মেহেরপুরে জোড়া খুনের ঘটনায় আটক ১

 

স্টাফ রিপোর্টার: মেহেরপুরে দুই ব্যবসায়ী খুনের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে মামলত হোসেন নামের এক ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার সদর উপজেলার সোনাপুর গ্রাম থেকে তাঁকে আটক করা হয়। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মামলত (৪৫) পিরোজপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক সদস্য। গত রোববার রাতে সোনাপুর গ্রামের কাঠ ব্যবসায়ী আবদুল মজিদ (৫৫) ও পোলট্রি ব্যবসায়ী আসাদুল ইসলামকে (৫০) অপহরণ করা হয়। পরদিন তাদের গলাকাটা লাশ উদ্ধার হয়। মজিদের ছেলে আব্বাস আলী বলেন, অপহরণকারীরা ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেছিলো। আমরা গরিব মানুষ। আমাদের এতো টাকাপয়সা নেই। আব্বাকে কেন খুন করা হলো, আমরা তার কিছুই বলতে পারি না?

এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, গত ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বর্তমান ইউপি সদস্য আরজান আলীর সাথে সাবেক ইউপি সদস্য মামলতের বিরোধ চলছিলো। মজিদ ও আসাদুল ছিলেন আরজানের সমর্থক। কিন্তু কেন তাদের খুন করা হলো, তা তারা বুঝে উঠতে পারছেন না। তবে সোনাপুর গ্রামে এর আগেও এ রকম হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। এর আগেও নিরীহ লোকদের অপহরণ করে হত্যা করা হয়েছে। পুলিশ সুপার আনিছুর রহমান বলেন, সেনাপুরের হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মামলতকে আটক করা হয়েছে। আমরা হত্যাকাণ্ডটি নিয়ে কাজ করছি। একটু সময় লাগবে এর রহস্য উন্মোচিত হতে। বিকেলে মুঠোফোনে মেহেরপুর সদর থানার ওসি ইকবাল বাহার চৌধুরী বলেন, এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, গত ইউপি নির্বাচনের বিরোধকে কেন্দ্র করে জোড়া খুনের ঘটনা ঘটে। জড়িত সন্দেহে মামলতকে আটক করা হয়েছে।