চুয়াডাঙ্গা ও মেহেরপুরে কৃমিনাশক ট্যাবলেট খেয়ে দেড় শতাধিক শিশু শিক্ষার্থী অসুস্থ্য ॥ হাসপাতালে ভিড়

চিকিৎসকের ভাষ্য ॥ খালিপেটে তীব্র গরমে কয়েকজনের অসুস্থতা শেষ পর্যন্ত গণমনস্তাত্তিক রোগে রূপ নিলেও সামান্য চিকিৎসায় সুস্থ হয় ॥ আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই
মাথাভাঙ্গা ডেস্ক: প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কৃমিনাশক ট্যাবলেট খেয়ে গতকাল চুয়াডাঙ্গা দামুড়হুদা ও মেহেরপুর গাংনীর দেড় শতাধিক শিশু শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েছে। গতপরশু ঝিনাইদহসহ কুষ্টিয়ায় একইভাবে শিশু শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে কৃমিনাশক খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে। ঝিনাইদহে অসুস্থ হয়ে পড়া শিক্ষার্র্থীরা গতকাল বাড়ি ফিরেছে।
ডাক্তার বলছে ভরাপেটে এবং যথা সম্ভব সকালে খাওয়াতে হবে কৃমিনাশক ট্যাবলেট। আর চুয়াডাঙ্গায় শিক্ষার্থীদের এ ট্যাবলেট খাওয়ানো হয়েছে বেলা ১১টায় কড়া রোদ আর ৩৬ ডিগ্রি তাপমাত্রার ভেতর। ফলাফল, কৃমিনাশক ট্যাবলেট খেয়ে একে একে অসুস্থ হয়ে পড়ছে স্কুলের শিক্ষার্থীরা। আজ রোববার বেলা ২টা পর্যন্ত পাওয়া শেষ খবরে জেলার দামুড়হুদা উপজেলার হাতিকাতুল দাখিল মাদরাসাসহ পাঁচটি স্কুলের ছাত্রীদের কৃমিনাশক ট্যাবলেট খাওয়ানোর পর অসুস্থ হয়েছে প্রায় শতাধিক ছাত্রী। এদের মধ্যে দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে ৫০ জনকে। বাকিদের স্থানীয় ক্লিনিকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। যেসব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা অসুস্থ হয়েছে সেগুলো হচ্ছে- কার্পাসডাঙ্গা বালিকা মাদাসা, পীরপুরকুল্লা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে, কার্পাসডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বড় বলদিয়া জামিয়া মাদরাসা ও গোবিন্দহুদা ব্র্যাক প্রাথমিক বিদ্যালয়। এ বিষয়ে আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দিয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার রোগ নিয়ন্ত্রণ বিভাগের চিকিৎসক এহসানুল হক জানান, গরমের কারণে এমনটি হচ্ছে। আতঙ্কিত না হয়ে সচেতন হওয়ার পরামর্শ দেন তিনি। অসুস্থ শিক্ষার্থীরা সকলে আশঙ্কামুক্ত বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।
দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প. কর্মকর্তা ডা. আবু হেনা মোহাম্মদ মোস্তফা জামাল জানান, সকালে খবর পাওয়ার পর তিন সদস্যের একটি মেডিকেল টিম কার্পাসডাঙ্গা এলাকায় পাঠানো হয়। এলাকায় তারা গণরোষের মুখে পড়লে তিনি নিজে গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেন এবং শিক্ষার্থীদেরকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসার ব্যবস্থা করেন। হাসপাতালে আনার পর তাদেরকে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। সকলেই ভালো আছে।
উল্লেখ্য, গতকাল থেকে চুয়াডাঙ্গাসহ সারাদেশে শুরু হয় কৃমি নিয়ন্ত্রণ সপ্তাহ। এরই অংশ হিসেবে শিক্ষার্থীদের মেবেন্ডাজল ৫০০ মিলিগ্রাম নামের কৃমিনাশক ট্যাবলেট। একই কারণে গতকাল অসুস্থ হয়েছিলো কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ জেলার ২ শতাধিক শিক্ষার্থী
