চুয়াডাঙ্গা-মেহেরপুরসহ সারাদেশে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালন

চুয়াডাঙ্গা-মেহেরপুরসহ সারাদেশে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালন : ঢাকায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

আত্মহনন ও জঙ্গিবাদের পথ ছেড়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে এলে সরকার তাদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা

মাথাভাঙ্গা ডেস্ক:  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ইসলাম শান্তির ধর্ম। ইসলাম আত্মহননকে সমর্থন করে না। আত্মহননকারীর স্থান জাহান্নামে। তাই আত্মহনন ও জঙ্গিবাদের পথ ছেড়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে এলে সরকার তাদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করবে। আর পুনর্বাসনের জন্য যা যা প্রয়োজন সব করা হবে। গতকাল রোববার সকালে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে ঢাকা জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত জাতীয় শিশু-কিশোর সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস, মাদকের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান চলছে, চলবে এবং কঠোর হাতে তা আমরা দমন করব।প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা চাই যে আমাদের ছেলে-মেয়েরা মন দিয়ে লেখাপড়া শিখবে এবং অভিভাবক ও শিক্ষকের কথা শুনবে, মান্য করে চলবে এবং কখনও মাদক বা সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদের সঙ্গে সম্পৃক্ত হবে না। তিনি বলেন, আজকে তোমরা বিভিন্ন স্কুল ও প্রতিষ্ঠান থেকে সমবেত হয়েছ। সেই সঙ্গে শিক্ষক ও অভিভাবকবৃন্দও এখানে আছেন। আমি সবাইকে এইটুকু বলবো সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমাদের ছেলে-মেয়েরা যেন উন্নত জীবন পায়, সত্ চরিত্রবান হয় এবং লেখাপড়ার পাশাপাশি মানুষের মতো মানুষ হয়। আগামীদিনের বাংলাদেশকে গড়ার জন্য যেন এখান থেকেই নিজেদের দক্ষ ও যোগ্য করে গড়ে তোলে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজ আমি প্রধানমন্ত্রী হয়েছি এবং আজকের যারা শিশু, আমি মনে করি তাদের মধ্য থেকেই আগামীতে কেউ না কেউ প্রধানমন্ত্রী হবে। মন্ত্রী হবে, অফিসার হবে, বিভিন্ন সেনা- নৌ ও বিমানবাহিনী থেকে শুরু করে পুলিশ বাহিনী, বিজিবি কর্মকর্তা হবে। তারা দেশকে গড়ে তুলবে। দেশকে উন্নত সমৃদ্ধশালী করে গড়ে তুলবে। অভিভাবক এবং শিক্ষকদের ঐক্যবদ্ধভাবে উদ্যোগ গ্রহণের মাধ্যমে শিশু-কিশোরদের নৈতিক ও আদর্শগত শিক্ষা দিয়ে আগামীর নেতৃত্ব প্রদানে সক্ষম ভবিষ্যত প্রজন্ম গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজকের যে প্রজন্ম তারাই একদিন শিক্ষা-দীক্ষায় পরিপূর্ণ হয়ে উন্নত মানবসম্পদে পরিণত হবে। এদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস, মাদকের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান চলছে, চলবে এবং কঠোর হাতে তা আমরা দমন করবো। সারাদেশের মতো চুয়াডাঙ্গা মেহেরপুর ও ঝিনাইদহসহ আশপাশ এলাকায় মহান স্বীধনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন করা হয়েছে।

চুয়াডাঙ্গায় উৎসবমুখর পরিবেশে গতকাল শনিবার শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে সরকারি-বেসরকারি সংস্থা, বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন দিনভর নানা অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে দিবসটি পালন করে।  দিনব্যাপী চুয়াডাঙ্গায় নানা কর্মসূচি পালিত হয়। জেলা আওয়ামী লীগ, জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন ও পৌরসভার পক্ষ থেকে শহীদ হাসান চত্বরে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিসৌধে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়। সূর্যোদয়ের সাথে সাথে চুয়াডাঙ্গা সদর থানা চত্বরে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসের শুভসূচনা করা হয়। এছাড়া সকল সরকারি-বেসরকারি, স্বায়ত্বশাসিত ও ব্যক্তি মালিকানাধীন ভবনসমূহে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার উদ্যোগে পৌরসভা এলাকার সকল সড়ক ও সড়ক দ্বীপসমূহে জাতীয় পতাকা ও রঙিন পতাকা দ্বারা সাজানো হয় এবং পৌরসভাকে আলোকসজ্জায় সজ্জিত করা হয়। সকাল সাড়ে ৭টায় চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে চুয়াডাঙ্গা স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হয় মনোজ্ঞ মার্চপাস্ট, কুঁচকাওয়াজ ও শরীরচর্চা প্রদর্শনী।

চুয়াডাঙ্গায় দিনব্যাপি অনুষ্ঠিত নানা কর্মসূচির মধ্যে ছিলো জেলা আওয়ামী লীগ, জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন ও পৌরসভার পক্ষ থেকে শহীদ হাসান চত্বর মোড়ে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিসৌধে পুষ্পমাল্য অর্পণ। সূর্যোদয়ের সাথে সাথে চুয়াডাঙ্গা সদর থানা চত্বরে ৩১বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসের শুভসূচনা। এছাড়া সকল সরকারি-বেসরকারি, স্বায়ত্বশাসিত ও ব্যক্তি মালিকানাধীন ভবনসমূহে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার উদ্যোগে পৌরসভা এলাকার সকল সড়ক ও সড়ক দ্বীপসমূহে জাতীয় পতাকা ও রঙিন পতাকা দ্বারা সাজানো হয় এবং পৌরসভাকে আলোকসজ্জায় সজ্জিত করা হয়। সকাল সাড়ে ৭টায় চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে চুয়াডাঙ্গা স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হয় মনোজ্ঞ মার্চপাস্ট, কুঁচকাওয়াজ ও শরিরচর্চা প্রদর্শনী। অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে চুয়াডাঙ্গা জেলা সদরের ৬৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন। এর মধ্যে ছিলো বাংলাদেশ পুলিশ, বিএনসিসি, জেল কন্টিজেন্ট, রোভার স্কাউটস, ফায়ার সার্ভিস সিভিল ডিফেন্স, আনসার-ভিডিপি, বয়স্কাউটস, গার্লসগাইড, স্কুল-কলেজ, মাদরাসা, শিশুপরিবার, মুকুলফৌজ ও হলদে পাখি, ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের দল এবং সংগঠন।

অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক সায়মা ইউনুস ও ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার বেলায়েত হোসেন চুয়াডাঙ্গা শিল্পকলা একাডেমীর শিল্পীদের পরিবেশনায় জাতীয় সঙ্গীতের তালে তালে জাতীয় পতাকা উত্তোলন শেষে শান্তির প্রতীক শ্বেতকপোত অবমুক্ত ও বেলুন উড়িয়ে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন। এরপর দু পাইলট এবং প্যারেড কমান্ডার চুয়াডাঙ্গা পুলিশ লাইনের আরআই- জামসেদুল হকের চৌকস প্রহরায় জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার কুঁচকাওয়াজ পরিদর্শন করেন। এ সময় মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন বীর প্রতীক সাইদুর রহমান, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আবুহোসেন,  স্থানীয় সরকার উপপরিচালক আঞ্জুমান আরা, চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ড. এবিএম মাহমুদুল হক, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) দেবপ্রসাদ পাল, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আ. রাজ্জাক, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জসীম উদ্দিন, চুয়াডাঙ্গা পৌর মেয়র ওবায়দুর রহমান চৌধুরি জিপু, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মৃনাল কান্তি দেসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাবৃন্দ।

কুঁচকাওয়াজ পরিদর্শন শেষে জেলা প্রশাসক স্টেডিয়ামে আগত সকলের উদ্দেশে দেশের মহান স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব অক্ষুণ্ণ রেখে, শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে, জঙ্গিবাদ, অপশক্তিমুক্ত বাংলাদেশ, মুক্তিযোদ্ধ, সুখি-সমৃদ্ধ, ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত বাংলাদেশ গঠনের লক্ষ্যে ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহার নিশ্চিত করে দেশ গড়ার আহ্বান জানিয়ে প্রাণবন্ত বক্তৃতা দেন। তিনি বলেন, ৩০ লাখ শহীদের রক্তে ও ২ লাখ মা-বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে আমরা পেয়েছি একটি লাল-সবুজ পতাকা ও স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিলো নিপীড়িত-নির্যাতিত জর্জরিত মানুষের এ দেশটি যেন স্নেহ-প্রেম প্রীতির আবহে পূর্ণ হয়ে সুস্থ মানবতার আবাসভূমি হয়ে উঠতে পারে এবং সেই পরিবেশে বেড়ে ওঠে নতুন প্রজন্ম যেন পরিপূর্ণতার আশীর্বাদ মাথায় নিয়ে বিশ্বময় বিশ্বমানবতার জয়গানে মুখর হয়ে উঠতে পারে। ডিজটাল প্রযুক্তি ব্যবহার নিশ্চিত করে দেশ যেন মধ্যম আয়ের দেশে পরিনত হয়।  ভাষণ শেষে ৬৫টি প্রতিষ্ঠানের মনোজ্ঞ মার্চপাস্ট পরিদর্শন ও সালাম গ্রহণ করেন। এরপর বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন কর্তৃক অনুষ্ঠিত মার্চপাস্ট ও শরিরচর্চা প্রদর্শনী উপভোগ করেন। কুচকাওয়াজে  ক বিভাগে প্রথমস্থান অধিকার করে যুব রেড ক্রিসেন্ট ঝিনুক মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়, দ্বিতীয় স্থান অধিকার করে গার্লস গাইড ঝিনুক মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় এবং তৃতীয় স্থান অধিকার করে গার্লস গাইড সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়।  খ বিভাগে প্রথম স্থান অধিকার করে সরকারি শিশু পরিবার, দ্বিতীয় স্থান অধিকার করে পুলিশ লাইন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং তৃতীয় স্থান অধিকার করে কাবদল (ছাত্রী) এমএ বারি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। শরিরচর্চা প্রদর্শনীতে ক গ্রুপে ১ম স্থান অধিকার করে সরকারি শিশুসদন, ২য় স্থান অধিকার করে গার্লস গাইড সরকারি বালিকা বিদ্যালয়, এবং ৩য় স্থান অধিকার করে গাল্র্স গাইড আদর্শ বালিকা বিদ্যালয়। খ বিভাগে ১ম স্থান অধিকার করে কাবদল (ছাত্র) রেলবাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়,২য় স্থান অধিকার করে চুয়াডাঙ্গা কালেক্টরেট স্কুল এন্ড কলেজ এবং ৩য় স্থান অধিকার করে কাবদল (ছাত্র) ইসলাম পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।

