গণধর্ষণ মামলার আসামি পুটিমারীর ইউসুফকে গ্রেফতার : পুলিশের অস্বীকার

 

স্টাফ রির্পোটার: আলমডাঙ্গার আনন্দধামের স্কুলছাত্রী অটোচালকের ভাড়া দিতে না পারায় অটোচালক ও তার বন্ধুরা কর্তৃক গণধর্ষণের আসামি বড়পুটিমারী গ্রামের ইউসুফকে আটক করেছে আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ। পরিবারের দাবি থানা পুলিশ অস্বীকার করছে। গতপরশু রাত ১২টার দিকে আসমানখালী থেকে ইউসুফকে থানা পুলিশ আটক করে।

জানা গেছে, গত ১৩ মার্চ আলমডাঙ্গার আনন্দধাম গ্রামের ৯ম শ্রেণির স্কুলছাত্রী আলমডাঙ্গার রেলস্টেশন থেকে মুন্সিগঞ্জের গড়গড়ি গ্রামের অটোচালক সোহেলের অটো ভাড়া করে চুয়াডাঙ্গার এক কথিত প্রেমিকের সাথে দেখা করতে যায়। দিনভোর একটি পার্কের সামনে দাঁড়িয়ে থাকলেও প্রেমিক তাকে নিতে না এলে সেই একই অটোয় করে বাড়ি ফিরতে যাচ্ছিলো সে। অটোভাড়া দিতে না পারায় মুন্সিগঞ্জ পশুহাটস্থ পশুহাট বেতবাড়িয়া সড়কে নিয়ে যায় তাকে। চালক সোহেল বড়পুটিমারী গ্রামের সেকেন্দারের ছেলে ইউসুফকে ডেকে নেয়। দুজনে মিলে স্কুলছাত্রীকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে গড়গড়ি গ্রামের কনক ও মাসুমের হাতে তুলে দেয়। রাতেই গড়গড়ি গ্রামবাসী টের পেয়ে গ্রামের হাসিবুল মেম্বারের বাড়িতে নিয়ে রাখে স্কুলছাত্রীকে। সে অটোচালকসহ ৪ জনের নামে ধর্ষণের অভিযোগ করে। সকালে তার পরিবারের লোকজন বাড়িতে ফিরিয়ে নিয়ে যায়। পরদিন স্কুল ছাত্রীর নানি বাদী হয়ে আলমডাঙ্গা থানায় মামলা দায়ের করেন। গতকাল ইউসুফের বাড়ির লোকজন দাবি করে তাকে তার ভগ্নিপতি আসমানখালীর রোকনের বাড়ি থেকে আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ আটক করে। সকালে খোঁজ নিতে গেলে পুলিশ আটকের খবর জানে না বলে জানায়।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আলমডাঙ্গা থানার ওসি (তদন্ত) মেহেদী রাসেল বলেন, গ্রেফতারের বিষয় সঠিক নয়।