দামুড়হুদা প্রতিনিধি জানিয়েছে, দামুড়হুদায় কৃমিনাশক ট্যাবলেট খেয়ে প্রায় শতাধিক শিশু শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়াকে কেন্দ্র করে অভিভাবক মহলসহ এলাকাবাসীর মধ্যে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। সকাল সাড়ে ১০টা থেকে শুরু করে বিকেল ৩টা পর্যন্ত নসিমন করিমনসহ বিভিন্ন যানবাহনে ঝাকে ঝাকে আসছিল অস্বুস্থ্য শিক্ষার্থীরা। দুপুরে হাসপাতাল এলাকা লোকে লোকারণ্য হয়ে ওঠে। খবর পেয়ে তাৎক্ষনিকভাবে হাসপাতালে ছুটে যান দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রফিকুল হাসান। হাসপাতালের পুরাতন ভবনে জায়গা সংকুলান না হওয়ায় শেষমেষ নুতন ভবনে নিয়ে চিকিৎসা দেয়া হয় অস্বুস্থ্য শিক্ষার্থীদের। হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ৮৫ জনের মধ্যে ৭৯ জন স্বুস্থ্য হয়ে বাড়ি ফিরে গেছে। বর্তমানে ৬ জন শিক্ষার্থী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে। তারা সকলেই আশঙ্কামুক্ত। বিদ্যালয়গুলোর ছাত্র-ছাত্রীসহ স্থানীয়রা জানিয়েছে, ট্যাবলেট খাওয়ানোর এক ঘন্টার মাথায় কার্পাসডাঙ্গা হাদিকাতুল উলুম বালিকা দাখিল মাদরাসা, বড়বলদিয়া হাফিজিয়া মাদরাসা, গোবিন্দহুদা ব্র্যাক স্কুল, চন্দ্রবাস সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং পীরপুরকুল্লাহ মাধ্যমিক বিদ্যালয় এই ৬ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সর্বমোট ৮৫ জন শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে। সকাল সাড়ে ১০ টা থেকে বিকেল ৩ টা পর্যন্ত ঝাকে ঝাকে চিৎলা হাসপাতালে নিয়ে আসতে দেখা গেছে অস্বুস্থ্য শিক্ষার্থীদের। এ সময় হাসপাতাল চত্বর লোকে লোকারণ্য হয়ে ওঠে। মানুষের ভিড় সামলে অসুস্থদের চিকিৎসা দিতে হিমশিম খেতে হয়েছে কর্তব্যরত চিকিৎসকদের। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে শেষমেষ পুলিশের দ্বারস্ত হতে হয় কর্তৃপক্ষের। দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প. কর্মকর্তা ডা. আবু হেনা মোহাম্মদ জামাল শুভর নেতৃত্বে আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মো. ইমরান হোসেন, মেডিকেল অফিসার ডা. লাইলা শামীমা শারমীন, মেডিকেল অফিসার ডা. মো. মকবুল হোসেন, উপসহকারী মেডিকেল অফিসার ডা. রোকনুজ্জামান এবং ডা. আনিছুর রহমান টিপন এই ৫ সদস্যের মেডিকেল টিম অস্বুস্থ্যদের চিকিৎসাসেবা প্রদান করেন। কার্পাসডাঙ্গা হাদিকাতুল উলুম বালিকা দাখিল মাদরাসার সুপার মাও. নুরুল আমিন জানান, গত শনিবার স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে বেলা ১১ টার দিকে ট্যাবলেট নিয়ে আসে। তাপমাত্রা বেশি থাকায় ওইদিন আর খাওয়ানো হয়নি। গতকাল রোববার সকাল সাড়ে ৮ টার দিকে মাদরাসার মোট ৫৮২ জন শিক্ষার্থীকে একটি করে কৃমিনাশক ট্যাবলেট খাওয়ানোর কাজ শুরু করা হয়। এরমধ্যে প্রায় ২ শ শিক্ষার্থীকে ওই ট্যাবলেট খাওয়ানো হয়। ট্যাবলেট ভাওয়ার কিছুক্ষন পরই শিক্ষার্থীরা অস্বুস্থ্য হয়ে পড়তে লাগলো। একে একে প্রায় ৬৫ জন শিক্ষার্থী অস্বুস্থ্য হয়ে পড়লে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। অসুস্থ শিক্ষার্থীদের দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করা হয় এবং বাকিদের ট্যাবলেট খাওয়ানো বন্ধ করা হয়। সন্ধ্যার আগেই অসুস্থ সকল শিক্ষার্থীই সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে।