শরিরচর্চা প্রদর্শন শেষে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক, চুয়াডাঙ্গা (ভারপ্রাপ্ত) পুলিশ সুপার, চুয়াডাঙ্গা পৌর মেয়রসহ আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ কুঁচকাওয়াজে অংশগ্রহণকারি প্রত্যেক প্রতিষ্ঠানকে সান্ত্বনা পুরস্কার ও ১ম, ২য়, ৩য় স্থান অধিকারিদের মধ্যে বিশেষ পুরস্কার বিতরণ করেন। পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন এনডিসি তরিকুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে আগত সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও দলগুলোর জন্য প্রচন্ড গরমে বিনামূল্যে পানি সরবরাহ করে গ্রিনফুড ও জেলা জনস্বাস্থ্য প্রৌকশল অধিদফতর। বেলা সাড়ে ১১টায় চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসনের আয়োজনে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা প্রদান ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) দেবপ্রসাদ পালের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক সায়মা ইউনুস। বিশেষ অতিথি ছিলেন পুলিশ সুপার ভারপ্রাপ্ত বেলায়েত হোসেন, চুয়াডাঙ্গা পৌর মেয়র ওবায়দুর রহমান চৌধুরি জিপু, বীরপ্রতিীক সাইদুর রহমান, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আবু হোসেন ও আলোচনাসভা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আহ্বায়ক চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মৃনাল কান্তি দে। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের বাংলা বিভাগের সহকারি অধ্যাপক মুন্সি আবু সাইফ। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ৩ জন জীবিত মুক্তিযোদ্ধার জীবনবৃত্তান্ত তুলে ধরে তাদের সম্মাননা ক্রেস্ট ও বিশেষ পুরস্কারে ভূষিত করা হয়। এরা হলেন- বীর মুক্তিযোদ্ধা আ. মোমেন জোয়ার্দ্দার, বীর মুক্তিযোদ্দা মেজর (অব.) আ. রহমান জোয়ার্দ্দার ও বীরমুক্তিযোদ্ধা আ. হান্নান। এছাড়া ১৮ জন শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রত্যেক দু হাজার করে নগদ অর্থ দেয়া হয়।

বিকেল ৩টায় চুয়াডাঙ্গা পুরাতন স্টেডিয়াম মাঠে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদাপন উপলক্ষে প্রীতি ফুটবল প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। চুয়াডাঙ্গার প্রাক্তন খেলোয়াড় বনাম জেলা ক্রীড়া সংস্থা একাদশ, মুক্তিযোদ্ধা একাদশ বনাম সোনালি অতীত একাদশ, চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সাংবাদিক একাদশ বনাম জেলা দোকান মালিক সমিতি/জেলা শিল্প বনিক সমিতি এবং জেলা প্রশাসন একাদশ বনাম পৌরসভা একাদশের মধ্যে প্রীতি ফুটবল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। জেলা প্রশাসন একাদশের অধিনায়ক ছিলেন জেলা প্রশাসক সায়মা ইউনুস এবং পৌরসভা একাদশের অধিনায়ক ছিলেন চুয়াডাঙ্গা পৌর মেয়র ওবায়দুর রহমান চৌধুরি জিপু এবং সহ-অধিনায়ক ছিলেন প্যানেল মেয়র একরামুল হক মুক্তা। প্রথম ৪টি ম্যাচই গোলশূন্য ড্র হলেও জেলা প্রশাসন ও চুয়াডাঙ্গা পৌরসভা একাদশের মধ্যেকার ম্যাচটি ১-১ গোলে ড্র-হয়। প্রীতি ফুটবল ম্যাচ শেষে অংশগ্রহণকারি সকল খেলোয়াড়দেকে চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা পুরস্কার দেয়া হয়। পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথী ছিলেন জেলা প্রশাসক সায়মা ইউনুস। বিশেষ অতিথি ছিলেন চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ড. এবিএম মাহমুদুল হক, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) দেবপ্রসাদ পাল, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সার্কেল) তরিকুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আ. রাজ্জাক, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জসীম উদ্দিন, চুয়াডাঙ্গা পৌর মেয়র ওবায়দুর রহমান চৌধুরি জিপু, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আবু হোসেন প্রমুখ।

সকাল পৌনে সাতটায় জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয় চত্বরে জাতীয় ও সাংগঠনিক পতাকা উত্তোলনের মধ্যদিয়ে দিনের কর্মসূচি শুরু হয়। জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি ও চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আসাদুল হক বিশ্বাস জাতীয় এবং জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাবেক পৌর মেয়র রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার সাংগঠনিক পতাকা উত্তোলন করেন। একই সাথে আওয়ামী লীগের অঙ্গসংগঠনের স্ব স্ব নেতা নিজ নিজ সংগঠনের পতাকা উত্তোলন করেন। জাতীয় ও দলীয় পতাকা তোলার পর বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের কর্মসূচি পালনের সূচনা করা হয়। পতাকা উত্তোলনের পর বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ধারাবাহিকভাবে যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগসহ বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা পূষ্পমাল্য অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

দলীয় কার্যালয় থেকে একটি শোভাযাত্রা শহীদ হাসান চত্বরে এসে শেষ হয়। এরপর সেখানে মহান মুক্তিযুদ্ধে নিহত সকল শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর জন্য শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিসৌধে পু®পস্তবক অর্পণ করেন সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আসাদুল হক বিশ্বাস ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক পৌর মেয়র রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার টোটন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি খুস্তার জামিল, প্রচার সম্পাদক ফেরদৌস আরা সুন্না, সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাড. আ. মালেক, শ্রমিকলীগের সভাপতি আফজালুল হক, উপপ্রচার সম্পাদক শওকত আলী বিশ্বাস, ক্রীড়া সম্পাদক আরশাদ উদ্দিন চন্দন, দফতর সম্পাদক অ্যাড. আবু তালেব বিশ্বাস ও মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্মলীগের চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার আহ্বায়ক গরিব রুহানী মাসুম সাহী প্রমুখ। এছাড়াও অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগ, সকল সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতীম সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। বেলা ১১টায় জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয় থেকে জেলা আওয়ামী লীগ বিশাল বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের করে। র‌্যালিটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে এসে দলীয় কার্যালয়ে শেষ হয়।

ফার্স্ট ক্যাপিটাল ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের নিজস্ব ক্যাম্পাসে দিনভর যথাযথ মর্যাদায় মহান স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করে। স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ইউনিভার্সিটিতে সকাল ৮টায় জাতীয় সঙ্গীতের সাথে সাথে জাতীয় পতাকা ও ইউনিভার্সিটির পতাকা উত্তোলন করেন ইউনিভার্সিটির ভাইস-চেয়ারম্যান রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার, কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর আব্দুল মোত্তালেব, রেজিস্ট্রার প্রফেসর হারুন-অর রশীদসহ, সকল শিক্ষক, স্ব-স্ব বিভাগীয় ছাত্র-ছাত্রী, কর্মকর্তা ও কর্মচারিবৃন্দ। কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর আব্দুল মোত্তালেব সাহেবের সভাপতিত্বে বিকাল ৩টায় আলোচনা অুনষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ইউনিভার্সিটির বোর্ড অব ট্রাস্টিজের ভাইস-চেয়ারম্যান রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার, আলোচক হিসাবে ছিলেন ইউনিভার্সিটির আইন অনুষদের উপদেষ্ট কুষ্টিয়া ইসলামী ইউনিভার্সিটির কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর সেলিম তোহা, ইউনিভার্সিটির রেজিস্ট্রার প্রফেসর হারুন-অর রশীদ, চুয়াডাঙ্গা সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ নওরোজ মোহাম্মদ সাঈদ, চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের সহকারি অধ্যাপক মুন্সি আবু সাইফ, ইউনিভার্সিটির অর্থ পরিচালক আব্দুল মজিদ বিশ্বাসসহ অনেকে। আলোচনা অনুষ্ঠান শেষে ইউনিভার্সিটিতে বঙ্গবন্ধুর ওপর রচনা প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারিদের মধ্যে এবং স্বাধীনতা কাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট-২০১৭ বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা। অনুষ্ঠানের শুরুতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দারসহ সকল মুক্তিযোদ্ধা এবং দেশের মঙ্গলকামনা করে দোয়া করা হয়। স্বাধীনতা দিবসের দিনভর অনুষ্ঠানে সার্বিক সহযোগিতা করেন ইউনিভার্সিটির সহকারি রেজিস্ট্রার নাফিউল ইসলাম জোয়ার্দ্দার।

