চুয়াডাঙ্গায় আইনশৃঙ্খলা উন্নয়নে ৩২ সিসিটিভি লাগানো হয়েছে : পর্যায়ক্রমে ৪০০ সিসিটিভি স্থাপন করা হবে

 

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গায় আইনশৃঙ্খলার উন্নয়নে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরার (সিসি ক্যামেরা ) মাধ্যমে নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে দেয়ার পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। গতকাল সোমবার বেলা ১০টায় চুয়াডাঙ্গার ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার বেলায়েত হোসেন ৩২ সিসি ক্যামেরা উদ্বোধনের পর মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন।

এ সময় সিসিটিভি প্রকল্প উদ্বোধন করেন সিঙ্গাপুর প্রবাসী ব্যবসায়ী শহীদ গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হাজি মো. শাহেদুজ্জামান টরিক। সিসিটিভি প্রকল্পে যৌথভাবে অর্থায়ন করেন হাজি মো. শহীদুজ্জামান টরিক এবং ডায়মন্ড ওয়াল্ড লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এফবিসিআই পরিচালক দিলীপ কুমার আগরওয়ালা।

চুয়াডাঙ্গা পৌর মেয়র ওবায়দুর রহমান চৌধুরী জিপু, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) তরিকুল ইসলাম, সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তোজাম্মেল হক, পরিদর্শক লিয়াকত হোসেন,  পরিদর্শক (অপারেশন) আমির আব্বাস, পরিদর্শক (তদন্ত) গোলাম মোহাম্মদ, ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) এএইচএম কামরুজ্জামান খান, জেলা ট্রাফিকের পরিদর্শক আহসান হাবীব, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের ম্যানেজার নাসির উদ্দিন, ডাচবাংলা ব্যাংকের ম্যানেজার আশরাফুল ইসলাম, পূবালী ব্যাংকের ম্যানেজার শিহাব হোসেন, ইউসিবিএল ব্যাংকের ম্যানেজার মঞ্জুরুল ইসলাম, স্ট্যন্ডার্ড ব্যাংকের ম্যানেজার ছানোয়ার হোসেন, জেলা ইটভাটা মালিক সমিতির সভাপতি বজলুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মোতালেব, চুয়াডাঙ্গা পরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের সভাপতি হাবিবুর রহমান লাভলু ও চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সভাপতি আজাদ মালিতাসহ গণমাধ্যমের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

মতবিনিময় সভায় ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার বেলায়েত হোসেন বলেন, ‘চুয়াডাঙ্গা শহরকে যদি নিরাপত্তার মধ্যে রাখা যায় তাহলে জেলার অন্যত্র শান্তিপূর্ণ অবস্থা বিরাজ করবে। আইন শৃঙ্খলা উন্নয়নে চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকাকে নিরাপত্তার চাদরে ঢাকতে ৪০০ ক্যামেরার প্রয়োজন। ব্যবসায়ী শহীদুজ্জামান ও দিলীপ কুমার আগরওয়ালা এবিষয়ে সহযোগিতার হাত প্রসারিত করে ৩২ সিসিটিভি প্রদান করেছেন।  তাদেরকে ধন্যবাদ জানাই এবং কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। আশা করবো শহরের অন্যন্য সড়কগুলোতে স্থানীয়দের সহযোগিতায় বাকী কাজ সম্পন্ন করতে পারবো।’

গতকাল সোমবার ৩২ সিসিটিভি চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার কার্যালয় থেকে শুরু হয়ে বড়বাজার শহীদ হাসান চত্বর এবং বাসটার্মিনাল পর্যন্ত নেটওয়ার্কের মধ্যে নেয়া হয়েছে। এর আগে গতবছরের ২ নভেম্বর চুয়াডাঙ্গার ভিমরুল্লাহ থেকে কোর্ট মোড় পর্যন্ত ৮টি সিসিটিভির মাধ্যমে এই প্রকল্প চালু করা হয়। ওই সময় চুয়াডাঙ্গা পৌর মেয়র ওবায়দুর রহমান চৌধুরী এবং রাফিদ গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হাজী মো. আসাদুজ্জামান সহযোগিতা করেন। প্রথমবারে খুলনা বিভাগীয় পুলিশের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) এসএম মনিরুজ্জামান উদ্বোধন করেন। এরপর বড়বাজার শহীদ হাসান চত্বর থেকে ভালাইপুর মোড় পর্যন্ত এলাকা সিসিটিভির আওতায় আসবে। পরবর্তিতে ফেরিঘাট রোড হয়ে হাজরাহাটি, কোর্ট মোড় থেকে রেলস্টেশন রোড এবং হাসপাতাল রোড হয়ে বেলগাছি রেলগেট পর্যন্ত পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে বলে ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার জানান।

গত ১৮ জানুয়ারি চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকাতে সিসিটিভি স্থাপন ও ব্যবস্থাপনা কাজে সহযোগিতার জন্য নাগরিক কমিটি গঠন করা হয়েছে। ওই সভায় বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন। সভা থেকে ৮ সদস্যের একটি উপদেষ্টা কমিটি ও ১১ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়। কমিটিতে প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে রয়েছেন, জাতীয় সংসদের হুইপ সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন এমপি। উপদেষ্টা হিসেবে রয়েছেন, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার মেয়র, চেম্বারের সভাপতি, পরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের সভাপতি এবং সোনালী ব্যাংকের উপমহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম)।

১১ সদস্য বিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটিতে সাইফুল হাসান জোয়ার্দ্দার টোকনকে আহ্বায়ক হিসেবে মনোনীত করা হয়েছে। যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবে রয়েছেন, শাহরিন হক মালিক, ইবরুল হাসান জোয়ার্দ্দার ইবু ও মাহফুজুর রহমান মিজাইল। সদস্য হিসেবে রয়েছেন, জেলা গোয়েন্দা শাখার ইনচার্জ, আব্দুল মোতালেব, একেএম মঈনুদ্দিন মুক্তা, সালাহউদ্দিন মিয়া, ডাচ বাংলা ব্যাংকের ম্যানেজার এবং হারুনুর রশিদ পলাশ।