চায়ে বিষক্রিয়ায় ভাই-বোনের মৃত্যু

 

স্টাফ রিপোর্টার: ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলায় চা খাওয়ার পর বিষক্রিয়ায় ভাই-বোনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় অসুস্থ হয়ে পড়েছেন আরও চারজন। গতকাল রোববার দুপুরে উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের হরিন্দা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। মৃত শিশুরা হলো উপজেলার হরিহরপুর গ্রামের মইনুল হকের ছেলে সোহান (৭) ও মেয়ে সোহানা (২)। মৃত শিশুদের পরিবারের দাবি, দানাদার কীটনাশক মিশ্রিত চা খাওয়ার কারণেই এ ঘটনা ঘটেছে। তবে চিকিৎসক বলছেন, বিষক্রিয়ায় তাদের মৃত্যু হয়েছে।

পরিবার সূত্রে জানা গেছে, সদর উপজেলার হরিহরপুর গ্রাম থেকে তিন দিন আগে মইনুল হকের স্ত্রী সাবিনা বেগম (৩৪) ছেলে সোহান ও মেয়ে সোহানাকে নিয়ে একই উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের হরিন্দা গ্রামে বাবার বাড়িতে বেড়াতে যান। গতকাল দুপুরে তারা পার্শ্ববর্তী আলিমুদ্দিনের বাড়িতে বেড়াতে যান। এ সময় আলিমুদ্দিনের স্ত্রী জামিলা বেগম (৬০) তাদের চা খেতে দেন। চা খাওয়ার পর তারাসহ ওই বাড়ির অন্য সদস্যরাও অসুস্থ হয়ে পড়েন। অনেকেই বমি করতে থাকেন। একপর্যায়ে ঘটনাস্থলে সোহানের মারা যায়। পরে স্থানীয় লোকজন অসুস্থ অবস্থায় পাঁচজনকে ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। বিকেল সাড়ে চারটার দিকে সেখানে সোহানা মারা যায়। বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে ঠাকুরগাঁও সিভিল সার্জন আবু মো. খয়রুল কবীর বলেন, বিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোহানা মারা গেছে। এছাড়া অসুস্থ জামিলা বেগম (৬০), সফুরা বেগম (৪০) তার মেয়ে সাদিয়া (৫) ও সাবিনা বেগমকে ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়। পরে সফুরা ও সাদিয়ার অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাদের রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

আবু মো. খয়রুল কবীর বলেন, বমি করার কারণে রোগীদের শ্বাসকষ্ট হচ্ছিলো। বিষক্রিয়ার কারণেই এমনটি হয়েছে। এছাড়া রোগীদের পরিবার জানিয়েছে, তারা দানাদার কীটনাশক ফুরাডান মিশ্রিত চা খাওয়ার পরেই এ অবস্থা হয়েছে। রায়পুর ইউনিয়নের (ইউপি) চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি দুঃখজনক। ঠাকুরগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মশিউর রহমান জানান, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।