অন্যকে ফাঁসাতে অস্ত্র কিনে ফেঁসে গেলেন লুৎফর

 

আলমডাঙ্গা ব্যুরো: জলমহাল নিয়ে বিরোধের কারণে প্রতিপক্ষকে ফাঁসানোর পরিকল্পনা করেছিলেন তিনি। আর সে জন্য কিনেছিলেন একটি দেশি শাটারগান। পরিকল্পনা ছিলো প্রতিপক্ষের বাড়িতে অস্ত্রটি রেখে পুলিশকে দিয়ে ধরিয়ে দেবেন। তবে প্রতিপক্ষকে ফাঁসানোর আগেই সেই অস্ত্রসহ নিজেই পুলিশের হাতে ধরা পড়ে গেছেন। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে এ কথাই বলেছেন চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার লুৎফর রহমান। গতকাল সোমবার দুপুরে জেলা পুলিশ সুপারের সম্মেলনকক্ষে পুলিশ সুপার ভারপ্রাপ্ত মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন এক ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান। গতকাল সোমবার সকাল সাড়ে নয়টার দিকে আলমডাঙ্গা থানার এসআই টিপু সুলতান উপজেলার কালিদাসপুর ইউনিয়নের মনাকষা গ্রাম থেকে ওই পরিকল্পনাকারী লুৎফর রহমান (৫৫) ও তার সহযোগী অটোরিকশাচালক নাজিম উদ্দিনকে (৪৫) আটক করেন। তাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী অটোরিকশার ভেতরে বিশেষভাবে রাখা শাটারগানটি উদ্ধার করা হয়।

পুলিশ সুপার ভারপ্রাপ্ত বেলায়েত হোসেন ব্রিফিংয়ে বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে লুৎফর রহমান জানিয়েছেন, জলমহাল নিয়ে বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে তিনি দুই হাজার টাকা দিয়ে দেশে তৈরি আগ্নেয়াস্ত্রটি কিনেছেন। তবে কোন এলাকার কাকে ফাঁসাতে চেয়েছিলেন, তা বলেননি। এ ব্যাপারে আলমডাঙ্গা থানায় অস্ত্র আইনে মামলা হয়েছে বলে জানান তিনি। পুলিশ সুপারের দাবি, পরিকল্পনা বাস্তবায়নের উদ্দেশ্যেই সোমবার সকালে বাড়ি থেকে বের হয়েছিলেন লুৎফর। অটোরিকশাচালক নাজিম উদ্দিন বিষয়টি জানতেন। তাই উভয়কেই প্রথমে আটক এবং পরবর্তী সময়ে আলমডাঙ্গা থানায় দায়ের করা অস্ত্র আইনের মামলায় গ্রেফতার করা হয়। তিনি বলেন, সত্যিই প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে, নাকি কাউকে খুনের উদ্দেশে অস্ত্রটি সংগ্রহ করেছিলেন, সে বিষয়টি জানার চেষ্টা চলছে। এ সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. তরিকুল ইসলাম ও জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার (দামুড়হুদা সার্কেল) মো. কলিমুল্লাহ উপস্থিত ছিলেন।

সন্ধ্যায় মামলার বাদী আলমডাঙ্গা থানার এসআই টিপু সুলতান জানান, লুৎফর রহমান অস্ত্রটি কার কাছ থেকে কিনেছেন, সেটা জানার চেষ্টা চলছে। গ্রেফতার ব্যক্তিদের আজ মঙ্গলবার আদালতে সোপর্দ করে রিমান্ডের আবেদন করা হবে। অস্ত্রব্যবসায়ী চক্রকে ধরতে তাদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন বলে জানান তিনি।