এমপিওভুক্ত না হওয়ায় দামুড়হুদায় কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের উপক্রম

কুড়–লগাছি প্রতিনিধি: দামুড়হুদায় কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দীর্ঘ দেড় যুগেও এমপিওভুক্ত হয়নি। এসব প্রতিষ্ঠানের দেড় শতাধিক শিক্ষক-কর্মচারী পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। তাই অনেক শিক্ষক অন্য পেশায় চলে যেতে বাধ্য হচ্ছেন। আর এতে প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধের উপক্রম হয়েছে। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় মোট ৪৪টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, তিনটি কলেজ ও পাঁচটি দাখিল মাদরাসা রয়েছে। এর মধ্যে ১০টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় জুনিয়র এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অনেকবার আবেদন নিবেদন ও আন্দোলন করেও দীর্ঘ দেড় যুগেও এমপিওভুক্ত হয়নি।

এলাকাবাসী জানায়, এলাকার বিদ্যানুরাগী ও সমাজ সচেতন ব্যক্তিরা শিক্ষার প্রচারে নিজ উদ্যোগে স্কুল, কলেজ ও মাদরাাসা স্থাপন করেন। কিন্তু সকল শর্ত পূরণ করে সুনামের সাথে শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে ভালো ফলাফল অর্জন করে এলেও এমপিওভুক্ত হয়নি এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। বর্তমান প্রতিষ্ঠানগুলো নানা সমস্যায় জর্জরিত হয়ে এর ভবিষ্যত হুমকিতে পড়েছে। এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দীর্ঘদিনের টিনশেডের ঘরগুলোও বেহাল অবস্থায় রয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলো হলো- ঠাকুরপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়, পীরপুরকুল্লা মাধ্যমিক বিদ্যালয়, তালসারি নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়, চারুলিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়, জুড়ানপুর নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়, আলহেরা মাধ্যমিক বিদ্যালয়, সদাবরি মাধ্যমিক বিদ্যালয়। ঠাকুরপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও ননএমপিওভুক্ত বিদ্যালয় উপজেলা কমিটির সভাপতি আব্দুল আলিম জানান, সকল শর্ত পূরণ করে সুনামের সাথে বিনা বেতনে এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে আসছেন। অনেক আবেদন করেও বিদ্যালয়গুলো এমপিওভুক্ত হয়নি। তাই পরিবারে অভাব অনটনের জন্য চাকরি ছেড়ে অন্য পেশায় চলে যেতে বাধ্য হচ্ছেন শিক্ষকরা। এসব সঙ্কট নিরসন না হওয়ায় প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধের উপক্রম হয়েছে।