বাণিজ্যিকভাবে নেহালপুর বিলের বালু উত্তোলন

মুচলেকা দিয়েও থেমে নেই চুয়াডাঙ্গা ধুতুরহাটের কলম আলী

 

বেগমপুর প্রতিনিধি: চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় ড্রেজারমেশিন দিয়ে বাণিজ্যিকভাবে বালু উত্তোলন করে থাকে ধুতরহাট গ্রামের আলোচিত কলম আলী। গহেরপুর মাঠে বালু তুলে বিক্রির সময় উপজেলা প্রশাসনের নিকট বালু না তোলার মুচলেকা দেন কলম ও তার ভাই। কয়েকদিন যেতে না যেতেই আবারও নেহালপুর বিলে বালু তুলে বাণিজ্যিকভাবে বিক্রি করছেন কলম। প্রাকৃতিক সম্পদ বিক্রি এবং ফসলী জমি হুমকির মুখে ফেলা কলম আলীর আইনের আওতায় আনার দাবি তুলেছে এলাকাবাসী।

দীর্ঘদিন ধরে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বেগমপুর ও তিতুদহ ইউনিয়নের বিভিন্ন জায়গায় ফসলী জমি হুমকির মুখে ফেলে ড্রেজার মেশিন দিয়ে বাণিজ্যিকভাবে বালু তুলে ব্যবসা করে আসছে কুতুবপুর ইউনিয়নের ধুতরহাট গ্রামের হাজি আক্কাচ আলীর ছেলে কলম আলী। গত ৭ ফেব্রুয়ারি চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার গড়াইটুপি ইউনিয়নের গহেরপুর মাঠে বালু তুলে বিক্রি করার সময় উপজেলা প্রশাসনের নজরে পড়ে কলম আলী। পরের দিন কলম ও তার ভাই ভবীষৎতে আর বালু তোলার কারবার করবে না মর্মে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের দফতরে মুচলেকা দেন। যে কথা সেই কাজ। কয়েকদিন যেতে না যেতেই কলম আলী নেহালপুর ইউনিয়নের নেহালপুর বিলে মৃত সামসুলের জমি থেকে ড্রেজার মেশিন দিয়ে শ’ শ’ গাড়ি বালু তুলে স্তুপ করেছেন।

এলাকাবাসী অভিযোগ করে বলেন, কলম আলী চতুরতার সাথে দুর্গম এলাকায় বালু তোলার কাজ করে থাকেন। বালু তোলার সময় বিক্রি করে না। পরে ড্রেজার মেশিন সরিয়ে ফেলে সময় সুযোগ বুঝে উত্তোলনকৃত বালু বিক্রি করে থাকেন। নেহালপুর বিলে এতো পরিমাণ বালু তুলেছেন যে দেখে মনে হচ্ছে ছোট খাটো টিলা। সেখান থেকে প্রায় অর্ধকোটি টাকার বালু বিক্রি করেছেন বলেও শোনা যাচ্ছে। বর্তমানে ইট তৈরির মোরসুম চলছে। তাই বালুর চাহিদাও বেশি মূল্যও ভালো।

এদিকে বালুমহল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন ২০১০ সালের ৬২ নং আইনের ১৫(১) ও (২) এই আইনের ৪ ধারা অমান্য করলে বালু উত্তোলনকারী বা সহায়তাকারী অনূর্ধ্ব ২ বছর কারাদণ্ড বা সর্বনিম্ন ৫০ হাজার টাকা থেকে ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। প্রাকৃতিক সম্পদ বিক্রি এবং ফসলী জমি হুমকির মুখে ফেলা কলম আলীর আইনের আওতায় আনার দাবি তুলেছে এলাকাবাসী।

এ ব্যাপারে বালু উত্তোলনকারী কলম আলী বলেন, আমি সব কিছু মেনেজ করেইতো এ কারবার করে থাকি। নিউজ করেন না পরে দেখা করবোনি।