বাংলাদেশ ডিপ্লোমা মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন, চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার পদযাত্রা ও পুস্পস্তবক অর্পণ। উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সভাপতি ডা. মঞ্জুরুল ইসলাম বেলু, সিনিয়র সহসভাপতি ডা. হারুন অর রশিদ পলাশ, সাধারণ সম্পাদক ডা. রবিউল ইসলাম, সহসভাপতি ডা. শফিকুর রহমান, সহসাধারণ সম্পাদক ডা. নাজমুল হক, সহসাংগঠনিক সম্পপদক ডা. তোফাজ্জেল হক, অর্থসম্পাদক ডা. মোখলেছুর রহমান, সম্মানিত সদস্য ডা. রওশন আমিন রতন, ডা. আশরাফুল হক শিমুল, ডা. কাজল, ডা. রুহিনা তাসমিন, ডা. সাবিনা ইয়াসমিন, ডা. গোলাম জাকারিয়া খালিদ তপন প্রমুখ। বিশেষ অতিথি ছিলেন সম্মানিত সিভিল সার্জন ডা. রওশন আরা বেগম, বিএমএ সভাপতি ডা. মার্টিন হীরক চৌধুরী ও বিডিএমএ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী পরিষদের সহসাংগঠনিক সম্পাদক ডা. আক্তারুজ্জামান জোয়ার্দার।

চুয়াডাঙ্গা জেলা সদরের শৈলগাড়িতে মহান স্বাধীনতা দিবস ও জাতীয় দিবস পালিত হয়েছে। এ সময় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ শহীদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করা হয়। পরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন- মহিউদ্দিন ফকির, মুসলিম উদ্দিন, জুড়োন শাহ, তৌহিদ হাসান মনি, ফকির সুলতান, নাসিমা, সেলিনা, শান্তিবালাসহ আরও অনেকে।

ডিঙ্গেদহ প্রতিনিধি জানিয়েছেন, ডিঙ্গেদহ বালিকা বিদ্যালয়ে আলোচনাসভায় প্রধান শিক্ষক শরিফ উদ্দিনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন শঙ্করচন্দ্র ইউপি চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল রহমান। ডিঙ্গেদহ সোহরাওয়ার্দ্দী স্মরণী বিদ্যাপীঠ, ডিঙ্গেদহ দাখিল মাদরাসা, বালিকা বিদ্যালয়ে উদ্যোগে র‌্যালি বের করে। সন্ধ্যা ৭টায় শঙ্করচন্দ্র ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও আলোচনাসভার আয়োজন করা হয়। উদীচী ডিঙ্গেদহ শাখার সভাপতি আব্দুল হান্নানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন শঙ্ককরচন্দ্র ইউপি চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রহমান, অতিথি ছিলেন উদীচী জেলা শাখার সভাপতি অ্যাড. নওশের আলী, সম্পাদক জহির রায়হান, উদীচী জাতীয় পরিষদের সদস্য আব্দুর ছাত্তার, সেক্রেটারি আবু সাইদ বিশ্বাস প্রমুখ।

বেগমপুর প্রতিনিধি জানিয়েছেন, হিজলগাড়ি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে র‌্যালি ও আলোচনাসভান আয়োজন করা হয়।। উপস্থিত ছিলেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আনোয়ার হোসেন স্বপন, সহপ্রধান শিক্ষক আলী হোসেন, বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সদস্য নিয়ামত আলী, মিঠু, সহকারি সিনিয়র শিক্ষক আবুল বাসার, আবুল হোসেন, আজিজুল হক শাহানাজ পারভীন, শেফালী বেগম প্রমুখ। এছাড়াও দিবসটি বড়সলুয়া নিউমডেল কলেজ, খাড়াগোদা, তিতুদহ, আড়িয়া দাখিল মাদরাসা, বেগমপুর-যদুপুর, কোটালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে পালিত হয়েছে।

সরোজগঞ্জ প্রতিনিধি জানিয়েছেন, সরোজগঞ্জ তেতুল শেখ কলেজের উদ্যোগে আলোচনাসভার আয়োজন করা হয়। কলেজ পরিচালনা কমিটির সভাপতি প্রতিষ্ঠাতা হাজি আব্দুল্লাহ শেখ, চুয়াডাঙ্গা জেলা কৃষক লীগের সভাপতি আজিজুল হক বিশ্বাস, কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ গোলাম কিবরিয়া প্রমুখ। সরোজগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের উদ্যোগে র‌্যালি শেষে আলোচনাসভায় উপস্থিত ছিলেন জেলা কৃষকলীগের সভাপতি হাজি আজিজুল হক বিশ্বাস, কুতুবপুর ইউপি চেয়ারম্যান আলী আহম্মদ হাসানুজ্জামান মানিক, পরিচালনা কমিটির সভাপতি সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জুয়েল রানা, সরোজগঞ্জ ক্যাম্প ইনচার্জ শফিকুল ইসলাম, ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আকবর প্রমুখ। এছাড়াও ছাদেমান নেছা মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়, নতুন ভাণ্ডারদহ জয় আদর্শ ক্লাব, যুগিরহুদা আবুল হোসেন দাখিল মাদরাসা, খাড়াগোদা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে র‌্যালি ও আলোচনাসভার আয়োজন করা হয়।

পাঁচমাইল প্রতিনিধি জানিয়েছেন, সরোজগঞ্জ রামীম ক্লাবের আয়োজনে হাজি আতর আলী বিশ্বাস মার্কেটের সামনে কুইজ প্রতিযোগিতার অনুস্ঠিত হয়। ক্লাব সভাপতি আসলাম হোসেন মিজানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন সাংবাদিক হাবিব রহমান। সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন গোলজার হোসেন, আব্দুস সালাম হারান, খোকন মিয়া, দেলোয়ার হোসেন, মামুনুর রহমান প্রমুখ।

বদরগঞ্জ প্রতিনিধি জানিয়েছেন, আলিয়ারপুর আজিজ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের‌ র‌্যালি শেষে আলোচনাসভার আয়োজন করা হয়। উপস্থিত ছিলেন বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি আব্দুল মোতালেব, সদর উপজেলা আ.লীগের সদস্য শাখাওয়াত হোসেন টাইগার, প্রধান শিক্ষক আলাউদ্দিন আহামেদ প্রমুখ। মেম্বার মমিনুল ইসলাম।

বদরগঞ্জ বাকি বিল্লাহ কামিল মাদরাসায় আলোচনাসভায় অধ্যক্ষ মাও. আব্দুল জলিল হাওলাদারের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন দাউদ হোসেন হেড ও প্রভাষক আবুল কাসেম। এছাড়া বদরগঞ্জ বাজারে আ.লীগ অফিসে আলোচনাসভার আয়োজন করে। আলোচনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আ.লীগ নেতা শফিকুল ইসলাম, আশরাফুল আলম মিঠু, যুবলীগ নেতা মো. সোহাগ আহমেদ ও হাসান মেম্বার ।

আলমডাঙ্গা ব্যুরো জানিয়েছে, উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রত্যুষে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসের কর্মসূচির সূচনা করা হয়। সকল সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, সকাল সাড়ে ৭টায় শহীদ মাজারে এবং আলমডাঙ্গা বধ্যভূমিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয় উপজেলা চেয়ারম্যান হেলাল উদ্দীন ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার আজাদ জাহানের নেতৃত্বে। এরপর সকাল ৮টায় আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় সঙ্গীতের তালে তালে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন উপজেলা চেয়ারম্যান হেলাল উদ্দীন, উপজেলা নির্বাহী আজাদ জাহান ও আলমডাঙ্গা থানা অফিসার ইনচার্জ অফিসার আকরাম হোসেন। উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি পৌর মেয়র হাসান কাদির গনু, উপজেলা মুক্তিযোদ্দা কমান্ডার শফিউর রহমান জোয়ার্দ্দার সুলতান, সহকারি কমিশনার (ভূমি) আল ইমরান, সভাপতি জেলা সহসভাপতি অ্যাড. আব্দুর রশিদ মোল্লা, পৌর সভাপতি ও জেলা পরিষদ সদস্য আবু মুসা, উপজেলা সহসভাপতি আমিরুল ইসলাম মন্টু, সম্পাদক ইয়াকুব আলি মাস্টার, ভাইস চেয়ারম্যান কাজী অরুণ, শামীম আরা, সাংগঠনিক সম্পাদক আতিয়ার রহমান, আলম হোসেন, বিআরডিবি চেয়ারম্যান মহিদুল ইসলাম মহিদ, জেলা জাসদ সভাপতি বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা এম সবেদ আলী, উপজেলা সভাপতি গোলাম সরোয়ার, বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা অগ্নিসেনা মঈনুদ্দীন আহমেদ, বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা নূর মোহাম্মদ জকু প্রমুখ। সকাল সাড়ে ৮টায় পুলিশ, আনসার ও ভিডিপি, সিভিল ডিফেন্স, স্কাউট, গার্লস গাইড ও বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের কুঁচকাওয়াজ প্রদর্শিত হয়। এরপর আলমডাঙ্গা পাইলট মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়, আলমডাঙ্গা পাইলট হাইস্কুল, এরশাদপুর একাডেমী, এম সবেদ আলী মাধ্যমিক বিদ্যালয়, এরশাদপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়, আলমডাঙ্গা আদর্শ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, আলমডাঙ্গা মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, জেএন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ব্রাইট মডেল স্কুল, আলমডাঙ্গা ব্যায়ামাগার ডিসপ্লে ও শারিরিক কসরত প্রদর্শন করে। বেলা সাড়ে ১১টায় উপজেলা প্রশাসনের নেতৃত্বে স্বাধীনতা র‌্যালি শহর প্রদক্ষিণ করে। সিনেমা হলগুলোতে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র প্রদর্শন, এরপর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা ও দিবসটি উপলক্ষে বিশেষ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

