ঝিনুক বিদ্যাপীঠ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়ার পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে সহকারী জেলা শিক্ষা অফিসার শুধু লেখাপড়ায় শিশুর বিকাশ ঘটে না

স্টাফ রিপোর্টার: শিখবে শিশু হেসে খেলে, শাস্তিমুক্ত পরিবেশ পেলে সেøাগানে দিনব্যাপী ঝিনুক বিদ্যাপীঠ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া, সাংস্কৃতিক প্রতিযোগী ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়েছে। গতকাল রোববার বিকেলে ঝিনুক বিদ্যাপীঠ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে প্রতিযোগীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন প্রধান অতিথি সহকারী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার গোলাম নবী। বিশেষ অতিথি ছিলেন- উপজেলা শিক্ষা অফিসার আবু হাসান, সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার সদর ক্লাস্টার নাসির উদ্দিন, ঝিনুক মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সভাপতি অ্যাড. নুরুল ইসলাম, বাংলাদেশ সাংবাদিক সমিতি চুয়াডাঙ্গা জেলা ইউনিটের সভাপতি মাহতাব উদ্দিন, ঝিনুক বিদ্যাপীঠ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি অ্যাড. মুনসুর উদ্দীন মোল্লা ও একই বিদ্যালয়ের প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক রাশিদা হাসনু আরা। স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শেফালী খাতুন। উপস্থিত ছিলেন প্রধান শিক্ষক ইকলাস হোসেন মন্টু, সাবিউল মওলা, রেজাউল কবির, শাহানাজ জেবীন, আশরাফী বেগম, মালেকা পারভীন ও লতিফা ইয়াছমিন। সভায় সভাপতিত্ব করেন বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির নবাগত সভাপতি হাবিল হোসেন জোয়ার্দ্দার। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন সহকারী শিক্ষক আব্দুস সালাম।
পুরস্কার বিতারণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি গোলাম নবী বলেন, শিশুদের লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলা ও সাংস্কৃতির সুযোগ তৈরি করে দিতে হবে। শুধু লেখাপড়ার মাধ্যমে শিশুর বিকাশ ঘটে না। খেলাধুলার মধ্যে শিশুর সুপ্ত প্রতিভা লুকিয়ে থাকতে পারে। খেলাধুলা শারীরিক ও মানসিক প্রশান্তি দেয়। এতে শিশুর দেহ বৃদ্ধি সাধনে কাজ করে। লেখাপড়া, খেলাধুলার সাথে তাদের বিনোদনের ব্যবস্থা রাখতে হবে। পুরস্কার বিতারণ অনুষ্ঠানের আগে প্রথম অধিবেশনে সকাল ১০টায় ঝিনুক বিদ্যালয় মাঠে ক্রীড়া প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি উদ্বোধক উপজেলা শিক্ষা অফিসার আবু হাসান। এ সময় বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা ক্রীড়া অফিসার আবু জাফর, বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সদস্য জিনারুল ইসলাম, হাসানুজ্জামান, এসএমসির সকল সদস্য ও শিক্ষকবৃন্দ। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের শুরুতে কোরআন তেলাওয়াত করেন মৌলি খাতুন। পরে জাতীয় সঙ্গীত, শপথপাঠ ও কবুতর উড়িয়ে অনুষ্ঠনের শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করা হয়। দিনব্যাপী প্রতিযোগিতার ১৭টি ইভেন্ট শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করে। বিকেলে ২৩ মেধাবী শিক্ষার্থী ও ৫২ ক্রীড়া প্রতিযোগীর হাতে পুরস্কার তুলে দেয়ার মধ্যদিয়ে দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।