দামুড়হুদায় মোবাইলফোনে প্রাণনাশের হুমকির ৪ মাস মাথায় বাড়িতে কাফনের কাপড় : শঙ্কিত দু পরিবারের লোকজনসহ এলাকাবাসী : থানায় জিডি

দামুড়হুদা প্রতিনিধি: দামুড়হুদার পুরাতন হাউলী এবং দেউলী গ্রামের দু পরিবারে কাফনের কাপড় পাঠানো হয়েছে। গত ২৫ মার্চ বেলা সাড়ে ১২টার দিকে পাখিভ্যানে কালো বোরকা পরিহিত ২৫-৩০ বছর বয়সী অজ্ঞাত মহিলা এবং মাথায় টুপি মুখে দাড়ি পাঞ্জাবি পরিহিত দু আগন্তুক নিশকলঙ্ক নামক এক ভ্যানচালকের হাত দিয়ে ওই দু পরিবারে কাফনের কাপড় পৌঁছে দেয়। পোড়াদহ বাজারের নিউ অঙ্গশোভা বস্ত্র বিতান লেখা একটি শপিং ব্যাগে লম্বায় সাড়ে ১০ হাত এবং চওড়ায় ৫ হাত কাফনের কাপড় পাঠানো হয়। এ ঘটনায় উভয় পরিবারের লোকজন শঙ্কিত হয়ে পড়েছে। এলাকাবাসীর মধ্যেও আতঙ্ক লক্ষ্য করা গেছে। এ ঘটনায় উভয় পরিবারের পক্ষ থেকে দামুড়হুদা থানায় জিডি করা হয়েছে।

জানা গেছে, দামুড়হুদার পুরাতন হাউলীর মৃত আছির উদ্দীনের ছেলে জামাত আলীর বাড়িতে গত ২৫ মার্চ বেলা সাড়ে ১২টার দিকে এক ভ্যানচালকের হাত দিয়ে ওই কাফনের কাপড় পাঠানো হয়। ভ্যানচালক জামাত আলীকে বলেন মোক্তারপুরের আপনার বেয়াই এই ব্যাগটি পাঠিয়েছে। জামাত আলী ব্যাগটি বাড়ির ভেতরে নিয়ে এসে দেখে ব্যাগের মধ্যে শাদা রঙের সাড়ে ১০ হাত লম্বা এবং ৫ হাত চওড়া অরবিট লংক্লথ কাপড় রয়েছে। তিনি ওই কাফনের কাপড় দেখে শঙ্কিত হয়ে পড়েন। তিনি তাৎক্ষণিকভাবে বিষয়টি স্থানীয় লোকজনকে জানান এবং দামুড়হুদা মডেল থানায় একটি জিডি করেন। তিনি আরও বলেন, গত ২৯ নভেম্বর বেলা ১১টার দিকে ০১৯৩২৫০৩০৫৮ এই নম্বর থেকে আমার মোবাইল নম্বরে কল দিয়ে আমাকে অকথ্যভাষায় গালাগালি করে এবং প্রাণনাশের হুমকি দেয়। ওই ঘটনার সাড়ে ৪ মাসের মাথায় আমার বাড়িতে কাফনের কাপড় পাঠানো হয়েছে বিষয়টি খাটো করে দেখার সুযোগ নেই।

এদিকে দেউলী গ্রামের সুলতানের স্ত্রী জাহানারা খাতুন বলেছেন, একই দিনে বেলা ১টার দিকে আমার বাড়ির গেটের সামনে এসে অজ্ঞাত পরিচয়ের এক ভ্যানচালক আমার স্বামীর নাম ধরে ডাক দেয়। আমি ওই সময় রান্না করছিলাম। আমি গেটের সামনে এগিয়ে গেলে ভ্যানচালক একটি শপিং ব্যাগ আমার হাতে ধরিয়ে দিয়ে বলে এটি আপনার জামাই পাঠিয়েছে। আমি মনে করি হতেও পারে। আমি সরল মনে ব্যাগটি বাড়ির মধ্যে এনে দেখি ব্যাগের মধ্যে কাফনের কাপড়। ওই সময় আমার ছেলে সুমন (২২) তাড়াতাড়ি বাড়ি থেকে বের হয়ে ভ্যানচালককে খুঁজতে থাকে। পরে দেউলীর মোড়ে ওই ভ্যানচালককে দেখে তার নাম ঠিকানা জিজ্ঞাসা করে। তার নাম নিশকলঙ্ক এবং তার বাড়ি ছাতিয়ানতলায় বলে সে জানায়। পরবর্তীতে ঘটনার দু দিন পর আমরা থানায় জিডি করি। তিনি আরও বলেন, অপরিচিত কালো বোরকা পরিহিত এক মহিলা এবং মাথায় টুপি মুখে দাড়ি পাঞ্জাবি পরিহিত একজনকে প্রতিবেশী মন্টুর স্ত্রী সাবানাসহ অনেকেই ওই ভ্যানে করে আমার বাড়ির দিকে আসতে দেখেছে।  প্রতিবেশী মন্টুর স্ত্রী সাবানাসহ অনেকেই দেখেছে ওই ভ্যানে লোক বসে ছিলো।

দামুড়হুদা মডেল থানার ওসি আবু জিহাদ বলেছেন, মোবাইলফোনের সূত্র ধরে বিষয়টি নিয়ে কাজ চলছে। ঘটনার সাথে জড়িতদের অচিরেই শনাক্ত করা সম্ভব হবে বলেও তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।