MEDION Digital Camera

 

ডাকবাংলা প্রাতিনিধি: ঝিনাইদহ-চুয়াডাঙ্গা মহাসড়কটির নির্মাণ কাজ ৩ বছর যাবৎ বন্ধ রয়েছে। বৈডাঙ্গা বাজারের পশ্চিম পাশে আদর্শপাড়া থেকে ব্র্যাক অফিস পর্যন্ত ৬শ মিটার নির্মাণাধীন ফেলে রাখা রাস্তার বেহালদশা। এই ফেলে রাখা রাস্তার নির্মাণ কাজ দ্রুত সমাপ্তির দাবিতে গতকাল বুধবার মানববন্ধন করেছে স্থানীয় গ্রামের নারীরা। সাগান্না ইউনিয়নের সংরক্ষিত নারী সদস্য সাগরিকার নেতৃত্বে শতাধিক নারীর উপস্থিতিতে এই মানববন্ধন পালিত হয়।

মানববন্ধনে তারা বলেন, যদি তাড়াতাড়ি এই নির্মাণকাজ সমাপ্ত করা না হয় তাহলে ভবিষ্যতে রাস্তা অবরোধসহ আরও কঠোর আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।, রাস্তাটি ৩ বছর আগে নির্মাণ কাজ শুরু করেও শেষ না করে অযত্ম আর অবহেলায় ফেলে রাখা হয়েছে। রাস্তাটি দেখলে মনে হয় এর কোনো কর্তৃপক্ষ নেই। রাস্তার ওপর সৃষ্ঠি হয়েছে ছোট ছোট গর্ত ও খানা খন্দ। বর্তমান রাস্তাটির অবস্থা করুণ। প্রতিদিন কষ্ট করে চলছে হাজার হাজার গণপরিবহন, বাইসাইকেল, মোটরসাইকেল ও পথচারীরা। মাটি শুকিয়ে তৈরি হয়েছে প্রচণ্ড ধুলা, দ্রুতগতির জানবাহনের পাশ দিয়ে পায়েহেটে কিম্বা সাইকেলে গেলে ধুলাই লোক চেনা যায় না। রাস্তার আশপাশে বসবাসকারীরা, নিয়মিত চলাচলকারী ছাত্র-ছাত্রী এবং পথচারীরা  দিনে দিনে ধুলায় অতিষ্ঠ হয়ে উঠছে। তাছাড়া এখন এসএসসি পরীক্ষাদিতে উত্তর নারায়ণপুর কেন্দ্রে যেতে চরম দুভোর্গ পোহাতে হচ্ছে শ’ শ’ ছাত্র-ছাত্রীর। মাঝে মাধ্যেই ঘটছে দুর্ঘটনা। এখানকার রাস্তার কাজ শুরু হয়েছে ২০১৫ সালের এপ্রিল মাসের প্রথম থেকে, কিন্তু এই কাজের কোনো অগ্রগতি নেই। কাজের মানও নিম্নমানের। কিছুদিন আগে যে কাজ শেষ করা হয়েছে তাও মান সম্মত হয়নি। তার প্রমাণ হয়তো খুব তাড়াতাড়িই পাওয়া যাবে। পথচারী ও এলাকাবাসীর দাবি এই নির্মাণাধীন অবস্থায় ফেলে রাখা মহাসড়কটির নির্মাণ কাজ দ্রুত সমাপ্ত করে জনদুর্ভোগ লাঘব করতে হবে।

এ বিষয়ে সড়ক ও জনপথ বিভাগের কর্মকর্তা প্রৌকশলী সেলিম আজাদ খান জানান, আমি এখানে নতুন যোগদান করেছি। রাস্তাটির খোঁজখবর নিয়েছি এবং এই রাস্তার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান শিমুল এন্টারপ্রাইজের বিরুদ্ধে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, দীর্ঘদিন ধরে রাস্তা নির্মাণের কাজ পড়ে আছে কথাটি সত্য এবং জনসাধারণের ভোগান্তি হচ্ছে তাও বিশ্বাস করি। কিন্তু কাদের কারণে এটি হচ্ছে তাও আপনারা জানেন বলে আমি বিশ্বাস করি। তবে দ্রুত কিছু একটা করার চেষ্টা চলছে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।