অনুরূপে আলমডাঙ্গা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ড সম্মিলিত ও পৃথক কর্মসূচি পালনের মধ্যদিয়ে দিনটি পালন করেন। ভোরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে মাল্যদান ও মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের কমান্ডার সফিউর রহমান সুলতান জোয়ার্দারের নেতৃত্বে শহীদ মাজারে পুষ্পমাল্য অর্পণ ও ফাতেহা পাঠ করা হয়। মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলে মুক্তিযোদ্ধা সাংস্কৃতিক গোষ্ঠীর পরিবেশনায় জাতীয় সঙ্গীতের তালে তালে জাতীয় ও মুক্তিযুদ্ধের পতাকা উত্তোলন করেন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের কমান্ডার সফিউর রহমান জোয়ার্দ্দার। সাথে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা অগ্নিসেনা খ্যাত মঈনুদ্দীন আহমেদ ও বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা জেলা আওয়ামী লীগ সহসভাপতি অ্যাড. মোল্লা আব্দুর রশিদ। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কমান্ডার সফিউর রহমান সুলতান জোয়ার্দারের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধাদের এক স্বাধীনতার‌্যালি শহর প্রদক্ষিণ করে। দুপুরে মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ব্যবস্থাপনায় মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা ও আলোচনানুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা নির্বাহী অফিসার আজাদ জাহানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন উপজেলা চেয়ারম্যান হেলাল উদ্দীন। বিশেষ অতিথি ছিলেন মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ডাক্তার শাহাবুদ্দীন সাবু, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও আলমডাঙ্গা পৌর মেয়র হাসান কাদির গনু, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার শফিউর রহমান জোয়ার্দার সুলতান, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান কাজী অরুণ, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা অ্যাড. আব্দুর রশিদ মোল্লা, উপজেলা সহসভাপতি মজিবর রহমান, বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা জেলা জাসদের সভাপতি এম সবেদ আলী, আবুল কাশেম মাস্টার, বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা নূর মোহাম্মদ জকু। সমাজসেবা অফিসার আবু তালেবের উপস্থাপনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন- উপজেলা কৃষি অফিসার একেএম হাসিবুল হাসান, আলমডাঙ্গা থানা অফিসার ইনচার্জ আকরাম হোসেন। আরও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা অফিসার আব্দুস সাত্তার, উপজেলা প্রকৌশলি সুপ্রিয় মুখার্জী, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার দীনেশ কুমার পাল, নির্বাচন অফিসার ফেরদোস আলম, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার দীনেশ চন্দ্র পাল, সহকারি শিক্ষা অফিসার জিয়াউল হক, প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার মিজানুর রহমান। দুপুরে মুক্তিযোদ্ধাদের মাঝে উন্নতমানের খাবার বিতরণ করা হয়। এ সময় মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা জ্ঞাপন এবং নগদ অর্থ প্রদান করা হয়। জাতির শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনায় মসজিদে মসজিদে মোনাজাত করা হয়। সন্ধ্যায় মুক্তিযোদ্ধা মঞ্চে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

অপরদিকে আলমডাঙ্গা পৌরসভার পক্ষ থেকেও পৃথকভাবে কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। প্রত্যুষে শহরের প্রধান প্রধান সড়কের জাতীয় ও পৌর সভার পতাকা উত্তোলন, ভোর সাড়ে ৬টায় পৌর ভবনে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন পৌর মেয়র উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি হাসান কাদির গনু। সকাল ৬টা ৪৫ মিনিটে মেয়রের নেতৃত্বে শহীদ মাজারে পুষ্পার্পণ ও ফাতেহা পাঠ কয়া হয়, সাড়ে ৮টায় স্বাধীনতার‌্যালি পৌরসভার পক্ষ থেকে শহর প্রদক্ষিণ করে। পৌরসভার হলরুমে দুপুরে পৌর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা দেয়া হয়। এ সময় আলমডাঙ্গা পৌর মেয়র হাসান কাদির গনু সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার আজাদ জাহান। বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি অ্যাড. আব্দুর রশিদ মোল্লা, বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা সংগঠক ডা. সাহাবদ্দিন আহমেদ সাবু, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার জামাল উদ্দিন, মুক্তিযোদ্দা নূর মোহাম্মদ জকু, আহসান মৃধা। মীর মোহর, পৌর কৃষকলীগের সভাপতি বিল্লাল হোসেনসহ পৌরসভার সকল কর্মকর্তা কর্মচারি। বিকেলে পৌরসভা কর্তৃক ফুটবল খেলার আয়োজন করা হয়। ফুটবল খেলায় মুক্তিযোদ্দা সংসদ কমান্ড, উপজেলা প্রশাসন, বণিক সমিতি ও পৌর কর্মকর্তা কর্মচারি অংশ গ্রহন করেন। পরে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। পৌর মেয়র হাসান কাদির গনুর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন সহকারি কমিশনার (ভূমি) আল ইমরান। বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি অ্যাড. আব্দুর রশিদ মোল্লা, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান কাজী অরুন, মুক্তিযোদ্দা নূর মোহাম্মদ জকু, আহসান মৃধা। স্বতঃস্ফূর্ত প্রীতি ফুটবল খেলায় সকলস্তরের ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। শেষে সকল খেলোয়াড়কে পৌর মেয়র পুরস্কৃত করেন।

আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, মহিলা লীগ ও ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে দিনটি উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হয়। সকাল সাড়ে ৭টায় দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন শেষে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্যার্পণ, শহীদ মাজারে পুষ্পার্ঘ প্রদান ও ফাতেহা পাঠ করা হয়। দলীয় ও জাতীয় পতাকা আনুষ্ঠানিকভাবে উত্তোলন করেন উপজেলা আওয়া মীলীগ সভাপতি মেয়র হাসান কাদির গনু। এ সময় উপস্থিত ছিলেন  জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আওরঙ্গজেব মোল্লা টিপু, উপজেলা চেয়ারম্যান হেলাল উদ্দীন, জেলা আওয়ামী লীগ নেতা শহিদুল ইসলাম খান, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ইয়াকুব আলী, বিশিষ্ট  আওয়ামীলীগ নেতা আবুল কালাম আজাদ,  উপজেলা সহসভাপতি মজিবর রহমান, লুৎফর রহমান, পৌর সভাপতি আবু মুসা, সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম,  উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান কাজী খালেদুর রহমান অরুণ,  সাংগঠনিক সম্পাদক আতিয়ার রহমান, আলম হোসেন, সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন, বিআরডিবি চেয়ারম্যান  মহিদুল ইসলাম মহিদ প্রমুখ।

অপরদিকে আলমডাঙ্গা বিএনপির বিদ্যমান দুটি পক্ষের পক্ষ থেকেও দিনটি বিভিন্ন কর্মসূচি পালনের মধ্যদিয়ে উদযাপন করা হয়েছে। সকালে দলীয় অফিসে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। বেলা ১১টায় দলীয় কার্যালয়ে পৌর বিএনপির সভাপতি আনিছুর রহমানের সভাপতিত্বে দিবসটির তাৎপর্য ব্যাখ্যা করে বিশেষ আলোচনাসভায় প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি মজিবার রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন পৌর বিএনপির সম্পাদক আজিজুর রহমান পিন্টু, উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি আব্দুল জব্বার, ইলিয়াস আহমেদ সিদ্দিকী, মিল্টন মল্লিক, কামরুজ্জামান বকুল।

অপরপক্ষে জেলা বিএনপির অন্যতম নেতা মীর মহিউদ্দীন ও উপজেলা বিএনপির সভাপতি শহিদুল কাঊনাইন টিলুর নেতৃত্বে দলীয় নেতাকর্মী র‌্যালিসহ শহীদ মাজারে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ ও ফাতেহা পাঠ করে। শেষে দলীয় কার্যালয়ে দিনটি উপলক্ষে স্বাধীনতা ও শহীদ জিয়া শীর্ষক আলোচনাসভার আয়োজন করা হয়। উপজেলা বিএনপির সভাপতি শহিদুল কাউনাইন টিলুর সভাপতিত্বে  অনুষ্ঠিত ওই আলোচনায় প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা বিএনপির সাবেক নেতা আলহাজ্ব মীর মহিউদ্দীন। প্রধান বক্তা ছিলেন উপজেলা বিএনপির সম্পাদক শেখ সাইফুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় যুবদল নেতা এমদাদুল হক ডাবু প্রমুখ।

