দামুড়হুদার হাউলী ইউনিয়ন পরিষদের ভোটগ্রহণ আগামী ১৬ এপ্রিল : এক বছর পর প্রার্থীদের পুনরায় ছুটাছুটি শুরু

বখতিয়ার হোসেন বকুল: আগামী ১৬ এপ্রিল দামুড়হুদার হাউলী ইউপি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বলে নির্বাচন অফিসসূত্রে জানা গেছে। নির্বাচনে প্রতিদ্বন্ধী প্রার্থীরা বিরতির পর পুনরায় মাঠে নেমে পড়েছেন। দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাচন অফিসসূত্রে বলা হয়েছে এ সংক্রান্তে এখনও পর্যন্ত অফিসিয়াল কোনো চিঠি না পেলেও নির্বাচন কমিশন সচিবালায়ের গত ৮ মার্চের চিঠি নেট থেকে নামানো হয়েছে। তাতে দামুড়হুদার হাউলী ইউপি নির্বাচনের কথা বলা হয়েছে। তবে নতুন করে কোনো তফসিল ঘোষণা না করে পূর্ব ঘোষিত তফসিল মোতাবেক ভোটগ্রহণ করা হবে। এ বিষয়ে রিটার্নিং অফিসার উপজেরা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বিকাশ কুমার সাহা বলেছেন, এখনও পর্যন্ত আমি অফিসিয়াল কোনো চিঠি হাতে পাইনি। তবে নেট থেকে নামানো একটি কপি নির্বাচন অফিস থেকে নিয়েছি। পত্রিকার মাধ্যমে শিগগিরই নির্বাচনের দিনক্ষণ জানানো হবে।
উল্লেখ্য, নির্বাচন অফিস থেকে গত বছরের ২৩ এপ্রিল দামুড়হুদা উপজেলার জুড়ানপুর, কার্পাসডাঙ্গা, কুড়–লগাছি, পারকৃষ্ণপুর-মদনা, হাউলী ও দামুড়হুদা সদর এই ৬টি ইউনিয়নে একযোগে তফসিল ঘোষণা হয়। ঘোষিত তফসিল মোতাবেক জুড়ানপুর, কার্পাসডাঙ্গা, কুড়–লগাছি ও দামুড়হুদা সদর এই ৪টি ইউনিয়নে গত ২৮ মে ভোটগ্রহণ করা হলেও মামলাজনিত কারণে পারকৃষ্ণপুর-মদনা ও হাউলী এ দুটি ইউনিয়নে ভোটের ঠিক এক সপ্তাহ আগে আদালতের নির্দেশনা মোতাবেক ভোটগ্রহণ বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মোট ৭ জন প্রার্থীর মধ্যে আওয়ামী লীগ মনোনতি প্রার্থী হাজি সহিদুল ইসলাম (নৌকা), বিএনপি মনোনিত প্রার্থী মোহাম্মদ আলী শাহ মিন্টু (ধানের শীষ), স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে (আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী) আবু সাঈদ খোকন (মোটরসাইকেল), অপর বিদ্রোহী প্রার্থী আক্তারুজ্জামান বাবু (আনারস), জামায়াত সমর্থিত সতন্ত্র প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম (চশমা) স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. শাহ্ তাজ আলম (রজনীগন্ধা) এবং আওরঙ্গজেব আকতার হোসেন সোহেল (ঘোড়া) প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।।
