হিজড়ার সাথে স্বামীর সম্পর্ক মানতে নারাজ স্ত্রী নিগৃহীত

 

আত্মহত্যার অপচেষ্টা চালানোর পর স্বামীর শয্যাপাশে হাজির হওয়ায় পিটিয়েছে হিজড়া

স্টাফ রিপোর্টার: হিজড়ার সাথে স্বামীর সম্পর্ক দেখে তেলে বেগুনে জ্বলে গলায় ফাঁস দেয়া স্ত্রী এবার মারপিটের শিকার হয়েছেন। গতকাল শনিবার সকাল সোয়া ১১টার দিকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন স্বামীর শয্যাপাশে হাজির হলে সেই হিজড়া সজনী আবারও মেজাজ বিগড়ে দেয়। একপর্যায়ে বাধে মারামারি। হিজড়ার সাথে কি আর দু সন্তানের জননী শাহীনুর পারেন? পারেননি বলেই তাকে হিজড়ার হাতের পিটুনি খেয়ে শেষ পর্যন্ত স্বামীর শয্যাপাশ ছেড়ে বাড়ি ফিরতে হয়েছে।

জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা জীবননগরের মনোহরপুর গ্রামের আব্দুস সাত্তারের ছেলে রাজু আহম্মেদ তার স্ত্রী শাহীনুরকে নিয়ে বেশ ভালোভাবেই সংসার চালিয়ে আসছিলো। এদের সংসারে দু কন্যা সান্ত্বনাও এসেছে। এর মাঝে সংসারে অশান্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে হিজড়া সজনী। সে চুয়াডাঙ্গা জেলা সদরের তিতুদহ গড়াইটুপির সলেমান আলীর সন্তান। এই সজনীর সাথে রাজু আহম্মেদের কিসের সম্পর্ক? পরিচয়ই বা হলো কীভাবে? রাজু আহম্মেদ বলেছে, আমি থ্রিহুলার চালাক। আনুমানিক ২ বছর আগে সজন আমার গাড়িতে ওঠে। কথায় কথায় সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এ সম্পর্ক শুধু বন্ধত্বের হলেও স্ত্রী শাহীনুর তা মেনে নিতে না পেরে ওর সাথে সম্পর্ক না রাখার জন্য চাপাচাপি করতে থাকে। এ নিয়েই মূলত সংসারে অশান্তি। পক্ষান্তরে রাজুর স্ত্রী শাহীনুর বলেছে, ওই হিজড়ার সাথে যেদিন থেকে সম্পর্ক হয়েছে সেদিন থেকেই আমার সংসার থেকে ওর ইমান উঠে গেছে। একজন পুরুষ হয়ে হিজড়ার সাথে অতো মাতামাতি কেন? কারো কথা না শুনে ওদের মধ্যে অন্যরকম ঘনিষ্ঠতা বেড়েই চলেছে। মনে হয়ে যেন হিজড়া আমার সতীন। এদিকে হিজড়ার দাবি, অকারণে রাজুর ওপর ওর বউ বাড়াবাড়ি শুরু করেছে। এ কারণেই আমিও বলেছি দেখে নেবো। দরকার হলে শাহীনুরকে তালাক দেয়াবো। তালাক দিয়ে অন্য জায়গায় ভালো মেয়ে দেখে বিয়ে দেবো।

স্থানীয় এক সূত্র বলেছে, হিজড়ার সাথে স্বামীর সম্পর্ক মেনে নিতে না পেরে শাহীনুর কিছুদিন আগে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার অপচেষ্টা চালায়। শাহীনুর সুস্থ হয়ে উঠলেও কয়েকদিন আগে অসুস্থতার কারণে তার স্বামী রাজু আহম্মেদ সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়। তার সেবা যত্নের মূল দায়িত্ব মূলত হিজড়া সজনীই করছে। চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রাজুর শয্যাপাশের অন্য রোগীরা এ তথ্য দিয়ে বলেছে, ওই রোগী রাজুর সাথে হিজড়ার প্রকাশ্যে আপত্তিকর আচরণ আমাদের হতবাক করলেও আমরা কিছু বলতে পারছি না। গতকাল শনিবার সকাল ১০টার দিকে হাসপাতালে স্বামীর শয্যাপাশে হাজির হলে হিজড়ার সাথে বাধে ঝগড়া। একপর্যায়ে হিজড়া সজনী মেরে আহত করে শাহীনুরকে। হিজড়ার দাপটে কোণঠাসা শাহীনুর তার দু কন্যা সন্তান নিয়ে কেদেই ভাসাচ্ছেন বুক।