গাংনী প্রতিনিধি জানিয়েছেন, কৃমিনাশক ট্যাবলেট খেয়ে মেহেরপুর গাংনীর গাড়াডোব মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অর্ধশত ছাত্রছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়েছে। এদেরকে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। গতকাল রোববার বেলা সাড়ে এগারটার দিকে বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। চিকিৎসকরা বলছেন, কৃমিনাশক ওষুধ সেবনে অসুস্থ হওয়ার কারণ নেই। গণমনস্তাত্তিক কারণে একজনের দেখাদেখি আরেকজন অসুস্থতাবোধ করেছে। এতে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। জানা গেছে, কৃমি নিয়ন্ত্রণ সপ্তাহ উপলক্ষে গাড়াডোব মাধ্যমিক বিদ্যালয়সহ জেলার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে কৃমিনাশক ট্যাবলেট খাওয়ানো হচ্ছে। এর অংশ হিসেবে গতকাল সকালে গাড়াডোব মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৩শ ছাত্রছাত্রীকে কৃমিনাশক ট্যাবলেট খাওয়ানো হয়। এর প্রায় দুই ঘণ্টা পরে এক ছাত্রীর মাথা ঘুরছে জানিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে। তার দেখাদেখি বেশ কয়েকজন ছাত্রী অসুস্থ হতে থাকে। বিষয়টি জানানো হয় গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে। চিকিৎসক প্রেরণের অনুরোধ করা হয়। কিন্তু তিনি সাফ জানিয়ে দেন হাসপাতালে নিয়ে এলে চিকিৎসা দেয়া হবে। বিদ্যালয়ে কাউকে পাঠানো সম্ভব নয়।
এদিকে খবর পেয়ে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতাল থেকে অ্যা¤ু^লেন্স প্রেরণ করে অসুস্থ ছাত্রছাত্রীদের সেখানে নিয়ে যায় কর্তৃপক্ষ। সব মিলিয়ে প্রায় অর্ধশত ছাত্রছাত্রীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এর মধ্যে তিনজন ছাত্র রয়েছে। অবশ্য প্রাথমিক চিকিৎসায় সকলেই সুস্থ হয়ে ওঠে। এদিকে অধশতাধিক ছাত্রছাত্রী হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসা দিতে হিমশিম খেতে হয় কর্তৃপক্ষের। জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি বারিকুল ইসলাম লিজন, সহসভাপতি মোস্তাক, সাংগঠনিক সম্পাদক জাব্বারুল, দপ্তর সম্পাদক সাজেদুর রহমান সেতু, কলেজ ছাত্রলীগ সভাপতি কুদরত-ই খোদা রুবেলসহ ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা হাসপাতালে গিয়ে রোগীদের সেবা শুরু করে। ওষুধ, হাতপাখা, মিনারেল ওয়াটার ও প্রয়োজনীয় চিকিৎসা উপকরণ সরবরাহ করেন ছাত্রলীগ নেতাকর্মীবৃন্দ। অসুস্থ ছাত্রীরা জানায়, ট্যাবলেট খাওয়ার আধা ঘণ্টা পরে বমি বমি ভাব ও মাথাঘোরা শুরু হয়। এতে তারা অসুস্থ হয়ে পড়ে। তাদের মধ্যে অনেকেই সকালে নাস্তা করেনি। কিন্তু স্যারদের কাছে মিথ্যা বলেছে।
গাড়াডোব মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক আব্দুল মান্নান বলেন, ছাত্রছাত্রীদেরকে সকালে খেয়ে আসতে বলা হয়েছিলো। সকালে নাস্তা সেরে আসা সাড়ে তিনশ ছাত্রছাত্রীকে কৃমিনাশক ট্যাবলেট খাওয়ানো হয়। এর দুই ঘন্টার মাথায় এক ছাত্রী হঠাৎ মাথা ঘুরছে বলে জানায়। তার দেখাদেখি আতংকে অন্যরা অসুস্থতাবোধ করে। আতংক থেকে বিষয়টি ঘটেছে বলেও জানান তিনি।
মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মিজানুর রহমন জানান, কৃমিনাশক ট্যাবলেট খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ার কোন কারণ নেই। এক জনের দেখাদেখি আরেকজন অসুস্থ হয়ে পড়েছে। তাদের শারীরিক অবস্থা ভালো। প্রাথমিক চিকিৎসায় সুস্থ হলে তাদের সবাইকে নিজ নিজ বাড়িতে পাঠানো হয়েছে।
কয়েক বছর ধরে বিনামূল্যে ছাত্রছাত্রীদের কৃমিনাশক ট্যাবলেট খাওয়াচ্ছে স্বাস্থ্য বিভাগ। কি কারণে এবং কিভাবে ট্যাবলেট খাওয়া উচিত সে সম্পর্কে অনেকেরই তেমন ধারণা নেই। এ বিষয়ে বিস্তারিত বলেছেন ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডা. অলোক কুমার দাস।
কেন খাওয়াতে হবে: ৫ থেকে ১৬ বছর বয়সী শিশুরা মূলত বক্রকৃমি (হুক ওর্য়াম) আক্রান্ত হয়। বক্রকৃমি শরীর থেকে প্রচুর রক্ত চুষে খায়। এ কারণে শিশুদের শারীরিক ও মানসিক বৃদ্ধি বাধাগস্ত হয়। লেখাপড়ায় অমনোযোগী হয়ে পড়ে। শারীরিকভাবেও তেমন সুস্থ থাকে না। চিকিৎসা বিজ্ঞানীদের গবেষণার পর শিশুদের সুস্থতা ও লেখাপাড়ায় মনোযোগী করার লক্ষ্যে বছরে দুইবার কৃমিনাশক ট্যাবলেট খাওয়ানোর সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। বিনামূল্যে এ ট্যাবলেট সরবরাহ করা হচ্ছে।
কিভাবে খাবে: কৃমিনাশক ট্যাবলেট কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে না। কেউ অসুস্থ হয়ে পড়ারও তেমন সম্ভাবনা নেই। তবে খালি পেটে যদি শিশুরা ট্যাবলেট খায় তাহলে বমি বমি ভাব ও সামান্য মাথাঘোরা দেখা দিতে পারে। এ বিষয়টি ব্যাপক প্রচারণার মধ্যদিয়ে সবাইকে সতর্ক করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ। তাই সকালে ভরা পেটে কৃমিনাশক ট্যাবলেট খেলে কোনো অসুবিধা হবে না বলে জানান ডা. অলোক কুমার দাস।
গণমনস্তাত্তিক রোগ: কোনো কারণে একজন অসুস্থ হয়ে পড়লে তার সঙ্গীও অসুস্থ হয়ে পড়ে। এটি মনের ভুল। সামান্য চিকিৎসায় সুস্থ হয়ে পড়ে। যা ঘটেছে গাড়াডোব মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে। প্রথম যে ছাত্রী অসুস্থ হয়েছিল সে আগে থেকেই মাইগ্রেনে ভুগছিল উল্লেখ করে ডাঃ অলোক কুমার দাস বলেন, অসুস্থদের চিকিৎসা দেয়ার পর এ বিষয়টি খোঁজ নিয়ে নিশ্চিত হওয়া যায়। ওই ছাত্রীর অসুস্থতা দেখে বাকিরা অসুস্থ হয়ে পড়েছে। তাই কৃমিনাশক ট্যাবলেটের প্রতি বিরুপ ধারণা পোষণ না করে ৫ থেকে ১৬ বছর বয়সী সকল শিশুদের ট্যাবলেট খাওয়ানোর পরামর্শ দিলেন এই চিকিৎসক।
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি জানিয়েছে, ঝিনাইদহের শৈলকুপায় কৃমিনাশক ট্যাবলেট খেয়ে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীরা সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছে। গতকাল বিকাল থেকেই শিক্ষার্থীরা চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরতে শুরু করে। গতকাল রোববার সকালে ১ জন শিক্ষার্থী ভর্তি ছিলো সেও সুস্থ হয়ে ফিরে গেছে।
চিকিৎসকরা জানান, অসুস্থ হয়ে গতকাল শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১৮৬ জন শিক্ষার্থী ভর্তি হয়। চিকিৎসা শেষে রাত পর্যন্ত ১৮৫ জন বাড়ি ফিরে যায়। বাকি ১ জন গতকাল রোববার সকালে সুস্থ হয়ে সেও বাড়ি ফিরে গেছে। জাতীয় কৃমি নিয়ন্ত্রণ সপ্তাহ উপলক্ষে ঝিনাইদহের শৈলকুপার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ১ম থেকে ১০ম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের কৃমিনাশক ট্যাবলেট খাওয়ানো হয়। খাওয়ানোর পর গতকাল দুপুরে অসুস্থ হয়েছে প্রায় ৩শ শিক্ষার্থী।