পিতা-মাতার অসাবধানতা : চুলোর আগুনে দগ্ধ হলো দামুড়হুদা মদনার শিশু রোহান

স্টাফ রিপোর্টার: পিতা-মাতার অসাবধানতার কারণেই মৃত্যুর সাথে লড়ছে শিশু রোহান। তপ্ত চুলোর মধ্যে পড়ে গিয়ে তার মুখমণ্ডলসহ দেহের অর্ধেক ঝলসে গেছে। করুণ পরিণতির শিকার রোহানকে চুয়াডাঙ্গা থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে। তার অবস্থা গুরুতর বলে হাসপাতালসূত্রে জানা গেছে। গতকাল রোববার সকাল ১০টার দিকে দামুড়হুদা উপজেলার মদনা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। দগ্ধ রোহানকে গতকালই ঢাকার উদ্দেশে নেয়া হয়।

গ্রামসূত্রে জানা গেছে, মদনা গ্রামের তরিকুল ইসলামের বাড়ির উঠোনের চুলোয় শনিবার ধান সিদ্ধ করা হয়। কিন্তু আগুন না নিভিয়ে চুলোটি খোলা রাখা হয়। গতকাল রোববার সকাল ১০টার দিকে একটি শূন্য বদনা নিয়ে খেলছিলো তরিকুল ইসলামের দু’বছর বয়সী শিশুপুত্র রোহান। এক সময় তার হাত থেকে বদনাটি চুলোর ভেতর পড়ে যায়। শিশু রোহান বদনাটি চুলো থেকে তুলতে গিয়ে সবার অজান্তে পড়ে যায়। রোহানের চিৎকার শুনে পাশের বাড়ির এক নারী ছুটে এসে চুলো থেকে রোহানকে তোলেন। ততক্ষণে রোহানের মুখমণ্ডল থেকে শুরু করে শরীরের অর্ধাংশ পুড়ে দগ্ধ হয়ে যায়। তাকে গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গায় সদর হাসপাতালে নেয়া হয়। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ডা. রাজিবুল ইসলাম শিশু রোহানকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে রেফার করেন। অ্যাম্বুলেন্স না পাওয়ার কারণে গতরাত সোয়া ৮টার দিকে রোহানকে ঢাকার উদ্দেশে নেয়া হয়। রোহানের অবস্থা গুরুতর বলে হাসপাতালসূত্রে জানা গেছে।