আলমডাঙ্গার বণ্ডবিল-ফরিদপুর মাঠে ছিনতাইকারীদের কবলে গরুব্যবসায়ী : গাছের সাথে বেঁধে ৪ লাখ টাকা ছিনিয়ে নেয়ার অভিযোগ

 

আলমডাঙ্গা ব্যুরো: আলমডাঙ্গার বণ্ডবিল-ফরিদপুর মাঠে ছিনতাইকারীদের কবলে পড়ে গরু ব্যবসায়ীর ৪ লাখ টাকা খোয়া গেছে। গত ৬ মার্চ গরু বিক্রির টাকা নিয়ে সন্ধ্যারাতে আলমডাঙ্গার বণ্ডবিলের পৌর সীমানা স্তম্ভ বরাবর গাড়ি থেকে নেমে ফরিদপুর যাওয়ার পথে তারা ছিনতাইকারীদের কবলে পড়েন। তবে এ ছিনতাই ঘটনায় একই গরুব্যবসায়ী দলের কয়েকজন জড়িত আছে বলে ছিনতাইয়ের শিকার গরুব্যবসায়ী ইঙ্গিত করেছেন।

জানা গেছে, আলমডাঙ্গার ফরিদপুর গ্রামের জুড়োন মালিথার ছেলে শাহজাহান মালিথা, পোয়ামারী গ্রামের আজিবর আলীর ছেলে ইয়াদুল হক ও বেলগাছি গ্রামের সৈয়দ মণ্ডলের ছেলে ইদ্রিস আলী একসাথে গরু বেচাকেনার ব্যবসা করেন। গত ৬ মার্চ গরুব্যবসায়ী শাহজাহান মালিথা ও ইয়াদুল হক দুজন দামুড়হুদার ডুগডুগি বাজারে বেশ কয়েকটি গরু বিক্রি করতে যান। শাহজাহান মালিথা রাখাল হিসেবে নিয়ে যান নিজ গ্রাম ফরিদপুরের মৃত জহির উদ্দীনের ছেলে আনারুল, একই গ্রামের মৃত জোয়াদ আলীর ছেলে রুকমান আলী ও খেজুরতলার রওশন আলী নামের এক ব্যক্তিকে। গরু বিক্রি শেষে তারা বাড়ি ফিরছিলেন। শাহজাহান মালিথার নিকট ৪ লাখ ও ইয়াদুলের নিকট ৮০ হাজার টাকা ছিলো। তারা সকলে রাত ৮টার দিকে আলমডাঙ্গা বণ্ডবিল এলাকার পৌর সীমান্ত স্তম্ভের সামনে গাড়ি থেকে নামেন। গরুব্যবসায়ী ইয়াদুলের পরামর্শ অনুযায়ী তারা মাঠের ভেতরের নির্জন পথে ফরিদপুরের দিকে যাত্রা শুরু করেন। পথিমধ্যে ফরিদপুর কবরস্থানের নিকট পৌঁছুলে ৬-৭ জন অজ্ঞাত ব্যক্তি তাদের চোখে লাইট মারে। ৩ জন রাখালের মধ্যে দুজন আনারুল ও রুকমানকে গাছে বেঁধে রেখে শাহজাহান মালিথার নিকট থেকে ৪ লাখ টাকা কেড়ে নেয়। পরে তাকেও বেঁধে রাখে। কিছু সময় পর রুকমান কৌশলে তার হাতের বাঁধন খুলে ফেলে। পরে রুকমান শাহাজান ও আনারুলের বাঁধনও খুলে দেয়। অথচ অপর গরুব্যবসায়ী ইয়াদুল হক ও রাখাল রওশনকে রহস্যজনক কারণে ছিনতাইকারীরা কিছুই বলেনি। ছিনতাইকারীদের সাথে ইয়াদুল হক ও রওশনের হাত রয়েছে বলে শাহজাহান মালিথা সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। এ ঘটনায় ওই রাতেই তিনি আলমডাঙ্গা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।