অন্যদিকে সকালে জেলা জাসদ আহ্বায়ক বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা এম সবেদ আলী ও উপজেলা জাসদ সভাপতি গোলাম সরোয়ারের নেতৃত্বে শহীদ মাজারে পুষ্পার্ঘ অর্পণ করা হয়। উপস্থিত ছিলেন উপজেলা জাসদের সম্পাদক নজরুল ইসলাম, মিরাজুল ইসলাম, সিরাজুল ইসলাম, শের আলী প্রমুখ। অপরদিকে ৯০ দশকের সাবেক ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে পৃথক কর্মসূচির মধ্যদিয়ে দিনটি পালন করা হয়। সকালে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন, র‌্যালিসহ শহীদ মাজারে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ ও ফাতেহা পাঠ করে। পরে আলোচনাসভায় উপস্থিত ছিলেন জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাসুদুর রশিদ মাসুম, সাবেক ছাত্রনেতা মোল্লা জাফর উল্লাহ, শামীম রেজা, নিশান তরফদার, আবু ডালিম, রেজাউল ইসলাম, কামরুল ইসলাম, ইকলুসুর রহমান, টুটুল, মাহাবুবুর রহমান, মহর আলী, দুলাল হোসেন প্রমুখ।

ভালাইপুর প্রতিনিধি জানিয়েছেন, কলাবাড়ি-রামনগর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে আলোচনাসভায় বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি বিশিষ্ট ব্যাবসায়ী সালাহউদ্দিনের সভাপতিত্বে অতিথি ছিলেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মুস্তাফিজুর রহমান, ম্যানেজিং কমিটির সদস্য ডাক্তার ইনামুল হক প্রমুখ। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন মওলানা শহিদুল ইসলাম।

গোকুলখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে র‌্যালী, আলোচনাসভা ও রচনা প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত। বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি বিল্লাল হোসেনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত চিৎলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক আব্দুর রাজ্জাক, সহকারি প্রধান শিক্ষক ইস্পেয়ারা বেগম ও দাতা সদস্য ফরিদ হোসেন।

আসমানখালী প্রতিনিধি জানিয়েছেন, শালিকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ভাংবাড়িয়া মাধ্যামিক বিদ্যালয়ে আলোচনাসভা ও র‌্যালী দিনব্যাপি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পুরস্কার বিতরণ। শালিকা  সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি ২ নং ওয়াড সসদস্য আতিয়ার রহমান, প্রধান অতিথি ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদ নবনির্বাচিত সদস্য রকিবুল হাসান। অপরদিকে ভাংবাড়িয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি আ. কুদ্দুস, প্রধান অতিথি ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক ভাংবাড়ীয়া ইউপি চেয়ারম্যান কাওসার আহম্মেদ বাবলু। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুর লতিফ মিজানুর রহমান বাদল প্রমূখী

জামজামি প্রতিনিধি জানিয়েছেন, আলমডাঙ্গার জামজামি ইউনিয়নের ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস উদযাপিত হয়েছে।  সকাল সাড়ে ৮টায় ভোদুয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন প্রধান শিক্ষক মা. ইউসুফ আলী। স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে এ বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের অংশগ্রহণে সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা ও বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
সিনিয়র শিক্ষক মানোয়ার হোসেনের উপস্থাপনায় শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে নির্দেশনামূলক বক্তব্য রাখেন বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির নির্বাহী সদস্য ইউপি সদস্য শুকুর আলী, জামজামি প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক কেএ মান্নান, সাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ। সাংস্কৃতিক বিজয়ীদের মাঝে পুরুস্কার বিতরন করা হয়। এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন প্রধান শিক্ষক ইউসুফ আলী। প্রধান অতিথি ছিলেন বিদালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি জামজামি ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদিন বাবলু চৌধুরি।

বারাদী প্রতিনিধি জানিয়েছেন, আলমডাঙ্গার বারাদী ইউপির কাঁটাভাঙ্গা মাধ্যমকি বিদ্যালয়ে যথাযোগ্য মহান স্বাধীনতা ও বার্ষিক ক্রীড়া প্রতযিোগীতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল রোববার সকালে কাঁটাভাঙ্গা মাধ্যমকি বদ্যিালয় মাঠে শহীদ মিনারে পুর্ষ্পাঘ অর্পণ শেষে জাতীয় পতাকা এবং ক্রীড়া পতাকা উত্তোলন শেসে আলোচনাসভা ও পুরস্কার বিতরণী নুষ্ঠানে সহকারি শিক্ষক নাজমা আক্তারের উপস্থাপনায় সভাপতিত্ব করেন বিদ্যালয়ের সভাপতি শামীম জামান।

দামুড়হুদা প্রতিনিধি জানিয়েছেন, দামুড়হুদায় ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস পালিত হয়েছে। সকাল ৬টায় ৩১ বার তোপধ্বনির মধ্যদিয়ে দিবসের সূচনা হয়। সকাল ৮টায় নাটুদাহ আট শহীদ বেদীতে পুষ্পার্ঘ অর্পণ করা হয়। জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার রফিকুল হাসান এবং মুক্তিযুদ্ধ পতাকা উত্তোলন করেন উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আছির উদ্দিন। পতাকা উত্তোলন শেষে প্রথমেই উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেকে আট শহীদ বেদীতে পূষ্পার্ঘ অর্পন করা হয়। এরপর পর্যায়ক্রমে উপজেলা প্রশাসন, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড, উপজেলা আওয়ামী লীগ ও দামুড়হুদা মডেল থানার পক্ষ থেকে পূষ্পার্ঘ অর্পণ করা হয়। পূষ্পার্ঘ অর্পণ শেষে শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের রুহের মাগফেরাত কামনায় বিশেষ মোনাজাত করা হয়। সকাল ১০ টায় দামুড়হুদা স্টেডিয়ামে দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রফিকুল হাসান ও দামুড়হুদা মডেল থানার ওসি আবু জিহাদ পতাকা উত্তোলন, অভিবাদন গ্রহন এবং কুচকাওয়াজ পরিদর্শন শেষে প্যারেড কমান্ডার দামুড়হুদা মডেল থানার এসআই আ. বাকীর সালাম গ্রহণ করেন। উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) সৈয়দা নাফিস সুলতানা, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সিরাজুল আলম ঝন্টু, উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ছালমা জাহান পারুলসহ বিভিন্ন দফতরের সরকারি কর্মকর্তা ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন। পরে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা ডিসপ্লে প্রদর্শণ করে। বেলা সাড়ে ১১ টায় উপজেলা অডিটোরিয়ামে উপজেলা নির্বাহী অফিসার রফিকুল হাসানের সভাপতিত্বে বীর মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ ও প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা জানানো হয়। বিকেলে প্রীতি ফুটবল প্রতিযোগিতা শেষে বিজয়ীদের মধ্যে পুরুষ্কার বিতরণ করা হয়। সন্ধ্যায় উপজেলা অডিটরিয়ামে সড়ক দূর্ঘটনায় নিহতদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় এক মিনিট নিরাবতা পালনের পর (সংক্ষিপ্ত আকারে) সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে দিবসের কর্মসূচি শেষ হয়। অনুষ্ঠান পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন সমবায় পরিদর্শক হারুন অর রশিদ ও দামুড়হুদা আব্দুল ওদুদ শাহ ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক মরিয়ম মারু। সার্বিক তত্তাবধানে ছিলেন নাজির হামিদুল ইসলাম।

এছাড়া দামুড়হুদায় বিএনপির পক্ষ থেকে ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা বিদস উপলক্ষে পতাকা উত্তোলন, আলোচনাসভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল রোববার সকালে দামুড়হুদা বাজারস্থ উপজেলা বিএনপির কার্যালয়ের সামনে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। পতাকা উত্তোলন শেষে দামুড়হুদা উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী শাহর সভাপতিত্বে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান বক্তা ছিলেন দামুড়হুদা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল হাসান তনু। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি তোফাজ্জেল হোসেন। উপস্থিত ছিলেন জুড়ানপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ইদ্রিস আলী, সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান লিপু, দামুড়হুদা সদর ইউনিয়ন বিকএনপির সভাপতি আব্দুর রহমান মালিথা, সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহিম, কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইদ বিশ্বাস, হাউলী ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওয়াহেদ, যুবদল নেতা মন্টু, আজাদ, একরামুল মেম্বার, রানা, উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মাহফুজুর রহমান মিল্টন, যুগ্মআহবায়ক আরিফুল ইসলাম আরিফ, আফজালুর রহমান সবুজ, জনি, কবির প্রমুখ।

দামুড়হুদার নতিপোতা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে যথাযথ মর্যাদায় পালিত হয়েছে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস। সকালে জাতীয় ও ক্রীড়া পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে কর্মসূচির সূচনা হয়। ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগীতা শেষে পুরস্কার বিতরণ করেন অতিথিবৃন্দ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন প্রাক্তন শিক্ষক আবু তালেব। প্রধান অতিথি ছিলেন প্রতিষ্ঠানের সভাপতি জুলফিকার আলী ভুট্টো। উপস্থিত ছিলেন সহকারি শিক্ষক আব্দুস কুদ্দুস, সহকারি শিক্ষক আহসান হাবিব, দবিরুল ইসলাম, মাহফুজুর রহমান প্রমুখ।

কার্পাসডাঙ্গা প্রতিনিধি জানিয়েছেন, দামুড়হুদা উপজেলার কার্পাসডাঙ্গায় রাজনৈতিক দল, সামাজিক সংগঠন, বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান স্বাধীনতা দিবস পালন করেছে। গতকাল রোববার সকালে  ইউনিয়ন আ.লীগ দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় পতাকা ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করে এরপর বাজারের প্রধান সড়কে একটি র‍্যালি বের করে এবং মহান শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ইউনিয়নের সকল আ.লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতা কর্মীরা। এছাড়া কার্পাসডাঙ্গা মাধ্যমিক বিদ্যালয়, বালিকা বিদ্যালয়, ফাজিল বিএ মাদরাসা, অক্সফোর্ড কিন্ডার গার্ডেন, কানাইডাঙ্গা মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কার্পাসডাঙ্গা কিন্টারগার্ডেন, ইসলামিয়া কিন্টারগার্ডেন, ইসলামিক ফাউন্ডেশন কার্পাসডাঙ্গা দক্ষিণপাড়া দিবসটি পালনের লক্ষ্যে র‍্যালি ও মহান শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে।

