কৃষি অফিসার পুড়িয়ে দিলেন ৯ লাখ টাকার নষ্ট পাটবীজ

পাঁচ বছর আগের পুরোনো মেয়াদোত্তীর্ণ বীজ গোপনে বিক্রির পাঁয়তারা

 

স্টাফ রিপোর্টার: আলমডাঙ্গার মেসার্স উম্বাদ আলী জোয়ার্দ্দারের গোডাউন থেকে মেয়াদোত্তীর্ণ সাড়ে তিনটন জব্দকৃত পাটবীজ পুড়িয়ে দিয়েছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর। বুধবার দুপুরে প্রকাশ্যে আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে দেয়া হয়। মেয়াদোত্তীর্ণ পাটবীজগুলো নতুন মোড়কে প্যাকেটজাত করার জন্য সার ও বীজ ডিলার উম্বাদ আলী জোয়ার্দ্দার বাইরে থেকে এনেছিলেন বলে অভিযোগকারীরা জানান।

অভিযোগসূত্রে জানা গেছে, আলমডাঙ্গার খুদিয়াখালী গ্রামের উম্বাদ আলী জোয়ার্দ্দার জেহালা ইউনিয়নের একজন বিসিআইসির নিয়োগপ্রাপ্ত সার ডিলার। ইউনিয়নের মুন্সিগঞ্জ পশুহাট ও তার পার্শ্ববর্তী শ্মশান ঘাটের কাছে তার কয়েকটি গোডাউন রয়েছে। গত সোমবার বিকেলে খুদিয়াখালী শ্মশানঘাট সংলগ্ন তার একটি গোডাউনে সাড়ে ৩ টন মেয়াদোত্তীর্ণ চক্রমার্কা পাটবীজ ট্রাক থেকে নামানো হচ্ছিলো। এ সময় আলমডাঙ্গা উপজেলা কৃষি অফিস খবর পেয়ে সেগুলো জব্দ করে এবং গোডাউন সিলগালা করে দেয়। গতকাল বুধবার দুপুরে জব্দকৃত পাটবীজে আগুন লাগিয়ে ধ্বংস করে দেয় কৃষি অফিস। উপজেলা কৃষি অফিসার একেএম হাসিবুল হাসান দৈনিক মাথাভাঙ্গাকে জানান, ‘জব্দকৃত পাটবীজের মূল্য প্রায় ৯ লাখ টাকা। এগুলো বিক্রির জন্য অসৎ উদ্দেশে উম্বাদ আলী জোয়ার্দ্দার গুদামজাত করছিলেন। এসব বীজ কৃষকরা কিনলে ক্ষতিগ্রস্ত হতেন।’ এ ব্যাপারে অভিযুক্ত সার ডিলার উম্বাদ আলী জোয়ার্দ্দার বলেন, ‘পাঁচ বছর আগে ভারত থেকে আমদানিকৃত চক্রমার্কা পাটবীজ দেশে আমদানি করা হয়। কিছু বীজ বিক্রি হলেও বাকি বীজ গোডাউনে রয়ে যায়। বীজ কোম্পানি ফেরত নেবে আশ্বাস দিলে তা গোডাউনে রেখে দেয়া হয়। বীজ কর্মকর্তারা বীজ ফেরত নিতে চাইলে এলাকার কিছু লোক তা ট্রাকে তুলেতে দেয়নি। পরে উপজেলা কৃষি অফিস তা জব্দ করে পুড়িয়ে দেয়।’ গতকাল বুধবার দুপুরে গোডাউন চত্বরে পাটবীজগুলো ধ্বংস করার সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা কৃষি অফিসার একেএম হাসিবুল হাসান, উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার তাপস কুমার রায়, উপ-সহকারী কৃষি অফিসার শামীম ইকবাল ও উপ-সহকারী কৃষি অফিসার আবদুর রফিক।