চুয়াডাঙ্গার পদ্মবিলা ইউনিয়নের ধুতুরহাট ব্রিজ-বালিয়াকান্দি ব্রিজ পর্যন্ত নবগঙ্গা নদী পুনর্খনন কাজে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ

ডিঙ্গেদহ প্রতিনিধি: চুয়াডাঙ্গা সদরের পদ্মবিলা ইউনিয়নের ধুতুরহাট ব্রিজ থেকে বালিয়াকান্দি ব্রিজ পর্যন্ত নবগঙ্গা নদী পুনর্খনন কাজে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ। দেড় কোটি টাকা ব্যয়ে জলাশয় সংস্কারের মাধ্যমে মৎস উৎপাদন বৃদ্ধি প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে মৎস বিভাগ। মাছে ভাতে বাঙালি এ কথাটি যথার্থ বাস্তবায়নের জন্য দেশের পতিত জলাশয়গুলো খনন করে দরিদ্র মানুষের মধ্যে আমিষের চাহিদা পূরণের জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
সূত্র থেকে জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা সদরের পদ্মবিলা ইউনিয়নের ধুতুরহাট ব্রিজ থেকে বালিয়াকান্দি ব্রিজ পর্যন্ত প্রায় ৮ হাজার ফুট নবগঙ্গা নদীর খনন কাজ করছেন ৬জন পিআইসি। যার বরাদ্দ দেড় কোটি টাকা। প্রকল্প চেয়ারম্যানরা হলেন ধুতুরহাট গ্রামের সুরত আলীর ছেলে কামাল উদ্দিন। তার নামে বরাদ্দ ২৮ লাখ, বুড়োপাড়া গ্রামের আবদুল খালেকর ছেলে আবদুর রউফের নামে বরাদ্দ ২৮ লাখ, চ-িপুর গ্রামের হায়েত আলীর আবুল কাশেমের নামে ২৮ লাখ, সুবদিয়া গ্রামের মুনসুর আলীর ছেলে আবদুল আওয়ালের নামে বরাদ্দ ২৮ লাখ, সুবদিয়া গ্রামের আতিয়ার রহমানের ছেলে হুমাউন কবিরের নামে বরাদ্দ ২৮ লাখ ও সুবদিয়া গ্রামের দিনমাহাম্মদের ছেলে আব্দুল্লাহ বিশ্বাসের নামে বরাদ্দ ১০ লাখ টাকা।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, প্রকল্প চেয়ারম্যানরা নবগঙ্গা নদীর পানি সেঁকে মেশিন দিয়ে খনন কাজ শুরু করে। প্রকল্প অনুযায়ী নদীর মধ্যে ২ থেকে ৪-৫ ফুট গভীর করার নিয়ম থাকলেও প্রকল্প কমিটি ধুতুরহাট ব্রিজের নিকট থেকে কিছু দূর পর্যন্ত ভালোভাবে খনন করলেও চ-িপুরের নিচে নদীর দুই পাড় দুই দিকে কেটে পাড় বাঁধ দেয়া হয়। এব্যাপারে জেলা মৎস কর্মকর্তা ডা. মো. মাহাবুবুর রহমান তালুকদারের নিকট মোবাইলফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন চেয়ারম্যানদের গতকাল থেকে পানি সেঁকে পুনরায় কাটার কথা বলা হয়েছে।