জীবননগর ব্যুরো জানিয়েছেন, মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে কুঁচকাওয়াজ ও শরীরর্চ্চা প্রদর্শনের আয়োজন করা হয়। কুচকাওয়াজে উপজেলা চেয়ারম্যান আবু মো. আব্দুল লতিফ অমল, ইউএনও সেলিম রেজা ও ওসি এনামুল হক সালাম গ্রহণ করেন।

কুঁচকাওয়াজে বাংলাদেশ পুলিশ, ডিগ্রি কলেজের বিএনসিসি দল, আনসার-ভিডিপি, জীবননগর পাইলট হাইস্কুল, জীবননগর বালিকা বিদ্যালয়, শাপলাকলি আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, উপজেলা আলিম মাদরাসা, দৌলৎগঞ্জ মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, জীবননগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, জীবননগর সরকারি প্রাথমিক বালিকা বিদ্যালয়, আশরাফুল মডেল অ্যাকাডেমি, আকলিমা প্রি-ক্যাডেট স্কুল, পৌর কিন্ডার গার্টেন স্কুল, প্রাইড প্রি-ক্যাডেট স্কুল, রাখি প্রি-ক্যাডেট স্কুল, ফেমাস প্রি-ক্যাডট স্কুল, উপজেলা শিশু নিকেতন প্রি-ক্যাডেট স্কুল, নারায়ণপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, নতুন তেঁতুলিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পুরাতন তেঁতুলিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, গয়েশপুর ম্যাধ্যমিক বিদ্যালয়, মনোহরপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়, উথলী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বয় স্কাইটস, হাসাদাহ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, হাসাদাহ মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়, হাসাদাহ মডেল ফাজিল মাদরাসাসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করে। এছাড়াও মাধবখালী সীন্তের নো-ম্য্যান্স ল্যান্ডের শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের গণকবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও দোয়া অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ইউএনও সেলিম রেজার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা চেয়ারম্যান আবু মো. আব্দুল লতিফ অমল। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান হাজি হাফিজুর রহমান, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আয়েশা সুলতানা লাকি, ওসি এনামুল হক, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার সামসুল আলম ছাত্তার ও আওয়ামী লীগ নেতা সোহরাব হোসেন খান। বিকেলে স্টেডিয়ামে  ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, প্রতী ফুটবল প্রতিযোগিতা, মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক চলচ্চিত্র প্রদর্শন ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম মোর্তূজার সভাপতিত্বে এ পতাকা উত্তোলন করা হয়। গয়েশপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক হারুন-অর-রশীদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিদ্যালয ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি রফিকুল ইসলাম পচা, ধোপাখালী ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আয়োজিত দিনব্যাপী অনুষ্ঠানে এলাকার ৫ বীর মুক্তেযোদ্ধাকে সম্মাননা প্রদানসহ ক্রেস্ট দেয়া হয়। হাসাদাহ মডেল ফাজিল মাদরাসায় অঅয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অধ্যক্ষ মাও. মো. আক্তারুজ্জামান। এছাড়াও উপজেলার ৪ কলেজ, ২৩ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ৭ মাদরাসা ও ৭১ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পৃথকভাবে স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে নানা অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করা হয়।

আন্দুলবাড়িয়া প্রতিনিধি: জীবননগরের আন্দুলবাড়িয়া সাহিত্য পরিষদ, আন্দুলবাড়িয়া বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয়, বহুমুখী মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়, শাহাপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়, আন্দুলবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বালিকা বিদ্যালয়, হারদা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, আন্দুলবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বালক বিদ্যালয়, কাশিপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও দেহাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের উদ্দোগে নানা কর্মসূচি পালিত হয়েছে। সরকারি, বেসরকারি, বানিজ্যিক ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও সাহিত্য পরিষদের উদ্যোগে প্রধান প্রধান সড়কে র‌্যালি প্রদক্ষিণ, শহীদ মিনারে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ, ক্রীডা প্রতিযোগিতা, বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতারণ, শহীদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া ও মিলাদ মহাফিল, আলোচনাসভা ও কবিতা আবৃতি অনুষ্ঠিত হয়েছে। আন্দুলবাড়িয়া সাহিত্য পরিষদের উদ্যোগ্যে পালিত কর্মসূচিতে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদ চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা কমিটির সভাপতি আবুল হোসেন মন্ডল। বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রধান অতিথি হিসাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন, ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ইউপি চেয়ারম্যান শেখ শফিকুল ইসলাম মোক্তার। রহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে আনুষ্টানিকভাবে পতাকা উত্তোলন করেন, ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মীর মকলেচুর রহমান টজো, সাহিত্য পরিষদে সাংবাদিক নারায়ণ ভৌমিকের সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক আশরাফুন নাহার শোভা উপস্থাপনায় আলোচনা রাখেন, চাষি মোল্লা আলতাব হোসেন ফেলা, আব্দুল হামিদ ফকির, শঙ্কর প্রমাণিক প্রমুখ। এছাড়া ইউনিয়নের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের উদোগে স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস আনুষ্ঠানিকভাবে পালন করার খবর পাওয়া গেছে।

মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি জানিয়েছেন, সৃজনী মডেল মাধ্যমিক বিদ্যাপীঠের ছাত্র-ছাত্রী ও শিক্ষকরা সমন্বিতভাবে স্বাধীনতা দিবসের র‌্যালি বের করেন। র‌্যালিটি মুন্সিগঞ্জ পশুহাট চত্বর ঘুরে বিদ্যালয়ে এসে থামে। সেখানে স্বাধীনতা দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। প্রধান শিক্ষক আহাদ আলী মোল্লার সভাপতিত্বে শিক্ষকবৃন্দ আলোচনা করেন। মরহুম ডা. মকছুদ আলী মুন্সিগঞ্জ পশুহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা র‌্যালি বের করে। র‌্যালির নেতৃত্ব দেন প্রধান শিক্ষক আনছার আলী। স্থানীয় আলোকিত কিন্ডার গার্টেন পুরস্কার বিতরণীর আয়োজন করে। সভাপতিত্ব করেন স্কুলের সভাপতি জেলা পরিষদের সদস্য খলিলুর রহমান। প্রধান অতিথি ছিলেন মরহুম ডা. মকছুদ আলী মুন্সিগঞ্জ পশুহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আনছার আলী। বিশেষ অতিথি ছিলেন সৃজনী মডেল মাধ্যমিক বিদ্যাপীঠের প্রধান শিক্ষক আহাদ আলী মোল্লা, সাবেক ইউপি মেম্বার মোয়াজ্জেম হোসেন প্রমুখ। অনুষ্ঠানটি উপস্থাপন করেন স্কুলের পরিচালক ওহিদ আলী।

দর্শনা অফিস জানিয়েছে, দর্শনায় মহান স্বাধীনতা দিবস যথাযথ মর্যাদার সাথে পালিত হয়েছে। বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক শ্রমিক সংগঠনসহ সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এ কর্মসূচির পালন করেছে। দর্শনা পৌরসভার আয়োজনে গতকাল রোববার সকাল ৮টার পর থেকে বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, সংগঠন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ সরকারি-বেসরকারি অফিসের পক্ষ থেকে পৃথক পৃথকভাবে র‌্যালি বের করে কেরুজ স্মৃতিস্তম্ভে পুস্প্যমাল্য অর্পণ করেছে। র‌্যালিতে অংশ নেয় আ.লীগ, বিএনপি, কেরুজ চিনিকল কর্তৃপক্ষ, জাসদ, দর্শনা রেল বাজার দোকান মালিক সমিতি, দর্শনা প্রেসক্লাব, পুরাতন বাজার দোকান মালিক সমিতি, কেরুজ শ্রমিক সংগঠনগুলোর মধ্যে তৈয়ব, মাসুদ, সবুজ, মোস্তাফিজ, প্রিন্স। এছাড়া দর্শনা পৌর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড, কেরুজ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে দর্শনা সরকারি কলেজ, মেমনগর বিডি, কেরুজ, দক্ষিণচাঁদপুর, আলহেরা, মাধমিক বালিকা বিদ্যালয়, পূর্বরামনগর, পশ্চিম রামনগর, ঈশ্বরচন্দ্রপুর, শ্যামপুর, জয়নগর, দক্ষিণচাঁদপুর, কাস্টমস, পরাণপুর, শান্তিনগর, আজমপুর, কেরুজ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ওয়েভ ফাউন্ডেশন, অনির্বান থিয়েটার, দর্শনা পৌরসভা, সাম্প্রতিক সাংস্কৃতিক সংগঠন, মোটরশ্রমিক ইউনিয়ন, রামাযুষ, রেলওয়ে শ্রমিক লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ। বিভিন্ন কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন, চুয়াডাঙ্গা জেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আজাদুল ইসলাম আজাদ, জেলা পরিষদের সাবেক প্রশাসক মাহফুজুর রহমান মঞ্জু, কেরুজ চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবিএম আরশাদ হোসেন, দর্শনা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর শহিদুল ইসলাম, দর্শনা পৌর মেয়র মতিয়ার রহমান, ইউপি চেয়ারম্যান জাকারিয়া আলম, দর্শনা পৌর আ.লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদুল ইসলাম, আ.লীগ নেতা আলী মুনসুর বাবু, গোলাম ফারুক আরিফ, বীর মুক্তিযোদ্ধা রুস্তম আলী, শফিকুল আলম, আবু সুফিয়ান, আরতি হালসনা প্রমুখ।

