চুয়াডাঙ্গার বাজারে গ্রীষ্মের রসালো ফল তরমুজ

 

বিক্রেতারা আকাশ ছোঁয়া দাম হাঁকছেন : দরদাম করেই চলে যাচ্ছেন বেশিরভাগ ক্রেতা

আহসান আলম: মরসুম শুরুর আগেই চুয়াডাঙ্গার বাজারে এসে গেছে গ্রীষ্মের রসালো জনপ্রিয় ফল তরমুজ। মধ্য বসন্তেই গরমের রেশ। ইতোমধ্যে বাজারে এসেছে গ্রীষ্মের রসালো ফল তরমুজ। নতুন ফল, তাই হাঁক-ডাক ছাড়াই বিক্রি হচ্ছে। প্রচণ্ড রোদ-খরা না থাকলেও উচ্চবিত্তরা অনেকটা শখ করেই ঘরে নিচ্ছেন মরসুমি এ ফল। প্রতিটি তরমুজ বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ২৫০ টাকা।

ক্রেতারা বলছেন, গরমে সবার তরমুজ পছন্দের তালিকায় প্রথমে থাকলেও দাম বেশির কারণে তরমুজ কেনা থেকে অনেকে বিরত থাকছেন। বাজারে ফল ক্রেতা আবু আহাদ সায়েদ বলেন, নতুন তরমুজ বাচ্চারা পছন্দ করবে তাই দাম বেশি হলেও কিনতে হলো। তবে দাম চড়া। ভিড় কম তরমুজের দোকানে, কেনার ইচ্ছে থাকলেও দরদাম করেই চলে যাচ্ছেন বেশিরভাগ ক্রেতা।

মরসুমের ফল এলেও জেলায় শীতের কারণে চলতি মরসুমের শুরুতে তরমুজের বাজার অনেক কম, ফলে ব্যবসায়ীরা বিপাকে রয়েছে। অন্যান্য শীতের মরসুমে বাজারে তরমুজ বিক্রি হলেও এই চলতি বছরের শুরুতে তরমুজ বিক্রি তেমনটা হচ্ছে না।

ফল বিক্রেতা নুরুল ইসলাম বেনু বলেন, বাজারে তরমুজের দাম তুলনামূলক বেশি। পাইকারি বাজার থেকে বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে তরমুজের দাম কমে আসবে। বাজারের তরমুজ স্বাদে মোটামুটি ভালো। গরম বেশি হলে তরমুজের চাহিদা বাড়বে। বর্তমানে ভোলা, বরিশাল, পটুয়াখালী অঞ্চল থেকে তরমুজ আসছে।

তরমুজ কেনার সময় এক সরকারি কর্মকর্তা বলেন, গরমের তীব্রতা না থাকলেও গ্রীষ্মের এই ফলটি তিনি শখ করেই কেনেন পরিবারের জন্য। ফলের তালিকার মধ্যে পছন্দের শীর্ষে রয়েছে তরমুজ। কিন্তু দাম বেশি হওয়ায় পর্যাপ্ত পরিমাণে কেনা যাচ্ছে না। বিক্রেতারা আকাশ ছোঁয়া দাম হাঁকছেন। ফলে সুস্বাদু ফলটির স্বাদ নিতে অনেকেই কেনার চেষ্টা করছেন, কিন্তু দাম বেশি হওয়ায় না কিনেই ফিরে যাচ্ছেন।

তরমুজ ব্যবসায়ী রাব্বী হাসান টিটু জানান, বছরের নতুন ফল তরমুজ বাজারে এলেও মানুষের চাহিদা তেমনটা নেই। এখনো ঠাণ্ডা পড়ছে তাই ক্রেতারা তরমুজ কিনছে না।  তিনি আরও বলেন, তরমুজ মরসুমের নতুন ফল হওয়ায় স্থানীয় চাষিদের কাছ থেকে চড়া দামে কিনে লাভের আশায় বাজারে এনে বিক্রি করতে না পারায় বিপাকে পড়েছি।

এদিকে তরমুজ আবাদের জন্য বিখ্যাত জেলা বরগুনা, ভোলা, বরিশাল পটুয়াখালীতে ডিএই কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, কয়েক দিনের বৃষ্টি ও ঝড়ে কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এরপর ব্যাপক বর্ষণ ও শিলাবৃষ্টি না হলে তেমন ক্ষতি হবে না। ডিএই পটুয়াখালীর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের কর্মকর্তারা জানান, পটুয়াখালীর চর অঞ্চলগুলোতে চলতি মরসুমে প্রচুর তরমুজ চাষ হয়েছে। ঝড়বৃষ্টিতে নিচু জমিগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, এ বছর এখানে রাতে ঠাণ্ডা বেশি হওয়ায় এবং ঋতু পরিবর্তনের কারণে স্থানীয়দের বিভিন্ন ঠাণ্ডাজনিত রোগ দেখা দিয়েছে। এর মধ্যে তরমুজ আরও ঠাণ্ডা হওয়ায় তা কিনে বাড়িতে নেয়া হচ্ছে না।