সংরক্ষিত ১ নং ওয়ার্ডে ৪ জন প্রার্থীর মধ্যে মনোয়ারা খাতুুন (বক), হালিমা খাতুন (মাইক), খাদিজা পারভীন (সূর্যমুখি ফুল) এবং মনিরা খাতুন (কলম), সংরক্ষিত ২ নং ওয়ার্ডে ৫ জন প্রার্থীর মধ্যে ফেরদৌসী (তালগাছ), েেরবেকা সুলতানা (মাইক), শিরিনা খাতুন (জিরাফ), আলিফা খাতুন (সূর্যমূখী ফুল) এবং ছালেহা বেগম (হেলিকপ্টার), সংরক্ষিত ৩ নং ওয়ার্ডে ৫ জন প্রার্থীর মধ্যে সরেজান খাতুন (মাইক) মালেকা খাতুন (সূর্যমূখী ফুল), সফুরা খাতুন (বক), আদুরী বেগম (কলম) এবং ছামেনা খাতুন (বই) প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
এ ছাড়া ১ নং সাধারণ ওয়ার্ডে ৮ জন প্রার্থীর মধ্যে দাউদ আলী (মোরগ), খোদেজা খাতুন (টিউবওয়েল), আব্দুল্লাহ আল-মামুন (ফুটবল), আনসার আলী (ভ্যানগাড়ি), আব্দুর রশিদ শাহ (আপেল), নিজাম উদ্দীন (বৈদ্যুতিক পাখা), মজিবার রহমান (ঘুড়ি) এবং শেখ সালাউদ্দীন পেয়েছেন (তালা)। ২ নং সাধারণ ওয়ার্ডে ৭ জন প্রার্থীর মধ্যে সালা উদ্দীন বাবলু (মোরগ), নজরুল ইসলাম (টিউবওয়েল) আহার আলী (ফুটবল), আজগর হোসেন (টর্চলাইট), আব্দুস সালাম (তালা), আয়ুব আলী বৈদ্যুতিক পাখা) এবং লিটন আলী (ভ্যানগাড়ি)। ৩ নং সাধারণ ওয়ার্ডে ৬ জন প্রার্থীর মধ্যে কিসমত আলী (মোরগ), নুরুল ইসলাম (টিউবওয়েল), তাহাজ্জত হোসেন (তালা) জয়নাল আবেদীন (ফুটবল), ফিরোজ আলী (ভ্যানগাড়ি) এবং আয়ুব আলী স্বপন পেয়েছেন (আপেল) প্রতীক। ৪ নং সাধারণ ওয়ার্ডে ৫ জন প্রার্থীর মধ্যে সমসের আলী (টিউবওয়েল), আসাদুজ্জামান সেলিম (ফুটবল), আরিফুল ইসলাম মিলন (তালা), আব্দুল হান্নান (ক্রিকেট ব্যাট) এবং তোতা মিয়া পেয়েছেন মোরগ) প্রতীক। ৫ নং সাধারণ ওয়ার্ডে ৪ জন প্রার্থীর মধ্যে মহির উদ্দীন (টিউবওয়েল), আসিফ করিম (মোরগ), নওশাদ আলী (ফুটবল), এবং শহিদুল ইসলাম পেয়েছেন (আপেল) প্রতীক। ৬ নং সাধারণ ওয়ার্ডে ৭ জন প্রার্থীর মধ্যে রিকাত আলী (টিউবওয়েল), ফিরোজ উদ্দীন (মোরগ), জামাল হোসেন (তালা), জাহিদ হোসেন (বৈদ্যুতিক পাখা), জিয়াউল হক (ফুটবল), বাবু মিয়া (আপেল) এবং মহিদুল হক (ভ্যানগাড়ি) । ৭ নং সাধারণ ওয়ার্ডে ৫ জন প্রার্থীর মধ্যে শরীফ উদ্দীন (ফুটবল), ছাইদুর রহমান (টিউবওয়েল), আতিয়ার রহমান (মোরগ), আজিজুর রহমান আশাদুল (তালা) এবং শাহজামাল হোসেন (বৈদ্যুতিক পাখা)। ৮ নং সাধারণ ওয়ার্ডে ৫ জন প্রার্থীর মধ্যে জামাল উদ্দীন (ফুটবল), জহির উদ্দীন (টিউবওয়েল), আবুল কাশেম (মোরগ), মনিরুল ইসলাম (তালা) এবং আব্দুল হান্নান (ভ্যানগাড়ি)। ৯ নং সাধারণ ওয়ার্ডে ৭ জন প্রার্থীর মধ্যে আবুল কালাম (মোরগ), রশিদ আলী (টিউবওয়েল), সাহাদ আলী (তালা), আব্দার আলী (ফুটবল), আব্দুল্লাহ সেলিম (ভ্যানগাড়ি), আব্দুল হালিম (বৈদ্যুতিক পাখা) এবং মফিজুল ইসলাম (লাটিম) প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।