সকালে দর্শনা পৌর আ.লীগ কার্যালয়, কেরুজ ক্লাব মাঠ, দর্শনা পৌরসভা সহ বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে জাতীয়, দলীয় ও সাংগঠনিক পতাকা উত্তোলন করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুস্পমাল্য অর্পণ করেন নেতৃবৃন্দ। দিনব্যাপি আলোচনা, সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সকালে কেরুজ ক্লাব মাঠে চিনিকল কর্তৃপক্ষের আয়োজনে ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, কেরুজ চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবিএম আরশাদ হোসেন, মহাব্যবস্থাপক (অর্থ) মোশাররফ হোসেন, মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) আকুল হোসেন, আকরাম আলী শিকদার, সেলস অফিসার শেখ শাহবুদ্দিন, নিরাপত্তা অফিসার গিয়াস উদ্দিন পিনা, কেরুজ শ্রমিক-কর্মচারি ইউনিয়নের সভাপতি তৈয়ব আলী, সাধারণ সম্পাদক মাসুদুর রহমান, সহসভাপতি ফারুক আহম্মেদ, যুগ্মসম্পাদক খবির উদ্দিন প্রমুখ। মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে দর্শনা পৌরসভার আয়োজনে দর্শনা কলেজ মাঠে ২ দিনব্যাপি ক্রীড়া প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ করা হয়েছে গতকাল রোববার দুপুর দুটোর দিকে। উপস্থিত ছিলেন, দর্শনা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর শহিদুল ইসলাম, উপাধ্যক্ষ আজিজুর রহমান, পৌর মেয়র মতিয়ার রহমান, ইলিয়াস হোসেন, যুবলীগ নেতা জয়নাল আবেদীন নফর প্রমুখ।

দামুড়হুদার কাদিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্বাধীনতা দিবস উৎযাপন করা হয়েছে। বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি আমিনুর রহমান আনিসের সভাপতিত্বে সভায় আলোচনা করেন, প্রধান শিক্ষক আবুল হোসেন, লিয়াকত মণ্ডল, আসাদুল, রানা প্রমুখ। অনির্বাণ থিয়েটারের আয়োজনে সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত হয়েছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এ অনুষ্ঠানে স্বরচিত বাঙ্গালীর কৃতজ্ঞতা কবিতা পাঠ করেন দর্শনা জয়নগর ইমিগ্রেশনের ইনচার্জ কবি এসআই শেখ মাহবুবুর রহমান। এছাড়া অনির্বাণ থিয়েটারের কর্মী ও স্থানীয় শিল্পীরা গান ও নৃত্য পরিবেশেন করেন।

মেহেরপুর অফিস জানিয়েছে, মেহেরপুরে শহীদ ড. সামসুজ্জোহা পার্কে ৩১ বার তপধ্বনির মাধ্যমে দিনের সূচনা করা হয়। এরপর সকাল ৬টায় শহরের কলেজ মোড়ে অবস্থিত স্মৃতিসৌধে জেলা প্রশাসনের পক্ষে জেলা প্রশাসক পরিমল সিংহ, পুলিশের পক্ষ থেকে আনিসুর রহমান, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বশির আহম্মেদ, পৌরসভার পক্ষে মেয়র আলহাজ মোতাচ্ছিম বিল্লাহ মতু পুষ্পার্ঘ অর্পণের মাধ্যমে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এরপর মেহেরপুর-১ আসনের এমপি অধ্যাপক ফরহাদ হোসেনের নেতৃত্বে একটি মিছিল সেখানে উপস্থিত হয়ে পুষ্পার্ঘ অর্পণ করে। র‌্যালি ও পুষ্পস্তাবক অর্পণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমএ খালেক, সহসভাপতি আব্দুল হালিম, আব্দুস সামাদ বাবলু বিশ্বাস, জেলা জাতীয় মহিলা সংস্থার সভাপতি শামীম আরা হিরা, জেলা জজ আদালতের অতিরিক্ত পিপি কাজী শহিদুল হক, অ্যাড. শাহাজাহান আলী, বুড়িপোতা ইউপি চেয়ারম্যান শাহজামালসহ দলীয় নেতাকর্মীরা। এছাড়া সভাপতি মাহাবুব আলম শান্তির নেতৃত্বে কৃষক লীগের নেতৃবৃন্দ, সভাপতি নূর ইসলাম সুবাদের নেতৃত্বে জেলা তাঁতীলীগের নেতৃবৃন্দ, সভাপতি নাজির হোসেন নাদিমের নেতৃত্বে জেলা লালন একাডেমির পক্ষ থেকে শহীদ স্মৃতিসৌধে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়।

পরে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান গোলাম রসুলের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের অপর এক অংশ স্মৃতিসৌধে পূষ্পার্ঘ অর্পণ করে। উপস্থিত ছিলেন জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী তহমিনা আবেদীন, জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক মাহফুজুর রহমান রিটন ও যুগ্ম আহ্বায়ক শহিদুল ইসলাম পেরেশান, শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আক্কাস আলী, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি বারিকুল ইসলাম লিজন, সাধারণ সম্পাদক জুয়েল রানা প্রমুখ। পরে একে একে বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ শহীদ বেদীতে পুষ্পার্ঘ অর্পণের মাধ্যমে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

এদিকে সকালে মেহেরপুর জেলা পরিষদ চত্বরে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিসৌধে সাধারণ সম্পাদিকা লাভলী ইয়াসমিনের নেতৃত্বে পুষ্পমাল্য অর্পণ করে জেলা মহিলা আওয়ামী লীগ। উপস্থিত ছিলেন জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি অ্যাড. মিনা পাল, পৌর মহিলা লীগের সভাপতি রেহেনা মান্নান প্রমুখ।

মেহেরপুর জেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক এমপি মাসুদ অরুনের নেতৃত্বে এক বিশাল শোভাযাত্রা শহর প্রদক্ষিণ শেষে কলেজ মোড়স্থ শহীদ বেদীতে পূস্পার্ঘ অর্পণ করা হয়। র‌্যালিতে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সহসভাপতি আব্দুর রহমান, আনছারুল হক, শেখ সাঈদ আহম্মেদ, যুগ্ম সম্পাদক জহিরুল ইসলাম বড় বাবু, পৌর বিএনপির সভাপতি জাহাঙ্গীর বিশ্বাস, মুজিবনগর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বদরুদ্দিন বিশ্বাস, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রশিদ, সদর উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শাহাবুদ্দিন মোল্লা, জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের নেতা রায়হানুল কবীর, শ্রমিকদলের সভাপতি আহসান হাবীব সোনা, মৎস্যজীবী দলের সভাপতি শ্রী গুরুদাস হালদার, তাঁতিদল সভাপতি আরজুল্লা মাস্টার বাবলু ও আবু সুফিয়ান হাবু, জেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের যুগ্ম সম্পাদক তোফায়েল আহমেদ, মহিলাদলের সভাপতি রোমানা আহমেদ রুমা, কৃষকদল সভাপতি মাহবুবুর রহমান ও আরমান আলী, ছাত্রদল নেতা রাজিব আহমেদ খান, জেলা জাসাস সভাপতি মাহফুজুর রহমান অশেষসহ বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মী।

এছাড়াও সকাল ৮টায় জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে মেহেরপুর স্টেডিয়ামে বীর মুক্তিযোদ্ধা, পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস, আনসার-ভিডিপি, বিএনসিসি, রোভার, বয় স্কাউটস, গার্লস গাইডস, কাব ও বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রী ও শিশু-কিশোরদের সমাবেশ এবং কুঁচকাওয়াজ ও শরির চর্চা প্রদর্শনী এবং পুরস্কার বিতরণীসহ দিনব্যাপী নানা কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। কুঁচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে সালাম গ্রহণ করেণ জেলা প্রশাসক পরিমল সিংহ। এর আগে তিনি মাঠপার্স শেষে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন ও মেহেরপুরবাসীর উদ্দেশে বক্তব্য রাখেন। এ সময় তার সাথে ছিলেন পুলিশ সুপার আনিসুর রহমান। কুঁচকাওয়াজ ও শরির চর্চা প্রদর্শন শেষে জেলা প্রশাসক পরিমল সিংহের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন মেহেরপুর-১ আসনের এমপি অধ্যাপক ফরহাদ হোসেন। এ সময় সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

