আলমডাঙ্গার বটিয়াপাড়া-শিয়ালমারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার নির্মাণের দাবিতে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন

 

মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি: আলমডাঙ্গার খাদিমপুর ইউনিয়নের বটিয়াপাড়া-শিয়ালমারী মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ৫১ বছর পার হয়ে গেলেও নির্মাণ হয়নি ভাষা সৈনিকদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর জন্য শহীদ মিনার। গ্রামে পাশাপাশি একটি বালক ও একটি বালিকা প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ রয়েছে মাধ্যমিক বিদ্যালয়। স্কুলগুলোতে প্রায় ১ হাজার শিক্ষার্থী প্রতি বছর ২১ ফেব্রুয়ারি আর্ন্তজাতিক মাতৃ ভাষা দিবসটি স্কুলের বেঞ্চ ও কলাগাছ দিয়ে তৈরি করে পালন করে আসছে। গতকাল স্কুলের শিক্ষার্থীরা শহীদ মিনার নির্মাণের দাবিতে মানববন্ধন করেছে।

স্কুলসূত্রে জানা গেছে, আলমডাঙ্গার বটিয়াপাড়া-শিয়ালমারী মাধ্যমিক বিদ্যালয় ১৯৬৬ ইং সালে প্রতিষ্ঠা করা হয়। স্কুলটির বয়স এখন ৫১ বছর। ঐতিহ্যবাহী এই স্কুলে বর্তমানে শিক্ষাথীর সংখ্যা প্রায় ৩ শ। এছাড়া পাশেই রয়েছে বটিয়াপাড়া বালক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও বটিয়াপাড়া-শিয়ালমারী বালিকা এজি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। ৩টি স্কুলে রয়েছে প্রায় ১ হাজারের মতো শিক্ষার্থী। প্রতি বছর ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃ ভাষা দিবসটি স্কুলের বেঞ্চ আবার কোনো বছর কলাগাছ দিয়ে শহীদ মিনার তৈরি করে পালন করে আসছে স্কুলের শিক্ষার্থীরা। স্কুলে শহিদ মিনারের দাবিতে গতকাল শনিবার শিক্ষার্থীরা স্কুলের সামনে মানববন্ধন করে।

এ ব্যপারে স্কুলের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মাদ শাহজাহান বলেন, শহীদ মিনার তৈরির দাবি দির্ঘ দিনের থাকলেও কর্তৃপক্ষের টনক নড়েনি। এছাড়া স্কুলটি নানা সমস্যায় জর্জরিত। ১৯৯৪ ইং সালে ৩ কক্ষ বিষিষ্ঠ একটি ভবন নির্মাণ করা হলেও তার প্লাস্টার খুলে খুলে পড়ছে। স্কুলে রয়েছে শ্রেণি কক্ষ সমস্যা। প্রতিষ্ঠাকলীন ভবনগুলোর জরাজীর্ণ অবস্থা।

স্কুলের সভাপতি জামসেদুর রহমান জাহাঙ্গীর জোয়ার্দ্দার বলেন, খাদিমপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কথা দিয়েছেন পরিষদের অর্থায়নে শহীদ মিনার নির্মাণ করে দেবেন। কিন্তু কেন করছেন না তা জানিনা।

খাদিমপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল হালিম মণ্ডল মাথাভাঙ্গাকে বলেন, খুব দ্রুত স্কুল তিনটির জন্য একটি শহীদ মিনার তৈরি করার প্রস্তুতি চলেছে।

এ ব্যপারে এলাকাবাসী জানায়, ৫১ বছরের ঐতিহ্যবাহী স্কুলটিতে শহীদ মিনার না থাকা খুবই লজ্জা ও দুঃখ জনক। যত দ্রুত সম্ভব ৩ স্কুলের জন্য একটি হলেও শহীদ মিনার নির্মাণের দাবি জানিয়েছে মানববন্ধনে অংশ নেয় সকল শিক্ষার্থী অভিবাবক মহলসহ স্কুলের শিক্ষকবৃন্দ।