বিদেশি টুকরো খবর

মাথাভাঙ্গা মনিটর: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওহাইও রাজ্যের সিনসিনাটির একটি নাইটক্লাবে বন্দুকধারীর হামলায় ১৬ জনের হতাহতের ঘটনা ঘটে। এতে কমপক্ষে একজন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছেন অন্তত ১৩ জন। ওহাইও রাজ্যের সিনসিনাটি পুলিশ বিভাগ জানিয়েছে, গতকাল রোববার নাইটক্লাবে ঢুকে এলোপাতাড়ি গুলি চালায় ওই হামলাকারী। গতকাল রোববার গুলির শব্দ শোনার পর ক্লাব কর্তৃপক্ষ পুলিশকে খবর দেয়। সিনসিনাটি পুলিশ জানায়, এ ঘটনাকে হত্যাকাণ্ড ধরে নিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। তবে কাউকে হেফাজতে নেয়া হয়েছে কি-না, তা জানানো হয়নি। সিনসিনাটি সহকারী পুলিশ প্রধান পল নিওডিগেট বলেন, এটি তদন্ত করতে যথেষ্ট সময় দরকার। তবে কাজ চলছে। তবে এটা নিয়ে বিস্তারিত কিছু বলতে চাননি এ কর্মকর্তা।

 

মাত্র ৮২ সেকেন্ডে লন্ডনে হামলা চালায় মাসুদ একাই

মাথাভাঙ্গা মনিটর: ব্রিটিশ পার্লামেন্টের বাইরে গাড়ি নিয়ে হামলা চালিয়েছিলো ঘটনার মূল হোতা খালিদ মাসুদ একাই। এমনটাই জানিয়েছে লন্ডন পুলিশ। তবে এ হামলার পর আরো হামলা হতে পারে এমন কোনো তথ্য পাইনি ব্রিটিশ পুলিশ। লন্ডন মেট্রোপলিটন পুলিশের ডেপুটি অ্যাসিস্টেন্ট কমিশনার নেইল বসু বলেন, আমাদের সবাইকে এটা মেনে নিতে হবে, এই সম্ভাবনা রয়ে গেছে যে, হামলাকারী কেন এ কাজ করেছে তা আমরা কোনো দিন জানতে পারবো না। তার দাবি, যদি খালিদ মাসুদ একাই হামলার প্রস্তুতি নিয়ে থাকে, তবুও সে কেন এই ঘৃণ্য কাজটি করলো তা আমাদের পরিষ্কার হতে হবে। লন্ডনবাসী এবং এই নিষ্ঠুরতায় যারা হতাহত হয়েছেন তাদের পরিবারের কাছে তুলে ধরার জন্যই তা করতে হবে। নেইল বসু বলেন, আমরা নিশ্চিত হতে চাই, মাসুদ একাই সন্ত্রাসী মতাদর্শ দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়েছিলো, নাকি অন্য কেউ তাকে উৎসাহ, সমর্থন কিংবা নির্দেশনা দিয়েছে। যদি ঘটনার পেছনে পরের কারণটি থাকে, তাহলে উৎসাহদানকারীরা বিচারের সম্মুখীন হবে।

 

গণতান্ত্রিক কঙ্গো প্রজাতন্ত্রে ৪০ পুলিশ কর্মকর্তার শিরশ্ছেদ

মাথাভাঙ্গা মনিটর: গণতান্ত্রিক কঙ্গো প্রজাতন্ত্র বা ডিআর কঙ্গোতে বেসামরিক বাহিনীর যোদ্ধারা পুলিশের একটি বহরে হামলা চালিয়ে অন্তত ৪০ পুলিশ অফিসারকে শিরশ্ছেদ করে হত্যা করেছে। কঙ্গোর মধ্যাঞ্চলীয় কাসাই প্রদেশে এ ঘটনা ঘটেছে। খবরটি জানিয়েছে স্থানীয় কর্মকর্তারা। প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে কামউইনা সাপু নামের যোদ্ধারা পুলিশ বহরটির ওপর হামলা চালায়। সাপু গোষ্ঠীর ভাষায় কথা বলতে পারা ছয় পুলিশ কর্মকর্তাকে না মেরে ছেড়ে দেয়। কিন্তু বাকি সবাইকে শিরশ্ছেদ করে হত্যা করা হয়। এমনটাই জানিয়েছে কাসাই সভাপতি ফ্রাসোয়া কালাম্বা। গত অগাস্টে নিরাপত্তা বাহিনী কামউইনা সাপু গোষ্ঠীর নেতাকে হত্যা করার পর থেকে কাসাইয়ের পরিস্থিতি অশান্ত হয়ে ওঠে। শুক্রবার শিকাপা ও কানানাগা এলাকার মধ্যবর্তী স্থানে টহল দেয়ার সময় পুলিশ বহরটির ওপর হামলা চালানো হয়। প্রাদেশিক গভর্নর অ্যালেক্সি এনকান্দে মাইওপোম্পা জানিয়েছেন, হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে একটি তদন্ত শুরু করা হয়েছে। জাতিসংঘ বলেছে, কামউইনা সাপু গোষ্ঠীর নেতা জ্যা পিয়েরে পান্ডিকে হত্যা করার পর সৃষ্ট অস্থিরতায় কাসাই অঞ্চলে এ পর্যন্ত ৪০০ জন নিহত ও দুই লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।

 

গুজরাটে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় নিহত ১

মাথাভাঙ্গা মনিটর: ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর প্রদেশ গুজরাটে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় ১ জন নিহত হয়েছে, আহত হয়েছে আরো ১৪ জন। গতকাল শনিবারের এই দাঙ্গায় ১০টি বাড়ি ও ২০টি যানবাহনে অগ্নিসংযোগ করা হয়। জানা গেছে, মুসলিম ছাত্রদের খারাপ ব্যবহারের অভিযোগ তুলে গুজরাটের পাতান জেলার ভাদভালি গ্রামে কমপক্ষে ৫ হাজার মানুষ মুসলিমদের ওপর হামলা করে। বেশ কয়েকটি বাড়ি ও গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়। মুসলিমরা পাথরছুড়ে হামলার জবাব দেয়। পুলিশ টিয়ারগ্যাস ও সাত রাউন্ড গুলি ছুড়ে বিবদমান দুইপক্ষকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। গুজরাট প্রদেশ সাম্প্রদায়িক সহিংসতার জন্য কুখ্যাত। ২০০২ সালে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় কমপক্ষে ১ হাজার মানুষ নিহত হয় যাদের বেশির ভাগ মুসলিম। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তখন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন, তার বিরুদ্ধে অভিযোগ তিনি এই দাঙ্গা থামাতে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি।