অবশেষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় আফ্রিদির

 

মাথাভাঙ্গা মনিটর: ১৯৯৬ সালের অক্টোবরে কেনিয়ার চার জাতি প্রতিযোগিতায় অভিষেক হয়েছিলো শহীদ আফ্রিদির। জীবনের দ্বিতীয় ওয়ানডেতেই ৩৭ বলে সেঞ্চুরি করে হইচই ফেলে দিয়েছিলেন ক্রিকেট দুনিয়ায়। এরপর থেকে আফ্রিদি যেন পাকিস্তান ক্রিকেটের এক অধ্যায়ই। ২১ বছর পর সেই অধ্যায়ের পরিসমাপ্তি ঘটলো। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে বিদায় নিলেন এই অলরাউন্ডার। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে বিদায়টা তার একপ্রকার হয়েই গিয়েছিলো। গত বছর ভারতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে পাকিস্তানকে নেতৃত্ব দেয়ার পর আর পাকিস্তান দলে সুযোগ পাননি। বর্ণাঢ্য আনুষ্ঠানিকতায় বিদায় নিতে চেয়েছিলেন, সেটি হয়নি। আফ্রিদি অবশ্য জানিয়েছেন, আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে বিদায় নিলেও আরও দু বছর পাকিস্তানের ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি লিগ—পিএসএলে খেলে যাওয়ার ইচ্ছে আছে তার।
বিদায় নেয়ার দিনে পাকিস্তান সুপার লিগে দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলেছেন তিনি। শারজায় পেশোয়ার জালমির হয়ে করাচি কিংসের বিপক্ষে ২৮ বলে ৫৪ রানের ইনিংসটি যেন মনে করিয়ে দিয়েছে পুরোনো দিনের আফ্রিদিকে। বিদায়ের ঘোষণাটা আফ্রিদি দিলেন তাই তৃপ্তি নিয়েই, ‘আমি আমার ভক্তদের জন্য খেলি এবং পিএসএলে আরও দুই বছর খেলতে চাই। তবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে বিদায়ই নিয়ে নিচ্ছি। এই মুহূর্তে আমার দাতব্য সংস্থা আমার কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমি আমার দেশকে দায়িত্ব নিয়ে ও পূর্ণ পেশাদারির সঙ্গেই প্রতিনিধিত্ব করেছি।’

পাকিস্তানের হয়ে ১৯৯৬ থেকে ২০১৫ পর্যন্ত ৩৯৮টি ওয়ানডে খেলেছেন আফ্রিদি। ৩৯টি ফিফটি ও ৬ সেঞ্চুরিতে তার রান ৮ হাজার ৬৪। টেস্ট খেলেছেন মাত্র ২৭টি—বড় সংস্করণে তার রান ১ হাজার ৭১৬। সেঞ্চুরি আছে ৫টি। ৯৮টি টি-টোয়েন্টি আন্তর্জাতিক ম্যাচে তার রান ১ হাজার ৪০৫। বোলার আফ্রিদির রেকর্ড আরও সমৃদ্ধ। ৯৭ উইকেট নিয়ে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টির সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি তিনি। ওয়ানডেতে তাঁর উইকেট ৩৯৫। টেস্টেও খুব খারাপ নয়—৪৮টি। ২০১০ সালে টেস্ট ক্রিকেটকে বিদায় বলেছিলেন তিনি। ২০১৫ বিশ্বকাপের পর বিদায় নেন ওয়ানডে থেকে। গত বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পরপরই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় বলার কথা বললেও আনুষ্ঠানিক ঘোষণাটা দিলেন প্রায় এক বছর পর।