চুয়াডাঙ্গায় একই রেজিস্ট্রেশন নম্বরের দুটি মোটরসাইকেলের নেপথ্য উন্মোচিত

 

কেঁচো খুড়তে সাপের সন্ধান : বিআরটিএ’র মনিরুলসহ গ্রেফতার

স্টাফ রিপোর্টার: একেই বলে ‘কেঁচো খুড়তে সাপের সন্ধান’। চুয়াডাঙ্গায় একই রেজিস্ট্রেশন নম্বরের দুটি মোটরসাইকেল নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশের পর খোদ বিআরটিএ চুয়াডাঙ্গায় মাস্টাররোলে কাজ করা মনিরুলসহ এক প্রতারকচক্রের মুখোশ খুলতে শুরু করেছে। পুলিশ ইতোমধ্যেই মনিরুলসহ ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে। ডা. মশিউর রহমান বাদী হয়ে সদর থানায় মামলা দায়ের করেছেন।

প্রতারণা মামলায় গ্রেফতারকৃত ৪ জন হলো- চুয়াডাঙ্গা পলাশপাড়ার মৃত সাহেব আলীর ছেলে মনিরুল ইসলাম, একই পাড়ার ইসমাইল শেখের ছেলে জাকির হোসেন ও সাদিক হোসেন এবং সাদেক আলী মল্লিকপাড়ার মৃত আবুল হোসেনের ছেলে নূরুল ইসলাম হিরা। এদেরকে আজ মঙ্গলবার আদালতে সোপর্দ করা হতে পারে।

জানা গেছে, নূরুল ইসলাম হিরা একজন মোটরসাইকেল মেকানিক্স। চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. মশিউর রহমান মসজিদপাড়ার ছেলে। ডা. মশিউর রহমান বাজাজ ডিসকভারি ১৩৫ সিসির মোটরসাইকেল কেনার পর মোটরসাইকেল মেকানিক্স হিরার নিকট ১৫ হাজার টাকা দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করিয়ে দেয়ার জন্য বলেন। এরপর হিরা চুয়াডাঙ্গা বিআরটিএ অফিসের মনিরুল ইসলামের নিকট থেকে একটি নম্বর নিয়ে (চুয়াডাঙ্গা-ল-১১-১২৮৫) দেয়। রেজিস্ট্রেশনের কাগজপত্রও দেয়। সরল বিশ্বাসে ডা. মশিউর রহমান ওই নম্বর দিয়ে দিব্যি মোটরসাইকলে চালিয়ে বেড়াচ্ছেন। অপরদিকে চুয়াডাঙ্গা পলাশপাড়ার ডিমব্যবসায়ী সিবিজেড ১৫০ মডেলের একটি মোটরসাইকেল কিনে রেজিস্ট্রেশন করেন। একই রেজিস্ট্রেশন নম্বরের দুটি মোটরসাইকেল চুয়াডাঙ্গায় চলছে মর্মে দৈনিক মাথাভাঙ্গা পত্রিকায় প্রতিবেদন প্রকাশের পর নড়েচড়ে বসেন চিকিৎসক। পুলিশও খোঁজখবর নিতে শুরু করে। শেষপর্যন্ত জানা যায়, চিকিৎসক প্রতারিত হয়েছেন।

ডা. মশিউর রহমান বাদী হয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় ৪ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন। মামলার ৪ আসামিকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। এদেরকে আজ মঙ্গলবার আদালতে সোপর্দ করা হতে পারে। সূত্র বলেছে, চুয়াডাঙ্গা বিআরটিএ অফিসে যে জাকির হোসেন অফিসসহকারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি গ্রেফতারকৃত জাকির হোসনে নন। যে জাকির গ্রেফতার হয়েছে সে জাকির বিআরটিএ কার্যালয়ের দালাল বলে চিহ্নিত।