চুয়াডাঙ্গার মাথাভাঙ্গা ব্রিজের নিকট মদ্যপ অবস্থায় পুলিশের হাতে আটকের পর হাতকড়া নিয়ে পালিয়ে যাওয়া দুজনের পরিচয় মিলেছে

 

দামুড়হুদা প্রতিনিধি: চুয়াডাঙ্গার মাথাভাঙ্গা ব্রিজের নিকট থেকে মদ্যপ অবস্থায় পুলিশের হাতে আটকের পর হাতকড়া নিয়ে পালিয়ে যাওয়া দু মদখোরের অবশেষে পরিচয় পাওয়া গেছে। হাতকড়া নিয়ে পালিয়ে যাওয়া দুজন হলো- দামুড়হুদা উপজেলার বিষ্ণুপুর স্কুলপাড়ার ছাদের বাঙালের ছেলে মিরাজুল (২৮) এবং একই গ্রামের ক্যাম্পপাড়ার মোফার ছেলে মজিবুল (৩৫)। বিষ্ণুপুর ক্যাম্পের টহল পুলিশের বহনকারী করিমনচালক আরিফ ওই হাতকড়া বিষ্ণুপুর গ্রামের ফজলু কসাইয়ের কাছে দেখেছে বলে এলাকাসূত্রে জানা গেছে। মিরাজুল ও মজিবুল দু দিন আগে হাতকড়া নিয়ে পালিয়ে গেছে অথচ এর কোনো হদিস হলো না? ওই রাতে মাদকবিরোধী অভিযানে পুলিশের কোন দারোগা দায়িত্বে ছিলেন এরকম নানা প্রশ্ন উঁকি দিতে শুরু করেছে এলাকার সচেতনমহলে। বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণেরও দাবি তুলেছে সচেতনমহল। হাতকড়া নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার বিষয়টি জানেন না বলে জানিয়েছেন চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ওসি তোজাম্মেল হক।images

এলাকা সূত্রে জানা গেছে, গত শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে চুয়াডাঙ্গার মাথাভাঙ্গা ব্রিজের নিচে মদপান করতে যায় দামুড়হুদা উপজেলার জুড়ানপুর ইউনিয়নের বিষ্ণুপুর স্কুলপাড়ার ছাদের বাঙালের ছেলে করিমনচালক মিরাজুল ইসলাম এবং একই গ্রামের ক্যাম্পপাড়ার মোফার ছেলে মজিবুলসহ আরও ৬ জন। চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশের একটি টহলদল ওই মাদকের আখড়ায় হানা দেয়। অন্যরা পালিয়ে যেতে সক্ষম হলেও পুলিশের হাতে ধরা পড়ে মিরাজুল ইসলাম মজিবুল। তাদের দুজনকে হাতকড়া পরিয়ে করিমনের ওপর রেখে পুলিশের টহলদল অন্য আসামিদের ধরতে গেলে সুযোগ বুঝে করিমন ছেলে হাতকড়া নিয়ে পালিয়ে যায় মিরাজুল ও মজিবুল। ওই রাতেই তারা হাতকড়া কেটে গ্রামে ফিরে আসে। পরদিন সকালে অর্থ্যাৎ গত শনিবার ওই হাতকড়ার একটি অংশ বিষ্ণুপুর গ্রামের কসাই ফজলুর কাছে দেখে ফেলে বিষ্ণুপুর ক্যাম্পের টহল পুলিশের বহনকারী করিমনচালক আরিফ। বিষয়টি জানতে পেরে বিষ্ণুপুর গ্রামের ফজলুল হকের ছেলে মজিবার ওরফে মজো সুযোগ নেই। সে পুলিশের ভয় দেখিয়ে মজিবুলের স্ত্রীর নিকট থেকে ৩ হাজার টাকা নিয়ে সটকে পড়ে।

অপর একটি সূত্র বলেছে, হাতকড়ার একটি অংশ কসাই আনারুলের কাছে আছে বলেও জানতে পেরেছি। এদিকে এলাকার সচেতনমহল প্রশ্ন তুলে বলেছে, আসামি আটক করতে গিয়ে হাতকড়া নিয়ে পালিয়ে গেছে এ রকম ঘটনা ঘটতেই পারে। ইতঃপূর্বেও ঘটেছে। তাহলে হাতকড়া উদ্ধার না করে বিষয়টি ধামাচাপ দেয়ার চেষ্টা কেন। এলাকাবাসী আরও বলেছে, ওই দুজনের আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলেইতো হাতকড়া উদ্ধার হয়। তাছাড়া ওই রাতে কারা কারা মদপান করতে গিয়েছিলো তাদেরও নাম ঠিকানা পাওয়া যাবে। বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের লক্ষ্যে পুলিশ সুপারের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছে সচেতনমহল।