দুপুরে সুপারিনটেন্ডেন্ট স্বপন কুমার বিশ্বাসের সভাপতিত্বে মেহেরপুর বন্দর পিটিআই মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন ইন্সট্রাক্টর মিহির হালদার, আবুল কালাম আজাদ, সামসুল আলম, বিপ্লব কুমার মণ্ডল, আরিফা খাতুন, রিসোর্স পার্সন আ.ন.ম জালাল উদ্দিন, এ.কে.এ মনিরুজ্জামান ও বেগম রোকিয়া এবং বন্দর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবু লায়েছ লাবলু। দুপুরে জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে মেহেরপুরের বীর মুক্তিযোদ্ধা, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা প্রদান করা হয়। এ সময় জেলা প্রশাসক পরিমল সিংহের সভাপতিত্বে এসময় সেখানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মেহেরপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যাপক ফরহাদ হোসেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার আনিসুর রহমান, স্থানীয় সরকারের উপ-পরিচালক খাইরুল হাসান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) রশিদুল মান্নাফ কবীর, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বশির আহম্মেদ, জেলা আওয়ামী লীগের মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক আতাউল হাকিম লাল মিয়া। বিকেলে মেহেরপুর স্টেডিয়ামে জেলা প্রশাসন ও পৌর প্রশাসনের মধ্যে প্রীতি ফুটবল অনুষ্ঠিত হয়। এতে জেলা প্রশাসন একাদশ ১-০ গোলে পৌরসভা একাদশকে পরাজিত করে। এছাড়া বিকেলে মেহেরপুর সরকারি উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে মহিলাদের ক্রীড়া প্রতিযোগিতা শেষে বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। জেলা প্রশাসক পত্নী স্মৃতিরাণী সিংহের সভাপতিত্বে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার পত্নী সালমা আখতার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক পত্নী নাদিরা আহমেদ, সহকারি কমিশনার (ভূমি) শুভ্রা দাস, জেলা মহিলা ক্রীড়া সংস্থার সম্পাদিকা শামীম আরা হীরা প্রমুখ।

এছাড়া সূর্যোদয়ের সাথে সাথে সকল সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। এছাড়া শহরের প্রধান প্রধান সড়কের দু পাশে রঙিন পতাকা দিয়ে সজ্জিত করা হয়। রাতে গুরুত্বপূর্ণ সরকারি ভবন ও স্থাপনায় আলোকসজ্জা করা হয়। এছাড়া এদিন দুপুরে হাসপাতাল, জেলখানা, এতিমখানা, শিশু পরিবার ও ভবঘুরে প্রতিষ্ঠানে উন্নতমানের খাবার পরিবেশন করা হয়। এছাড়া সুবিধামতো সময়ে জাতির শান্তি ও অগ্রগতি কামনা করে মসজিদে বিশেষ মোনাজাত এবং মন্দির ও গির্জায় বিশেষ প্রার্থনা করা হয়।

গাংনী প্রতিনিধি জানিয়েছেন, গাংনীতে উপজেলা পরিষদ চত্বরে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসের কার্যক্রম শুরু হয়। পর্যায়ক্রমে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শহীদ মিনারে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ অর্পণ করা হয়। ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী অফিসার এসএম জামাল আহমেদ, গাংনী থানা ওসি আনোয়ার হোসেন, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মুনতাজ আলী, গাংনী প্রেসক্লাব সভাপতি রমজান আলী ও জাতীয় পার্টি সাধারণ সম্পাদক সেলিম আহম্মেদ পুষ্পার্ঘ অর্পণ করে। সকাল ৮টায় গাংনী হাইস্কুল ফুটবল মাঠে কুঁচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ পুলিশ, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বেসরকারি সংগঠন কুঁচকাওয়াজে অংশগ্রহণ করেন। অভিবাদন গ্রহণ করেন ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী অফিসার এসএম জামাল আহমেদ। সরকারি কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিকেলে প্রীতি ফুটবল ম্যাচ এবং সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এদিকে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে দুপুরে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মাননা প্রদান করা হয়। প্রধান অতিথি ছিলেন মেহেরপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মকবুল হোসেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমএ খালেক।

এদিকে সকালে মেহেরপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মকবুল হোসেনের উদ্যোগে র‌্যালি ও পুষ্পার্ঘ অর্পণ করা হয়। আরো উপস্থিত ছিলেন সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান একেএম শফিকুল আলম, নারি নেত্রী নুরজাহান বেগম, সেলিনা মমতাজ কাকলী, উপজেলা যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক শফি কামাল পলাশ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মজিরুল ইসলাম ও পৌর যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক রাহিবুল ইসলামসহ নেতৃবৃন্দ। স্বাধীনতা দিবস উদযাপনে বড় ধরনের শোডাউন করেছে বিএনপি। সকালে উপজেলা বিএনপি কার্যালয়ের সামনে পতাকা উত্তোলনের মধ্যদিয়ে কর্মসূচির উদ্বোধন করেন জেলা বিএনপি সাধারণ সম্পাদক সাবেক এমপি আমজাদ হোসেন। পরে বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী-সমর্থকদের অংশ গ্রহণে একটি র‌্যালি শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে শহীদ মিনারে পুষ্পার্ঘ অর্পণ করে। উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপি সভাপতি রেজাউল হক, সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান বাবলু, পৌর বিএনপি সভাপতি উপজেলা চেয়ারম্যান মোরাদ আলী, সাধারণ সম্পাদক মকবুল হোসেন মেঘলা, যুবদল সভাপতি আক্তারুজ্জামান ও কাউন্সিলর সাহিদুল ইসলাম। সকাল দশটার দিকে উপজেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে পুষ্পার্ঘ অর্পণ ও র‌্যালি অনুষ্ঠিত হয়। উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি সাহিদুজ্জামান খোকন, সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক আহসান উল্লাহ মোহন ও কাথুলী ইউপি আ.লীগ সাধারণ সম্পাদক মোজাম্মেল হক প্রমুখ।

সন্ধ্যায় পৌর যুবলীগের উদ্যোগে প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়। বক্তব্য রাখেন পৌর যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক রাহিবুল ইসলাম ও ছাত্রলীগ নেতা সাইফুজ্জামান সিপুসহ নেতৃবৃন্দ। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি ক্লিনিক মালিক সমিতির পক্ষে পুষ্পার্ঘ অর্পণ ও র‌্যালি অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা নবীনলীগের উদ্যোগে র‌্যালি, পুষ্পার্ঘ অর্পণ ও স্বেচ্ছায় রক্তদান ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত হয়। উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নবীনলীগ আহ্বায়ক এহসান কবির সবুজ, যুগ্ম আহ্বায়ক মানিক আহম্মেদ ও মামুন পারভেজসহ নেতৃবৃন্দ। এদিকে গাংনী সরকারি ডিগ্রি কলেজ, গাংনী পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কলেজ, বাঁশবাড়িয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও আল-মদিনা দাখিল মাদরাসায় যথাযোগ্য মর্যাদায় স্বাধীনতা দিবস উদযাপিত হয়। আল মদিনা দাখিল মাদরাসা অনুষ্ঠানে আলোকপাত করেন অধ্যক্ষ রোকনুজ্জামান। এছাড়াও এ উপজেলার বিভিন্ন প্রান্তে উদযাপিত হচ্ছে মহান স্বাধীনতা দিবস।

মুজিবনগর প্রতিনিধি জানিয়েছেন, মুজিবনগরে স্মৃতিসৌধে ৩১ বার তোপধ্বনির মধ্যদিয়ে দিবসের কমসূচি শুরু হয়। এ সময় মুজিবনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার হেমায়েত উদ্দিন, থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কাজী কামাল হোসেন উপস্থিত ছিলেন। সকাল সাড়ে ৬টায় মুজিবনগর স্মৃতিসৌধে পুস্পস্তবক অর্পণ করেন মুজিবনগর উপজেলা প্রশাসনের পক্ষে নির্বাহী অফিসার মোঃ হেমায়েত উদ্দিন ও থানার পক্ষে অফিসার ইনচার্জ কাজী কামাল হোসেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের পক্ষে সভাপতি জিয়াউদ্দিন বিশ্বাস, সম্পাদক ইউপি চেয়ারম্যান আমাম হোসেন মিলু, মুক্তিযোদ্ধা পক্ষে কমান্ডার আব্দুল জলিল, যুবলীগের পক্ষে সভাপতি কামরুল হাসান চাদু, ছাত্রলীগের পক্ষে সভাপতি রোকনুজ্জামান, জাতীয় পটি (জেপি) জেলার পক্ষে যুগ্মসম্পাদক মওলাদ আলী খাঁন, বাগোয়ান, মহাজনপুর, মোনাখালী ও দারিয়াপুর ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষে চার চেয়ারম্যানবৃন্দ। পরে একে একে বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ মুজিবনগর স্মৃতিসৌধে পুষ্পার্ঘ অর্পণের মাধ্যমে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। সকাল সাড়ে ৮টায় উপজেলা প্রাঙ্গণে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যেমে কুঁচকাওয়াজ ও শরির চার্চা প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. হেমায়েত উদ্দিন। পরে সকাল ১০টায় সেখানে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারি মুক্তিযোদ্ধা ও যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের উপজেলা কমান্ডার আব্দুল জলিলের সভাপতিত্ব প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার। বিকেল প্রশাসন বনাম সুধীজন প্রীতি ফুটবল ম্যাচ শেষে সাংস্কৃতি ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়া সূর্যোদয়ের সাথে সাথে সকল সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। এছাড়া দুপুরে হাসপাতাল, জেলখানা, এতিমখানা ও শিশু পরিবার প্রতিষ্ঠানে উন্নতমানের খাবার পরিবেশন করা হবে। এছাড়া সুবিধামতো সময়ে জাতির শান্তি ও অগ্রগতি কামনা করে মসজিদে বিশেষ মোনাজাত এবং মন্দির, গির্জায় বিশেষ প্রার্থনা করা হয়।

আমঝুপি প্রতিনিধি জানিয়েছেন, আমঝুপিতে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে দলীয় পতাকা উত্তোলন করেন ইউপি চেয়ারম্যান সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বোরহানউদ্দিন চুন্নু। এ সময় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা মতিয়ার রহমান, সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার সাদাত খোকনসহ দলীয় নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। দিবসটি উপলক্ষে আমঝুপি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয় র‌্যালি ও আলোচনাসভার  আয়োজন করে। এছাড়া আমঝুপি ইউনিয়ন যুবলীগ নিজ কার্যালয়ে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে।