চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলাকে ভিক্ষুকমুক্ত ঘোষণা : ১৫০ নারী-পুরুষের মাঝে বিভিন্ন উপকরণ বিতরণ

 

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা জেলাকে ভিক্ষুকমুক্ত ঘোষণার প্রথম ধাপে জেলার সদর উপজেলাকে ভিক্ষুক মুক্ত ঘোষণা করলেন জেলা প্রশাসন। গতকাল সোমবার দুপুরে সদর উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে ভিক্ষাবৃত্তি ছেড়ে আসা ১৫০ জন নারী-পুরুষের হাতে ছাগল, বাদাম বিক্রির সরঞ্জাম, ওজন মেশিন, ডিম, চায়ের দোকানের উপকরণ ও হাঁস-মুরগী পালনের বিভিন্ন উপকরণ তুলে দেন প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক সায়মা ইউনুস।

সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মৃনাল কান্তির দে’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আসাদুল হক বিশ্বাস, সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (দামুড়হুদা সার্কেল) মো. কলিমুল্লাহ, ভাইস চেয়ারম্যান আজিজুল হক হযরত ও কহিনুর বেগম। সদর উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল সামীর উপস্থাপনায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তোজাম্মেল হক, সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তালহা জুবাইর মাসরুর ও শঙ্করচন্দ্র ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান। এসময় সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) পুলক কুমার মণ্ডলসহ প্রশাসনের কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।     প্রশাসনের পক্ষ থেকে চুয়াডাঙ্গা জেলাকে ভিক্ষুকমুক্ত করার কর্মসূচি গ্রহণ করার পর ইউনিয়ন ও পৌরসভার জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে প্রকৃত ভিক্ষুকদের তালিকা করা হয়। সে অনুযায়ী পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানান উদ্যোক্তারা। এপর্যন্ত ৩ লাখ ৮৪ হাজার ৭১০ টাকার সামগ্রী তুলে দেয়া হলো।

উপস্থিত সুবিধাভোগীদের উদ্দেশে জেলা প্রশাসক সায়মা ইউনুস বলেন, পুনর্বাসনের পর কেউ ভিক্ষাবৃত্তি না ছাড়লে পুলিশ দিয়ে ধরিয়ে সমাজসেবা অধিদফতরের মাধ্যমে তাকে ভবঘুরে কেন্দ্রে পাঠানো হবে। তিনি আরও জানান, চলতি মাসের মধ্যেই চুয়াডাঙ্গা জেলাকে ভিক্ষুকমুক্ত ঘোষণা করা সম্ভব হবে। সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আর্থিক সহযোগিতায় কর্মসূচি সফলভাবে এগিয়ে চলেছে। যাদেরকে সহযোগিতা করা হলো তারা সবাই বলেছেন ভিক্ষাবৃত্তি কেউ আর করবেন না। ইউনিয়ন পর্যায় থেকে জেলা পর্যায়ে এসকল ব্যক্তিদের মনিটরিং করা হবে।