আলমডাঙ্গার কাবিলনগর মাদরাসার অধ্যক্ষ ও সভাপতির বিরুদ্ধে অবৈধভাবে ২২টি গাছ কেটে বিক্রির অভিযোগ ॥ অভিযুক্ত অধ্যক্ষকে ডেকে লিখিত জবাবের নির্দেশ

আলমডাঙ্গা ব্যুরো: আলমডাঙ্গার কাবিলনগর নসরুল উলুম আলিম মাদরাসার অধ্যক্ষ ও সভাপতির বিরুদ্ধে অবৈধভাবে মাদরাসার অনেক গাছ কেটে বিক্রি করে করে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। আরও ৩টি গাছ বিক্রির অগ্রিম টাকা নেয়া হয়েছে বলেও এলাকায় চাউর হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি তুলেছে এলাকাবাসী।

জানা গেছে, আলমডাঙ্গা উপজেলার কাবিলনগর নসরুল উলুম আলিম মাদরাসার ৩টি নারিকেল, ১ রেইনট্রি কড়ইসহ পুকুরের চারপাড়ের অনেক গাছ অবৈধভাবে কেটে বিক্রি করার অভিযোগ উঠেছে মাদরাসার অধ্যক্ষ মাও. শহিদুল ইসলাম ও সভাপতি মোজাফফর হোসেন লালুর বিরুদ্ধে। এমনকি আরও ৩টি গাছ বিক্রির অংশ বিশেষ টাকা অগ্রিম নিয়ে রেখেছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।

অভিযোগকারীরা জানিয়েছেন, মাদরাসার ম্যানেজিং কমিটির সভায় এ গাছ কাটা সংক্রান্ত কোনো আলোচনা কিংবা সিদ্ধান্ত না নিয়েই অধ্যক্ষ ও সভাপতি এতোগুলো বৃক্ষ নিধন করে হজম করেছেন। নিয়মানুযায়ী ওই প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটির সভায় কাছ কাটার বিষয়টি উত্থাপন করে সর্বসম্মতিক্রমে সে প্রস্তাব পাশ করিয়ে উপজেলা কমিটির নিকট অনুমতির জন্য জমা দিতে হবে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও বনবিভাগ কর্মকর্তা গাছের মূল্য নির্ধারণ করে দেয়ার পর তা নিলামে বিক্রি করতে হবে। কিন্তু মাদরাসার এতোগুলো মূল্যবান গাছ কাটার ক্ষেত্রে এ সকল নিয়ম বা বাধ্যবাধকতার ধার ধারেননি সভাপতি ও অধ্যক্ষ। সম্প্রতি এ অনিয়মের কথা জানতে পেরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আজাদ জাহান সভাপতি ও অধ্যক্ষকে ডেকে কীভাবে এবং কেন এতগুলি গাছ কেটে বিক্রি করেছেন তা লিখিতভাবে জানানোর নির্দেশ দিয়েছেন।

এ ব্যাপারে মাদরাসার সভাপতি মোজাফফর হোসেন লালু বলেন, গাছ কাটার সকল নিয়ম হয়তো ভালোভাবে মানা হয়নি। শুধুমাত্র ১টি কড়ই গাছ বিক্রি করেছি। সেই টাকায় শহীদ মিনার তৈরি করেছি। মসজিদে যাতায়াতের জন্য কয়েকটি নারিকেল গাছ কাটার কথা স্বীকার করে তিনি বলেন, গ্রামে একটি প্রতিপক্ষ সামাজিকভাবে হেয় করতেই এমন বদনাম ছড়াচ্ছে।