ইবি শিক্ষকের অডিও কেলেঙ্কারি তদন্তে বিশেষজ্ঞ নিয়োগ

 

ইবি প্রতিনিধি: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. রুহুল আমিনের নিয়োগ বাণিজ্যের কথোপকথন ফাঁসের ঘটনা তদন্তে কমিটিতে আরও দুইজন বিশেষজ্ঞ নিয়োগ দেয়া হয়েছে। একই সাথে আগামী ১৬ এপ্রিল পর্যন্ত তদন্তের মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়েছে বলে জানা গেছে। কমিটির নতুন সদস্যরা হলেন- আইন ও মুসলিম বিধান বিভাগের অধ্যাপক ড. শাহজাহান মণ্ডল ও ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো: তারেকুজ্জামান। এদের মধ্যে ড. শাহজাহান মণ্ডলকে আইন বিশেষজ্ঞ এবং ড. মো: তারেকুজ্জামানকে কণ্ঠস্বর বিশেষজ্ঞ হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।

জানা গেছে, গত ২ এপ্রিল একটি দৈনিকে প্রকাশিত ‘ইবি শিক্ষকের নিয়োগ বাণিজ্যের অডিও ফাঁস, থ্রি ফার্স্ট ক্লাসে ১৫ লাখ টাকা ফোরে ১২’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়। প্রকাশিত সংবাদ আমলে নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ওই শিক্ষককে সকল প্রকার একাডেমিক এবং প্রশাসনিক কাজ থেকে বিরত রেখে তদন্ত কমিটি গঠন করে। কমিটির আহ্বায়ক করা হয় ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক ড. রুহুল কুদ্দুস মোহাম্মদ সালেহকে। এ কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রফেসর ড. তপন কুমার জোদ্দার, ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম।

কমিটিকে সাত কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়। কিন্তু তদন্ত কমিটি সময়বৃদ্ধি, কণ্ঠস্বর এবং আইন বিশেষজ্ঞে নিয়োগ দিতে ভিসি প্রফেসর ড. রাশিদ আসকারীর নিকট আবেদন করেনে। তাদের আবেদনের প্রেক্ষিতে আইন বিশেষজ্ঞ হিসেবে আইন ও মুসলিম বিধান বিভাগের অধ্যাপক ড. শাহজাহান মণ্ডলকে এবং কণ্ঠস্বর বিশেষজ্ঞ হিসেবে ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. তারেকুজ্জামানকে নিয়োগ দেয়া হয়।

এ বিষয়ে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মো. আব্দুল লতিফ বলেন, তদন্ত কমিটির আবেদনের প্রেক্ষিতে দুইজন বিশেষজ্ঞ শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এছাড়া আগামী ১৬ এপ্রিল পর্যন্ত সময় বাড়ানো হয়েছে। তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. রুহুল কুদ্দুস মোহাম্মদ সালেহ বলেন, সাতদিনে কোনো তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন দেয়া সম্ভব নয়। এজন্য আরও ১৫ দিন সময় চেয়ে আবেদন করা হয়েছিলো সেখানে সাত দিন সময় বৃদ্ধি করা হয়েছে। তিনি বলেন, ইতোমধ্যে আমরা দুইটি মিটিং করেছি আরও দুইটি মিটিং করতে হবে। তদন্তে কিছুটা অগ্রগতি হয়েছে। কারো সম্মানহানি যেন না হয় সে চেষ্টা করছি।