আলমডাঙ্গার নাগদাহ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ধর্মীয় শিক্ষিকাকে কুপ্রস্তাব দেয়ায় নাইট গার্ড মন্টুর বিরুদ্ধে থানায় মামলা

 

ঘোলদাড়ী প্রতিনিধি: আলমডাঙ্গার নাগদাহ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ধর্মীয় শিক্ষিকা মুসলিমা খাতুনকে দীর্ঘদিন ধরে স্কুলের নাইট গার্ড সায়েদ আলী মন্টু কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন। গত পরশু বিকেলে শিক্ষিকার নাগদাহ গ্রামের বাসাবাড়িতে গিয়ে আবারও কুপ্রস্তাব দিলে শিক্ষিকা স্কুল কর্তৃপক্ষকে জানান। গতকাল রোববার স্কুল কর্তৃপক্ষ সালিসের আয়োজন করে অভিযুক্ত লম্পট মন্টুকে চড়থাপ্পড় মারে। গতকাল স্কুল শিক্ষিকা বাদী হয়ে আলমডাঙ্গা থানায় মামলা দায়ের করেছেন।

জানা গেছে, আলমডাঙ্গার নাগদাহ দক্ষিণপাড়ার মৃত গফুরের ছেলে নাগদাহ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নাইট গার্ড সায়েদ আলি মন্টু। তিনি বিদ্যালয়ের নৈশ প্রহরী হলেও প্রধান শিক্ষকের ভাবভঙ্গিতে চলেন। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে তেমন আমল দিতে চান না। কোনো শিক্ষককেও তোয়াক্কা করতে চান না বলে বিদ্যালয়ের অনেকেরই অভিযোগ। নাইটগার্ড মন্টু দীর্ঘদিন ধরে একই স্কুলের ধর্মীয় শিক্ষিকা মুসলিমা খাতুনকে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন।  গত পরশু বিকালে স্কুল শিক্ষিকার নাগদাহর বাসাবাড়িতে যান। তাকে একা পেয়ে আবারও কুপ্রস্তাব দেন। কুপ্রস্তাবে সাড়া না দিয়ে তিনি স্কুল কর্তপক্ষের কাছে অভিযোগ দেন। গতকাল বেলা ৩ টার দিকে স্কুল কর্তৃপক্ষ সালিসের আয়োজন করে। এ সময় অভিযুক্ত নাইট গার্ড মন্টুকে চড় থাপ্পড় মেরে আপসরফার চেষ্টা চালায় বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি। তবে গতকালই এ ব্যাপারে স্কুল শিক্ষিকা মুসলিমা বাদী হয়ে নাইট গার্ড সায়েদ আলী মন্টুকে আসামি করে আলমডাঙ্গা থানায় মামলা দায়ের করেছেন বলে স্কুল শিক্ষিকার স্বামী মুন্সিগঞ্জ নিগার সিদ্দিক কলেজের শিক্ষক আবু জাফর জানিয়েছেন।

এ ব্যাপারে এলাকাবাসী জানায়, স্কুলের নাইট গার্ড মন্টুর বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযোগ নতুন নয়, এর আগেও এক ডজনের মতো তার বিরুদ্ধে সালিস হয়েছে। এমন কি স্কুলের ছাত্রীদেরকেও অশ্লীল অঙ্গ-ভঙ্গি দেখিয়েও সালিসের কাঠগাড়ায় দাঁড়িয়েছেন তিনি। কিন্তু একটি পক্ষ তাকে বারবারই রক্ষার চেষ্টা করে থাকে। নাইট গার্ড মন্টুর অত্যাচারে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী। তার বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে এলাকাবাসীসহ ভুক্তভোগী মহল।