গাংনীতে সেই মার্কেট নির্মাণে আদালতের স্থিতিতাবস্থার নির্দেশ

গাংনী প্রতিনিধি: মেহেরপুর গাংনী শহরে পৌরসভার কর্তৃক মার্কেট নির্মাণে স্থিতিতাবস্থার আদেশ দিয়েছেন আদালত। গতকাল সোমবার বিকেলে মেহেরপুর যুগ্ম জেলা জজ ২য় আদালত এ আদেশ দেন। এর আগে অবশ্য উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে উভয়পক্ষকে নিয়ে আলোচনা হয়। পৌর কর্র্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে জোরপূর্বক মার্কেট নির্মাণের অভিযোগ তুলে জমির মালিকানা পেতে সেখানে সপরিবারে রোববার সকাল থেকে অবস্থান নিয়েছিলেন একটি পরিবার। বিষয়টি নিয়ে কয়েকদিন ধরে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি বিরাজ করছিলো।
জমির মালিকান নিয়ে বিতর্ক থাকলেও গত বৃহস্পতিবার গাংনী শহরের হাট সংলগ্ন স্থানে বহুতল মার্কেট নির্মাণ শুরু করে গাংনী পৌরসভা। গাংনী উত্তরপাড়ার মৃত আজিম উদ্দীনের সাত ছেলে তাদের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে রোববার সকালে জমিতে অবস্থান নিলে উত্তেজনা দেখা দেয়। একপর্যায়ে নির্মাণ কাজ বন্ধ করতে বাধ্য হয় পৌর কর্তৃপক্ষ। তারা সেখানে দিনভর অবস্থান নিলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আলোচনার উদ্যোগ নেন। সপরিবারে সারারাত সেখানে অবস্থান নিয়ে গতকাল সোমবার সকালে তারা ইউএনও কার্যালয়ে উপস্থিত হন। পৌর মেয়র আশরাফুল ইসলাম ওই সভায় জমির মালিকানা ও মার্কেট নির্মাণের পক্ষে যুক্তি তুলে ধরেন। অপরদিকে জমির মালিকানার বিষয়ে বক্তব্য তুলে ধরে কাগজপত্র দেখান আব্দুল গণি পক্ষ। উভয়পক্ষের যুক্তি-তর্কের এক পর্যায়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত কাজ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত দেন। তবে মার্কেট নির্মাণে মাটি খুঁড়ায় পার্শ্ববর্তী ঝুঁকিপূর্ণ মার্কেট রক্ষায় মাটি ভরাট করার সিদ্ধান্ত হয়। সেমত ৫ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করেন ইউএনও। দুপুরে কমিটির সদস্যদের উপস্থিতিতে সেখানে পিলার তৈরি করে মাটি ভরাটের কাজ শুরু হয়। এর মধ্যে সন্ধ্যায় আদালতের স্থিতিতাবস্থার আদেশ নিয়ে বিভিন্ন দফতরে পৌঁছে দেন আব্দুল গণি পক্ষের লোকজন। তবে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের বিষয়টি সমাধানে রাতে সেখানে পিলার নির্মাণের কাজ চলছিলো। এ বিষয়ে গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার আরিফ-উজ-জামান বলেন, দাফরিকভাবে আদেশ না পেলেও বাদীপক্ষের কাছ থেকে আদালতের আদেশের কপি পেয়েছি। তাই উভয়পক্ষকে আদালতের আদেশ মেনে চলার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। একই কথা জানিয়েছেন গাংনী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন।