কার্পাসডাঙ্গায় পাউয়ারটলির নিচে ঝাঁপ দিয়ে বৃদ্ধের আত্মহত্যা

 

কার্পাসডাঙ্গা প্রতিনিধি: অনেক দিন ধরে আত্নহত্যার চেষ্টা চালালেও যানবাহনের চালকের দক্ষতার কারণে বেঁচে গেলেও এবার আর বাঁচানো গেলো না বুদ্ধি প্রতিবন্ধী বৃদ্ধ দুলু পাকাকে। অবশেষে ইটবহনকারী পাউয়ারটলির চাকার নিচে মাথা দিয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি।

জানা গেছে, গতকাল শনিবার সকালে দামুড়হুদা উপজেলার কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়নের পিরপুরকুল্লা মাঝ পাড়ার মৃত মোজাহার পাকার ছেলে দুলু পাকা (৫৮) বাড়ি থেকে বের হন। কার্পাসডাঙ্গায় এসে প্রধান সড়কেরর মাঝ পথে দাঁড়িয়ে প্রথমে সকাল ৬টার দিকে দর্শনা ডিলাক্স পরিবহনের সামনে এসে দাঁড়ায়। চালক গাড়ির গতি থামিয়ে তাকে বাঁচিয়ে দেয়। এরপর নেভি ভাটার ট্রাক্টরের সামনে এসে দাড়ালে সে যাত্রায় বেঁচে যায়। অবশেষে সকাল ৭টার দিকে কার্পাসডাঙ্গা কবরস্থান মোড়ে এমএম ইট ভাটার ইট বোঝাই পাউরটলির পেছনের চাকার নিতে মাথা দেন। তার মাথা রাস্তার সাথে পিষ্ট হয়ে যায়। ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।

দর্শনা ডিলাক্স পরিবহনের চালক জানান, সকালে আমাদের পরিবহনের সামনে এসে দাঁড়ায় কিন্তু আমি বুঝতে পেরে গাড়ি থামিয়ে দেয়। পথচারীরা জানায়, ইট বোঝাই গাড়িটি কুতুবপুরের উদ্দেশে যাচ্ছিলো এমন অবস্থায় বৃদ্ধটি গাড়ির পেছনের চাকায় পাথা দিয়ে আত্মহত্যা করে। মৃত দুলুর আত্নীয় স্বজনরা জানায়, তার মাথায় সমস্যা আছে সে এর আগে অনেক কয়েকবার আত্মহত্যার অপচেষ্টা চালিয়েছে। ঘটনাস্থলে কার্পাসডাঙ্গা ফাঁড়ির এএসআই আলমগীর হোসেন এসে ভাটার পাউটটিলারটি জব্দ করে ফাঁড়িতে নিয়ে যায়। মৃত দুলু পাকার পরিবারের লোকজন খবর পাওয়ার সাথে সাথে ঘটনাস্থলে এসে লাশ বাড়িতে নিয়ে যায়। মৃত দুলু পাকা ৩ ছেলে ৪ মেয়ের জনক। গতকাল দুপুর আড়াইটার দিকে পিরপুরকুল্লা মাঝপাড়ার কবরস্থানে তার লাশের জানাজা শেষে দাফন কাজ সম্পন্ন করা হয়।