দামুড়হুদায় প্রাইভেট শিক্ষক দুই স্কুলছাত্রীকে কৌশলে অপহরণ করে একজনকে বিয়ে?

 

দিন পর উদ্ধার : প্রাইভেট শিক্ষক ফয়জুল আটক : কাজিসহ জনের নামে মামলা

দামুড়হুদা প্রতিনিধি: চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা পাইলট স্কুল অ্যান্ড কলেজের ৯ম শ্রেণির অপহৃত দু ছাত্রী ৭ দিন পর বন্দি অবস্থায় চুয়াডাঙ্গা থেকে উদ্ধার করেছে দামুড়হুদা মডেল থানার এসআই বাকী বিল্লাহ। রোববার রাত একটার দিকে তাদেরকে উদ্ধার করা হয়। এ সময় ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে প্রাইভেট শিক্ষক ফয়জুল ইসলামকে (৪৩) আটক করা হয়। এ ঘটনায় এক ছাত্রীর পিতা বাদী হয়ে লম্পট শিক্ষক ফয়জুল, দামুড়হুদার কুতুব কাজি ও ফকিরপাড়ার আনিছুর মালের নামে একটি অপহরণ শেষে জোরপূর্বক বাল্যবিয়ের অভিযোগে মামলা দায়ের করেছে। গ্রেফতারকৃত লম্পট শিক্ষক ফয়জুল ফকিরপাড়া গ্রামের মৃত মকছেদ মণ্ডলের ছেলে।

পুলিশ ও অপহৃতদের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, গত ৭ মার্চ মঙ্গলবার সকালে দামুড়হুদা পাইলট স্কুল অ্যান্ড কলেজেরে ৯ম শ্রেণির দু ছাত্রী একই সাথে স্কুলে যাওয়ার উদ্দেশে বাড়ি থেকে বের হয়ে আর বাড়ি ফেরেনি। ওই দিন দুই ছাত্রীর পরিবারের লোকজন তাদেরকে সম্ভাব্য বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করেও কোনো সন্ধান মেলাতে না পেরে পরদিন ৮ মার্চ বুধবার দামুড়হুদা মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়রি করেন। ডায়েরি করা হলে পুলিশ ছাত্রী দুটিকে খুঁজে বের করতে দেশের সকল থানায় বার্তা পাঠানোর পাশাপাশি উদ্ধার অভিযান চালাতে থাকে। এরই একপর্যায়ে গত রোববার সন্ধ্যায় এক ছাত্রী বাড়ি ফিরে পরিবারের লোকজনকে জানায় তাদের নিখোঁজের রহস্য।

ওই ছাত্রীর কাছে বিস্তারিত শুনে পরিবারের লোকজন দামুড়হুদা পুলিশকে বিষয়টি জানান। সংবাদ পেয়ে দামুড়হুদা মডেল থানার ওসি আবু জিহাদ এসআই বাকী বিল্লাহকে দ্রুত অভিয়ান চালিয়ে আসামি আটকসহ স্কুলছাত্রীকে উদ্ধারের নির্দেশ দেন। ওসির নির্দেশ পেয়ে এসআই বাকী বিল্লাহ সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে রোববার রাত একটার দিকে চুয়াডাঙ্গা জেলা শহরের কানা পুকুরের কাছে জনৈক মনার বাড়ি ঘেরাও করে অভিযান চালিয়ে আটক স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার করতে ও অপহরণের মূল নায়ক লম্পট প্রাইভেট শিক্ষক ফয়জুলকে গ্রেফতার করেন।

উদ্ধারকৃত স্কুলছাত্রী জানায়, গত ৭ মার্চ মঙ্গলবার সকালে স্কুলে আসার উদ্দেশে বাড়ি থেকে বের হয়ে দামুড়হুদা শহরের অদূরে পৌঁছায়। এমন সময় লম্পট শিক্ষক ফয়জুল তাদেরকে কৌশলে অপহরণ করে নিয়ে চুয়াডাঙ্গা শহরের কানাপুকুর পাড়ার মনার বাড়িতে আটকে রাখে। পরে বিভিন্ন হুমকিধামকি ও ভয়ভীতি দেখিয়ে নাবালিকা এক ছাত্রীকে বহুল আলোচিত কাজি বাল্যবিয়ে পড়ানোর অভিযোগে একাধিক বারজেল জরিমানা দেয়া দামুড়হুদা সদর ইউনিয়নের কাজি গোবিন্দহুদা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ধর্মীয় শিক্ষক কুতুব কাজির কাছে নিয়ে ভুয়া জন্মনিবন্ধন দিয়ে জোরপূর্বক বিয়ে করে।