চুয়াডাঙ্গা সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের গার্লস গাইডের ছাত্রীরা ক্ষুব্ধ : খাবার দেয়া হলো বলে ফিরিয়ে নেয়া হলো তাদের ছোট্ট উপহার

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের গার্লস গাইডদের জন্য একটি করে কাপ উপহার কিনেও দেয়া হয়নি। ওই ছাত্রীদের দুপুরের খাবার দেয়ার কারণে ওই কাপ ফেরত নেয়া হয় বলে ছাত্রীদের অভিযোগ। তারা জানায়, স্কুল কর্তৃপক্ষ তাদেরকে অবহেলা করে। ডিসপ্লে প্রদর্শনে কেন তারা প্রথম হয়নি এই ক্ষোভেই নাকি তাদের ওই উপহার দেয়া হয়নি। প্রতি বছর গার্লস গাইডের ছাত্রীরা স্কুলের পক্ষ থেকে উপহার পেলেও এবার না পাওয়ায় তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে।

ক্ষুব্ধ ছাত্রীরা জানায়, মহান স্বাধীনতা দিবসে ডিসপ্লে প্রদর্শনের জন্য গার্লস গাইডের ৮০ জন ছাত্রী গত ১৩ মার্চ থেকে মহড়া শুরু করে। প্রতিদিন সন্ধ্যা পর্যন্ত তারা মহড়া দিলেও স্কুল কর্তৃপক্ষ সেইভাবে তাদের উৎসাহ জোগায়নি। প্রতিদিন নাস্তা দেয়ার কথা থাকলেও মাত্র তিনদিন নাস্তা পেয়েছে তারা। নাস্তা হিসেবে তারা একদিন বিস্কুট, একদিন আইস্ক্রিম আর একদিন কেক পেয়েছে। গতকাল ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে ডিসপ্লে প্রদর্শনীতে দ্বিতীয় অবস্থানে থেকে কয়েকটি পুরস্কার পায় তারা। দুপুরে পুরস্কারগুলো স্কুলের অফিসে জমা দিতে গিয়ে ক্ষুধার্ত ছাত্রীরা জানতে পারে তাদের জন্য একটি করে প্যাটিস দেয়া হবে। আর উপহার হিসেবে একটি কাপ। অন্যান্যবার তাদেরকে দুপুরে খাবার দেয়া হয়। তারা প্রধান শিক্ষক স্বপন কুমার মালাকারের কাছে দুপুরের খাবার চেয়ে আবেদন করে। তাদেরকে এক প্যাকেট করে বিরানি দেয়া হয় ঠিকই; কিন্তু তাদের জন্য একটি করে কাপ কেনা হলেও তা দেয়া হয় না। এ নিয়ে ছাত্রীরা বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। তারা নাম প্রকাশ না করার শর্তে অভিযোগ করে বলেছে, আমরা কেন এমন অবহেলার শিকার হব। প্রতি বছরই আমাদের স্কুলের পক্ষ থেকে উপহার দেয়া হয়। এবার কেন দেয়া হলো না? প্রতিদিন পরিশ্রম করে মহড়া দিয়েছি। নাস্তা পর্যন্ত দিতে চায় না। আমাদের জন্য কি বরাদ্দ থাকে না? আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলতে চাই, আমাদের জন্য কত টাকা বরাদ্দ আর কিভাবে তা খরচ হয় কর্তৃপক্ষ তা যেন খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেয়। পরবর্তীতে যাতে আর এমন না হয়।